Home কলাম নেইবারহুড – ৩৬

নেইবারহুড – ৩৬

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>ইউসুফ কামাল &colon;<&sol;strong> রোজা’র ছুটি শেষে অভি’র বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কর্মব্যাস্ততা আবার আগের মতো শুরু হয়ে গেলো। দীর্ঘ এক মাস বন্ধের পর সবাই আবার ফিরে এলো লেখাপড়ার জীবনে। আবার শুরু হয়ে গেল হল জীবনের হৈচৈ&comma; ডাইনিং হলের খাওয়া আর সময় মতো ক্লাস করা। সব আবার আগের মতোই চলতে থাকলো&comma; শুধু দিন শেষের অবসরে রিয়া অজান্তেই চলে আসে অভি’র চোখের সামনে। তখন অভি’র সময়টা শুধুই মধুর রিয়া’ময়।<br &sol;>&NewLine;যুদ্ধের সেই ভয়াবহ সময়গুলোর মধ্যে রিয়া’কে কেমন করে যে ভালো লেগে গিয়েছিলো অভি অনেক চেষ্টা করেও সেটা আর মনে করতে পারেনি। রোজই দেখা হতো দূর থেকে&comma; বড় জোর দুই দিন কাছা কাছি দেখা হয়েছিলো। তারপর অভি’র যুদ্ধে চলে যাওয়ায় কারণে আর দেখা হয়নি। সুদীর্ঘ চার মাস পর আবার দেখা হয়েছিলো দু’জনের।<&sol;p>&NewLine;<p>বান্ধবী ছবি’র বাসায় সেদিন রিয়া’র কথা শোনার পর অভি কোন মতেই ওর কথা কথাগুলো ভুলতে পারছিলো না। দু’দিন ধরে অভি গভীরভাবে বিষয়টা নিয়ে ভেবেছে&comma; এত বড় একটা সিদ্ধান্ত রিয়া কিভাবে নিলো&quest; জীবন যুদ্ধে একাকী নামার এত সাহস সে কিভাবে পেলো&quest; এত সাহসের উৎস কি&quest;<br &sol;>&NewLine;দু’দিন পর ছবি’র সাথে বিকেলের দিকে ওর বাড়ীর সামনে দেখা&comma; কুশলাদি বিনিময়ের পর রিয়া’র সে দিনের কথাবার্তার প্রসংগ উঠলো। আর তখন ছবি যা বল্লো তাতে অভি’র চোখের সামনে সেদিনের ঘটনার পিছনের অজানা তথ্য উন্মোচিত হয়ে গেলো&comma; সব পরিস্কার হয়ে গেলো।<br &sol;>&NewLine;ছবি বল্লো&comma; ভাই রিয়া আপনাকে নিয়ে এতো চিন্তা করে আমি কল্পনাও করি নাই। আপনাকে ও প্রচন্ড বিশ্বাস করে।<&sol;p>&NewLine;<p>আমাকে সরাসরি বলে দিলো&comma; আপনার এখন সময় দরকার&comma; নিজের অবস্থানটা একটু শক্ত করে নেওয়া দরকার। অভি ভাবলো রিয়া এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার সাথে কোন রকম আলোচনাও তো করলো না&excl;<br &sol;>&NewLine;তবে আলোচনা না করেও রিয়া যে বুঝতে পেরেছে এই সময় অভি’র পক্ষে সংসার করা সম্ভব না সেটা অভি’র আর বুঝতে বাকি থাকলো না।<br &sol;>&NewLine;লেখাপড়া শেষ হতে এখনও অনেক সময় লাগবে&comma; উপার্জনের জন্য আরো বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তাই প্রস্তুতির জন্য কিছুদিনের জন্য সময় দেওয়া দরকার।<&sol;p>&NewLine;<p>আস্তে আস্তে অভি’র কাছে রিয়া’র সে দিনের কথার পিছনের বিষয়গুলো ধীরে ধীরে পরিস্কার হতে শুরু করলো। অভি ভাবলো রিয়া তো এ বিষয়ে কোন কথাই সে দিন বলেনি&comma; কিন্তু কেন বল্লো না&quest;<br &sol;>&NewLine;অভি’র কাছে এটা একটা বিস্ময়ের ব্যাপার। অভি ধীরে ধীরে রিয়া’কে নতুন করে চিনতে শুরু করলো।<br &sol;>&NewLine;জীবন তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে চলে। অভি তার ক্লাস নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো&comma; এর মধ্যে টিউটরিয়েল পরীক্ষার জন্য কয়েকদিন ধরে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে পরীক্ষার দিলো। পরীক্ষা ভালোই হলো পরীক্ষার ব্যাস্ততায় সে দিন পনেরো কোন দিকেই খেয়াল করতে পারেনি।<&sol;p>&NewLine;<p>পরীক্ষা আর প্রতিদিনের ক্লাসের সাথে মিলেমিশে দিনগুলো মিশ্র ভাবে কেটে যেতে থাকলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনটাই এমন&comma; কোথা দিয়ে যে দিন পার হয়ে যায় বোঝা যায় না।<br &sol;>&NewLine;মাস তিনেক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈমিত্তিক ছুটির সাথে আরো দুই দিনের ছুটি মিলিয়ে চার দিনের একটা ছুটি পাওয়ায় অভি বাড়ী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। অনেক দিন বাড়ী যাওয়া হয় না&comma; সবাই কেমন আছে&quest; মনের মধ্যে কেমন যেন একটা শূন্যতা অনুভব করলো। রিয়া’র কোন খবর ও তো জানে না অভি।<br &sol;>&NewLine;পর দিন সকালের বাস ধরে অভি চলে এলো ওর প্রিয় শহরে&comma; যে শহরে থেকেই ও ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠেছে&comma; স্কুল কলেজের সীমানা পেরিয়ে যেয়ে পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঁড়িতে।<&sol;p>&NewLine;<p>সারাদিন ওর প্রিয় রুমে ঘুমিয়ে কাটিয়ে বিকেলে বাইরে বের হতেই রিয়া’র নার্সিং এ যোগ দেওয়ার খবরটা অভি’র কানে পৌঁছে গেলো।<br &sol;>&NewLine;তার মানে রিয়া ঠিকই তার না বলা কথা’র পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে নিখুঁতভাবে। কথাটা শুনে হঠাৎ করেই অভি’র সারা শরীরে একটা কম্পনের সৃষ্টি হলো&comma; স্থবির হয়ে বসে থাকলো কিছুক্ষণ।<br &sol;>&NewLine;গভীর চিন্তায় ডুবে গেলো অভি&comma; বাবা মায়ের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হয়ে জীবন যুদ্ধে পা বাড়ালো শুধুমাত্র ওর জন্য।<&sol;p>&NewLine;<p>অভি’র ভীষণ চা’য়ের তেষ্টা পেলো&comma; পরিচিত এক দোকানে বসে অনভ্যস্ত হাতে একটা সিগারেট ধরিয়ে চা খাওয়া শেষ করলো। সিগারেটে ও অভ্যস্থ না&comma; কিন্তু কেন যেন খারাপ লাগলো না। কয়েকটা লম্বা টান দিয়ে সিগারেটটা শেষ করে উঠে দাঁড়ালো।<br &sol;>&NewLine;দোকান থেকে বেড়িয়েই অভি একটা রিক্সায় উঠে বসলো&comma; ছবি’র সাথে দেখা করে রিয়া’র বিস্তারিত খবর নেওয়া দরকার। বিষয়টা এখনো ওর মাথার মধ্যে ঘুর পাক খাচ্ছে&comma; আর ওর পরিবারই বা বিষয়টা কি ভাবে নিলো&excl;<br &sol;>&NewLine;ভাবলো রিয়া’র সাথে একবার দেখা করা দরকার। দেখা করলে হয়তো ওর একটু ভালো লাগবে। &lpar;চলবে&rpar;<br &sol;>&NewLine;ডেল সিটি&comma; ভার্জিনিয়া<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version