Home কলাম নেইবারহুড – ৪৪

নেইবারহুড – ৪৪

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>ইউসুফ কামাল &colon;<&sol;strong> রিয়া’র কথায় পুরোপুরি বিস্মিত হয়ে গেলো অভি। বল্লো&comma; তোমার কথা তো অবিশ্বাস্য&comma; আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।<br &sol;>&NewLine;রিয়া বল্লো&comma; প্রথম থেকেই আমার মা এর বিশেষ দোয়া ছিলো আমার উপর&comma; আর তাই তো আমি দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যেতে পেরেছিলাম।<br &sol;>&NewLine;আমার পড়ালেখা করার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিলো&comma; বাবার প্রাথমিক বাধায় সেটা হয় নাই। কিন্তু পরবর্তিতে আমার বড় চাচাসহ পরিবারের সবাই আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়ে সার্বিকভাবে আমাকে সাহস যুগিয়ে গিয়েছিলেন।<br &sol;>&NewLine;বড় চাচা যে ভাবে আমার দিকে সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন&comma; সেটা আমি নিজে কখনো কল্পনাও করিনি। শেষ সময় পর্য্যন্ত নার্সিং কোর্সের এর সমস্ত ব্যায় উনি নিজে সামলেছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>উনিসহ বাকী সবার দোয়ায় আমি আজ এই পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে পেরেছি।<br &sol;>&NewLine;কিন্তু বড় অন্যায় করেছি তোমার সাথে&comma; তোমার সাথে আমার ন্যূনতম একটা যোগাযোগ থাকলে অন্তত তোমার জীবনটা এমন হতো না। এটা আমার চরম ব্যার্থতা&comma; হয়তো আমি সত্যিই তোমাকে চিনতে পারিনি।<br &sol;>&NewLine;আমি আমার জেদকে বজায় রাখতে সব কিছু করেছি&comma; সত্যিই আমি তখন অন্ধের মতো চলেছি। যখন বুঝতে পেরেছিলাম তখন অনেক অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।<br &sol;>&NewLine;আমাকে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।<&sol;p>&NewLine;<p>রিয়া’র কথায় অভি ওর দিকে সরাসরি তাকালো&comma; বুঝতে চেষ্টা করলো ওর এই কথার মধ্যে আন্তরিকতা কতটুকু।<br &sol;>&NewLine;কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বল্লো&comma; রিয়া এ কেমন অদ্ভূত এক ভালোবাসা নামক খেলায় আমরা মেতেছিলাম&quest; বলতে পারো&quest;<br &sol;>&NewLine;আমরা একজন অন্যজনকে কি সত্যিই ভালোবাসতাম&quest; আমরা কি উভয় উভয়কে সম্পূর্ন রুপে বিশ্বাস করতাম&quest;<br &sol;>&NewLine;অভি বল্লো&comma; তুমিই না একদিন বলেছিলে&comma; ভালোবাসার পূর্বশর্ত হলো বিশ্বাস। এক জন অন্য জনের উপর যদি বিশ্বাস স্থাপনই না করতে পারে তাহলে সেটা কি ভালোবাসা হলো&quest;<br &sol;>&NewLine;মনে আছে কথাটা&comma; নাকি ভুলে গেছো&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>তুমি চলে যাওয়ার সময় আমাকে একবারের জন্যও জানিয়ে যাওনি&comma; কিন্তু কেন&quest; এ কথার উত্তরে তুমি কি বলবে&quest;<br &sol;>&NewLine;অভি বল্লো&comma; রিয়া এগুলো আমার কষ্ট। আমার মনের মধ্যে দীর্ঘদিন এই প্রশ্নগুলো জমাট বেধে ছিলো&comma; ভেবেছিলাম যদি কোন দিন দেখা হয় আমি জানতে চাইবো&comma; আমার ভুল কোথায় ছিলো&quest;<br &sol;>&NewLine;দীর্ঘ দিন দূরে সরে থাকায় আমার কষ্টটা সয়ে গিয়েছিল। বলা নাই কওয়া নাই হঠাৎ করে হাওয়া হয়ে গেলে।<br &sol;>&NewLine;রিয়া&comma; তোমায় নিয়ে যে&comma; কেউ চিন্তা করতে পারে&comma; খুঁজতে পারে সেটা কি একবারও মনে হয়নি তোমার&quest; শুধু বলো&comma; আমার দিক থেকে কি এই সম্পর্কের মধ্যে কোন ঘাটতি ছিলো&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>রিয়া&comma; আমি নিজে কি সংসারী হয়েছি&quest; নিজস্ব বলতে কোন সংসার তো আমার নাই&comma; একাকীত্বের এই জীবনকেই আমি বেছে নিয়েছি।<br &sol;>&NewLine;কিন্তু কেন এমন হলো বলো&quest;<br &sol;>&NewLine;একাকীত্বের এ জীবন বড়ই যন্ত্রণার&comma; বড়ই কষ্টের। একটা শূন্যতার মধ্যে অহ দিন রাত্রি নিজেকে নিয়ে বসবাস করা যে কত কষ্টের&comma; তা আমি বুঝেছি।<br &sol;>&NewLine;আপাতদৃষ্টিতে আমার তো ভালো থাকারই কথা&comma; কিন্তু আসলেই আমি কি ভালো আছি&quest; আমার তো এখন সব কিছু থাকার কথা&comma; কিন্তু নাই কেন&quest;<br &sol;>&NewLine;মেনে নিলাম তুমি আমাকে দুই বছরের সময় দিয়েছিলে&comma; আমার পড়ালেখা শেষ করে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য।<&sol;p>&NewLine;<p>কিন্তু আমি তো সময় মতো ঠিকই সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম&comma; কিন্তু শেষে কি হলো&quest; বলো&quest;<br &sol;>&NewLine;কথাগুলো বলে অভি থামল। তাকিয়ে দেখলো রিয়া এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।<br &sol;>&NewLine;রিয়া মিলিয়ে দেখলো অভি’র কথার সাথে বাস্তবের মিল গুলো একদম পরিস্কার। সব সত্যি কথাই তো অভি বলেছে। আসলেই ওর তো কোন দোষ নেই।<&sol;p>&NewLine;<p>এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে মনে হলো অভি একটু হাপিয়েও উঠেছে। রিয়া ভালো করে অভি’র দিকে তাকিয়ে দেখলো বয়স ও শরীরের প্রতি অযতেœà¦° কারণে শরীর কিছুটা ভেংগে পড়েছে&comma; চুলে ভালোই পাক ধরেছে।<br &sol;>&NewLine;প্রচন্ড মায়া হলো রিয়া’র।<br &sol;>&NewLine;আবারও নিজের প্রতি প্রচন্ড ক্ষোভ হলো&comma; কেন সে এভাবে অভি’র সাথে দুরত্ব বজায় রেখেছিলো&quest;<br &sol;>&NewLine;কিছুক্ষণ চুপ থেকে অভি বল্লো&comma; আমার অবস্থা তো তুমি সচক্ষেই দেখে গেলে এখন বলো&comma; তুমি কেমন আছো&quest;<br &sol;>&NewLine;রিয়া বল্লো&comma; তোমার কি মনে হয়&comma; আমি কেমন আছি। পুরোপুরি সংসারী হয়ে গিয়েছি তাই না&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>অভি বল্লো&comma; কয়েক বছর আগে তোমাকে দেখেছিলাম নিউমার্কেটে ঘুরতে&comma; সাথে সম্ভবত কেউ একজন ছিলো। তুমি তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে গেলে&comma; দূর থেকে দেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম&comma; যেয়ে আর তোমাকে পাইনি।<br &sol;>&NewLine;রিয়া একটু চিন্তা করে বল্লো&comma; বুঝেছি তখন আমার মা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিউমার্কেটে এসেছিলাম মায়ের জন্য চশমা তৈরী করতে। অবশ্য তার ছয় মাস পরই আমার মা মারা যান।<br &sol;>&NewLine;ঐ দিন সাথে ছিলো আমার বড় চাচার ছেলে&comma; আমার সাত বছরের ছোট চাচাতো ভাই রফিক।<&sol;p>&NewLine;<p>রিয়া বল্লো&comma; দেখো নিয়তির খেলা বোধ হয় একেই বলে&comma; সে দিন সামনা সামনি দেখা হয়ে গেলে হয়তো আজকের এই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিতো।<br &sol;>&NewLine;ডেল সিটি&comma; ভার্জিনিয়া&comma; ইউএসএ<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version