অনলাইন ডেস্ক : রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার একটি জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠানে আগের চেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে রেকর্ড ভেঙে পঞ্চম মেয়াদে যাত্রা শুরু করেছেন। এদিন তিনি রুশদের বিজয় প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, রাশিয়া একটি ‘কঠিন’ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা পশ্চিমাদের অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজগুলোর কারণে তৈরি পরিস্থিতি। দুই বছরেরও বেশি আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর জন্য মস্কোর ওপর এগুলো আরোপ করা হয়।

সামরিক শোভাযাত্রা, অর্থোডক্স প্রার্থনাসহ অত্যন্ত সংগঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি প্রধান রুশ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। পুতিনকে রুশ কর্মকর্তারা এবং সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তাঁরা জাতীয় সংগীত গেয়ে তাঁকে সাধুবাদ জানান। পোল্যান্ড, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ উত্তেজনার মধ্যে অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পাঠাবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল।

৭১ বছর বয়সী এই ক্রেমলিনপ্রধান শতাব্দীর শুরু থেকে রাশিয়া শাসন করেছেন। কোনো বিরোধিতা ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে মার্চ মাসে নতুন করে ছয় বছরের ম্যান্ডেট অর্জন করেছেন তিনি।
রুশ নেতা কার্যালয়ে শপথ নেওয়ার পর বলেন, ‘আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ ও মহান জাতি। আমরা একসঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করব।

আমরা যা পরিকল্পনা করেছি তা উপলব্ধি করব এবং আমরা একসঙ্গে জয়ী হব।’
পুতিন বলেছেন, তাঁর বাহিনী ইউক্রেনে বিজয়ী হবে। তাঁর মতে, রাশিয়া ‘মর্যাদার সঙ্গে আবির্ভূত হবে, আরো শক্তিশালী হবে’। ক্রেমলিনের সেন্ট অ্যান্ড্রু’স হলে পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়ার সেবা করা একটি বিশাল সম্মান, কর্তব্য ও পবিত্র দায়িত্ব।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পান।

তবে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এর সমালোচনা করেছেন। বিরোধী ও অধিকার গোষ্ঠীগুলো কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনকে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

৯ মে রাশিয়া বিজয় দিবস উদযাপনের দুই দিন আগে পুতিন শপথ নিলেন। এই আয়োজন নতুন করে প্রতীকী রূপ নিয়েছে। কারণ পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে ইউক্রেনে তাঁর আক্রমণের তুলনা করেছেন।

সূত্র : এএফপি