অনলাইন ডেস্ক : বরাবরের ন্যায় গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পর্তুগালের নাম বারবার কেনো আসে? মানবতা, মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের সঠিক প্রয়োগ,ধর্মনিরপেক্ষতাসহ নানা কারণে যে যখনই কোনো হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তখন সাথে সাথে পর্তুগিজ নাগরিকরা রাস্তায় নেমে তাদের প্রতিবাদ করেছেন। মানবতার প্রশ্নে পর্তুগিজরা সব সময় আপোষহীন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মার্তিম মনিজ, মোরারিয়া, রোয়া দো বেনফরমোসোসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে ইসলাম এবং অভিবাসী বিদ্বেষীরা এক বিক্ষোভ র‍্যালির ডাক দিয়ে ছিলো। কামারা মিউনিসিপাল অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন জননিরাপত্তা বিবেচনায় উক্ত স্হানগুলোতে তাদের কর্মসূচি বাতিল করে দেয়।

পরবর্তী তারা রাজধানীর লারগো কামোউস এলাকাতে একত্রিত হয়ে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তারা মুসলমান এবং অভিবাসী বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা থাকায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং উগ্রতা করতে পারে নাই।

অন্যদিকে দিকে পর্তুগালের সরকারী দলসহ অভিবাসী বান্ধব বিভিন্ন দলগুলো বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লারগো দে ইনতেন্দেতে একত্রিত হয়ে উগ্রবাদী,বর্ণবাদীদের নেয়া কর্মসূচির প্রতিবাদ করেন।

বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার পর্তুগিজরা একত্রিত হয়ে শান্তি বন্ধুত্বপূর্ণ একটি সমাবেশ করেন।এসময় তারা বিভিন্ন দেশীয় গানের তালে তালে নেচে গেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। যেমন- “পর্তুগালে রেসিজম বা বর্ণবাদের স্হান নেই ” ,” রেসিস্টরা অন্য কোনো দেশে চলে যা,অভিবাসী এখানে থেকে যা” ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন পুরো সমাবেশ।