অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ শুরুর পর রাজ্যের কোচবিহার জেলায় এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কমিশন এ ঘটনায় একটি প্রতিবেদন চেয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে শনিবার সকাল থেকে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চতুর্থ দফায় রাজ্যের পাঁচ জেলার ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার ৯টি আসনে ভোট চলছে। খবর এনডিটিভি।

জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে । এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চার যুবকই তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি করেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাল্টা অভিযোগ করে বলছে, হঠাৎ ৩শ থেকে ৪শ জনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সে সময় দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।

নিহত ওই চারজনের নাম হামিদুল হক, হামিনুল হক, মনিরুল হক এবং নূর আলম। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার নয়টি এবং আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবগুলোতেই ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে নয়টি এবং হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসনেও ভোট হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ৩৯টি। বিজেপির হাতে মাত্র ১টি এবং বামদের দখলে ৩টি আসন। আর তাদের জোট শরিক কংগ্রেসের ঝুলিতে ১টি আসন ছিল। অবশ্য ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের হিসাব অনেক বদলে গেছে। এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৫টি এবং বিজেপি ১৯টি কেন্দ্রে এগিয়ে। তবে সেসময় পৃথকভাবে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের হাতে কোনো আসনই নেই।