অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ক্রমাগত বিভ্রান্তি ছড়ানো কোনোভাবেই সমীচীন নয়। যারা কোচিং করান এবং নোটবই ছাপান তাদের অনেকে যেমন বিভ্রান্তি ছড়ানোতে যুক্ত হয়েছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবও পাঠ্যপুস্তক না পড়েই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একুশে বইমেলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১০/১১ বছর আগে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা ভুলভ্রান্তি ছিলো, সেগুলো তখনই সংশোধন করা হয়েছে। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো ১০/১১ বছর আগেরই। পাঠ্যপুস্তকে যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকেও সেগুলো সংশোধন করার জন্য দু’টি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেই কমিটি প্রয়োজনে আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও বসবে। যদি কোনো ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত হয়, তাহলে সেগুলো সংশোধন করা হবে বলে ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।

ড. হাছান বিএনপির উদ্দেশে বলেন, কোন ইস্যু নেই, এজন্য এখন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে লেগেছে। কোথায়, কোন পৃষ্টায় একটু বলুক না, ভুলটা কোথায় আছে। না পড়েই তারা মতামত দেয়। সেজন্যই মির্জা ফখরুল সাহেব সেটা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে। আমি তাকে পাঠ্যপুস্তকগুলো আগে পড়ার জন্য বলবো।

এর আগে, বইমেলার মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর গ্রন্থাবলম্বনে তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তা আফরোজা রিমা নাইচের কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার আলোয় আমার দেখা নয়াচীন’ ও ‘কবিতার মায়ায় কারাভাষ্য’, কথাশিল্পী ইরানী বিশ্বাসের গবেষণা গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু : একজন স্বামী ও পিতা’ এবং সাংবাদিক ও সংস্কৃতি সংগঠক লায়ন মুহা: মীযানুর রহমানের প্রবন্ধ সংকলন ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ -এ চার গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।