অনলাইন ডেস্ক : চলতি মাসে কানাডা জুড়ে শ্রেণীকক্ষে ফিরেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একদিকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা অন্যদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে ফিরলেও বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পাঠ্যসূচিতে তেমন কিছু না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদের দাবি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি পাঠ্যসূচীতে থাকা উচিত। এই দাবীর পক্ষে সোচ্চার শিক্ষার্থীদের দুই জন হচ্ছেন ভ্যাঙ্কুবারের লর্ড বাইং সেকেন্ডারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোফিয়া বাই এবং অন্টারিওর বøুভেইল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ঐশ্বরিয়া পুটার। তারা দু’জনেই কানাডার সব স্কুলের পাঠ্যসূচীতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোফিয়া বাই বলেন, তার স্কুলের ক্লাসে একদিন কথা প্রসঙ্গে শিক্ষক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সবাই এ বিষয়ে তাদের অজ্ঞতার কথা জানায়। তখনই তার মাথায় বিষয়টি আসে। হোয়াট অন আর্থ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপস্থাপক লরা লিনচের এক প্রশ্নের জবাবে সোফিয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুটি একটি জটিল ও ব্যাপক বিষয়।
বর্তমান বিশ্বে এটি একটি প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে। এখন শিক্ষার্থীরা যদি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত না জানে তবে ভবিষ্যতে তারা এই সমস্যা থেকে কীভাবে রেহাই পাবে। কেন এই জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, কীভাবে এই পরিবর্তন রোধ করা যায়, এটি করা না গেলে কী কী সমস্যা হবে- এসব বিষয়ে আমাদের জীবনের শুরুতেই জানতে হবে। আর এজন্য পাঠ্যসূচীতে বিষয়টি রাখতে হবে। একই ধরণের অভিমত ব্যাক্ত করে ঐশ্বরিয়া পুটার বলেন, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পারি যে, কানাডা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ‘প্যারিস সমঝোতায়’ স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু ওই সমঝোতায় কী কী বিষয় আছে, সেগুলো মানা কতটা জরুরী, না মানলে কী সমস্যা হতে পারে- এসব বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত কিছু জানি না। তাই এগুলো আমাদের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
অন্টারিওর লেকহেড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এলেন ফিল্ড ওই দুই শিক্ষার্থীর কর্মকান্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, জলবায়ু ইস্যুটি নিয়ে কোন ধরনের ধোয়াশা বা অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। বিষয়টি পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে সব শিক্ষার্থী সমানভাবে এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। তিনি বলেন, কানাডার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে অধ্যায়নের সুযোগ থাকলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। তার মতে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জানা সবার জন্যই বাধ্যতামূলক করা উচিত। সূত্র : সিবিসি