Home আন্তর্জাতিক পুতিনের রেডলাইন মানেন না বাইডেন

পুতিনের রেডলাইন মানেন না বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে শান্ত করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

জো বাইডেন আরও জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ‘রেড লাইন’ দিয়েছেন- তা তিনি মানেন না।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে বর্তমানে রুশ সেনা বাহিনীর ৯৪ হাজার ট্রুপ অবস্থান নিয়েছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে ক্যাম্প ডেভিড সামরিক ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো থেকে বিরত রাখার জন্য আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। এগুলো যদি বাস্তবায়ন সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে ব্যাপক ও অর্থপূর্ণভাবে রাশিয়-ইউক্রেন সংকট মেটানো সম্ভব।’

‘আর একটি কথা বলতে চাই, আমি কারো রেডলাইন মানি না।’

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে গুরতর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জারির সব রকম প্রস্তুতি বাইডেন প্রশানস ইতোমধ্যে নিয়ে রেখেছে উল্লেখ করে মার্কিন সরকারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন দেশের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর নীতি একটিই; তা হলো- যে করেই হোক রাশিয়াকে ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখা। এই নীতি বাস্তবায়নে আমাদের হাতে যত পন্থা রয়েছে, প্রয়োজনে তার সবই ব্যবহার করা হবে।’

এদিকে, একই দিন পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীনে আছে মার্কিন সরকারের।

ইতোমধ্যে চলতি বছর এপ্রিলে রাশিয়ার ওপর এক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী জো বাইডেন।

শীতল যুদ্ধের অবসান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর গত ত্রিশ বছরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলনানিতে এসে ঠেকেছে- উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আবার শুরু করতে চাই। বিশেষ করে এমন একটি উদ্বেগজনক সময়ে আমাদের মধ্যে যেসব মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলো মেটাতে আমাদের উভয়েরই আন্তরিক হওয়া উচিত।’

Exit mobile version