অনলাইন ডেস্ক : প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ইফতারের আয়োজন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটির মুসলিম সেনাদের প্রতি সম্মান জানাতে এ আয়োজনে যোগ দেন তিনি।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী কিয়েভে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রিমিয়া পুনর্দখলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলেনস্কি ইউক্রেনের মুসলিম নেতা ও মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, ক্রিমিয়া দখলের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া ইউক্রেনকে দাস বানানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। রাশিয়া ক্রিমিয়ার বাসিন্দা, ইউক্রেনীয় ও ক্রিমিয়ার তাতার জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।

ক্রিমিয়ার ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর ১২ থেকে ১৫ শতাংশ তাতার সম্প্রদায়। ২০১৪ সালের ভোট এ জনগোষ্ঠী বয়কট করেছিল।

ক্রিমিয়ার তাতার মুসলিম সংখ্যালঘুদের ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ মেজিসকে সে সময় নিষিদ্ধ করে মস্কো। মেজিসকে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নিরাপত্তার কথা বলে বেশ কয়েক সদস্যকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ইউক্রেনের বেশ কয়েক মুসলিম সেনাসদস্যকে পুরস্কৃত করার পর জেলেনস্কি বলেন, ক্রিমিয়া দখলমুক্ত করা ছাড়া ইউক্রেন বা বিশ্বের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা ক্রিমিয়ায় ফিরে যাব।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মসজিদের বাইরে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন প্রথমবারের মতো ইফতার আয়োজন শুরু করল। তিনি বলেন, ইউক্রেন আমাদের দেশের মুসলিম ও বিশ্বের মুসলিমদের কাছে কৃতজ্ঞ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চেয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শস্য রপ্তানি ও বন্দী বিনিময় ইস্যুতে চুক্তিতে পৌঁছাতে এ দেশগুলো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে।

রাশিয়ায় চেচনিয়া ও দাগেস্তানের মতো দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে আসা বড় ধরনের মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। তাদের অনেকেই ইউক্রেনে মস্কোর হয়ে লড়াই করছেন।