অনলাইন ডেস্ক : গত জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত টানা বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে মিয়ানমারে ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া গত দু’সপ্তাহে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশের উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।

দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক লে শোয়ে জিন উ বার্তাসংস্থা এএফপিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরিয়ে নিয়ে আসা লোকজনকে বিভিন্ন অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও গৃহস্থালী উপকরণও তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে নদ-নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পানি বেড়ে বন্যা শুরু হয়েছে মিয়ানমারের রাখাইন, কাচিন, কারেন, মন ও চিন প্রদেশে। জাতিসংঘের মানবিক সহয়তা ও ত্রাণ দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, দেশটিতে বর্তমানে বন্যার কারণে সরাসরি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিও ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রদেশে মাইলের পর মাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত কৃষিজমি ও লোকালয় ডুবে গেছে বন্যার পানিতে।

মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত ইয়াংগুনের সংলগ্ন শহর বাগোর বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। সেখানকার বাসিন্দা সোয়ে মিন অং (২৩) এএফপিকে বলেন, ‘বাগোতে প্রতি বছরই বন্যা হয়, এবং সেসব বন্যায় হাঁটু কিংবা বড়জোর উরু পর্যন্ত পানি ওঠে।’

‘কিন্তু এবারের বন্যায় বাগোর প্রায় সব এলাকায় সাঁতার পানি দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো অঞ্চল ১২ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’

উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে সরকারি ত্রাণ শিবিরের পরিবর্তে স্থানীয় বৌদ্ধ মন্দিরগুলোকে বেছে নিচ্ছেন বলেও এএফপিকে জানিয়েছেন সোয়ে মিন অং।