অনলাইন ডেস্ক : কুয়েত ইতোমধ্যেই জনপ্রতি দুই ডোজের বিচারে ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ মিলিয়ন, মডার্না ভ্যাকসিনের ১.৭ লাখ এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ মিলিয়ন ডোজ আমদানির প্রাথমিক চুক্তি সেরে ফেলেছে।

এ বছরের শেষে এবং আগামী বছরের প্রথমার্ধে ফাইজার ও অন্যান্য কোম্পানি থেকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পাওয়ার পর কীভাবে বিতরণ করা হবে, সেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসীদের মাঝে কীভাবে ভ্যাকসিন ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেটি নির্ধারণ করতে শিগগিরই ওই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিটিংয়ে বসবেন বলে জানা গেছে।

তবে প্রবাসীদের আগে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্যাকসিন পাওয়া সুনিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেবে কুয়েত। বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর কারণে জীবনের ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক নাগরিক, চিকিৎসাকর্মী, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সবার আগে ভ্যাকসিন পাবেন।

প্রাথমিক চুক্তি
কুয়েত ইতোমধ্যেই জনপ্রতি দুই ডোজের বিচারে ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ মিলিয়ন, মডার্না ভ্যাকসিনের ১.৭ লাখ এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ মিলিয়ন ডোজ আমদানির প্রাথমিক চুক্তি সেরে ফেলেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও জানা যায়, বৈশ্বিকভাবে অনুমোদিত অন্যান্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৫.৭ মিলিয়ন ডোজ আমদানির পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করে রেখেছে কুয়েত। এই পরিমাণ ভ্যাকসিন দেশটির অধিবাসীদের জন্য যথেষ্ট হবে বলে বিশ্বাস তাদের। বর্তমানে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজন নেই বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা, গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু ও কিশোরদের তুলনায় বয়স্কদের জন্য করোনাভাইরাস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

কোভিড-১৯-এর কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন পেল কি না, সেই তথ্য জানতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউরোপিয়ান মেডিসিনস অ্যাজেন্সি, ইএমএ এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনিজেশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সূত্র: আরব টাইমস