অনলাইন ডেস্ক : আইনের ফাঁক বের করে এক চতুর মহিলা প্লেনের টিকিট কেটে কয়েক কোটি টাকা ইনকাম করে ফেলেছেন। তবে টিকিট বিক্রি করে নয়, টিকিট কিনে এই মহিলা সোয়া ৪ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা) আয় করে ফেলেছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি এই ‘কারচুপি’ করে যাচ্ছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি, অসত্ উপায় অবলম্বন করার পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে তাকে।

চীনের নানজিংয়ের ৪৫ বছর বয়সি ‘লি’ নামের এক নারী সম্প্রতি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি প্রায় ৯০০ টিকিট বুক করেন। কোনো বারেই তার প্লেনে চড়ার পরিকল্পনা ছিল না। তিনি শুধু নিজের নামেই নয়, আত্মীয় বন্ধুসহ প্রায় ২০ জনের পরিচয় ব্যবহার করে এই টিকিটগুলো কাটতেন। আসলে তিনি পরিকল্পনা করতেন, এমন এমন ফ্লাইটের টিকিট কাটবেন যেগুলো দেরি বা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

তিনি স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে টিকিট কাটতেন। দেখতেন, ঝড়-বৃষ্টি বা কুয়াশার কারণে কোন্ কোন্ ফ্লাইটের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। সেই মতো টিকিট কেটে তিনি বীমা করাতেন, যাতে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হলে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পান। তার এই পরিকল্পনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়। ফলে তিনি এই পাঁচ বছরে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেয়ে যান বীমা কোম্পানি থেকে।

তবে অসত্ উপায়ে টাকা উপার্জনের চেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি নানজিং পুলিশ গ্রেফতার করেছে লি কে। তার পরই টনক নড়েছে চীনের বেশ কয়েকটি ট্রাভেল সার্ভিস প্রোভাইডারের। আরো প্রতারণা ঠেকাতে এবার নিয়ম পরিবর্তন করেছেন তারা। এখন থেকে বীমার টাকা তখনই পাওয়া যাবে, যদি প্রকৃতই ফ্লাইট বাতিল হয় এবং তা কোনো প্রকৃত যাত্রী দাবি করেন।