অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত একটি নাগরিকত্ব আইন নবায়নে পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের নতুন জোট সরকার। এই আইনের অধীনে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি নাগরিকদের বিয়ে করা ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলি নাগরিকত্ব এবং সেখানে বসবাসের অধিকার আটকে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ২০০৩ সালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আমলে করা বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব আইনের মেয়াদ প্রতিবছরই ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে বাড়ানোর নিয়ম চলে আসছে। এবারও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে আইনটি নবায়ন করতে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে (নেসেট) ভোট হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫৯-৫৯ ভোটে আইনটি অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়। ইসরায়েলেরর নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো। বেনেট এই ভোটকে জাতীয় নিরাপত্তায় সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন।

এ ভোটের মধ্য দিয়ে নাফতালি বেনেট যে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন তা-ই স্পষ্ট হয়েছে। সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চেয়েও ‘কট্টর’ ও উগ্র ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত বেনেট এরই মধ্যে আট দলের সমন্বয়ে গঠিত তার জোট সরকার সামাল দিতে হিমশিম খেতে শুরু করেছেন। বেনেটের জোটে আছে বামপন্থি দলগুলোসহ আরব ইসলামিক দলগুলোও। ক্ষমতাসীন জোটের দলগুলোতেই নাগরিকত্ব আইনটি নিয়ে বিরোধিতা আছে। পার্লামেন্টে ইউনাইটেড আরব লিস্টের দুই সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।

তাছাড়া, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি লিকুদ পার্টির সদস্যরা, যারা আগে এই নাগরিকত্ব আইন সমর্থন করতেন, তারাও এবার আইনটির বিপক্ষে ভোট দেন। ইসরায়েলি নাগরিকদেরকে বিয়ে করা ফিলিস্তিনিরা আইনটি নবায়নের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়াকে হাজারো ফিলিস্তিনের পরিবারের জন্য আপাতত এক ‘বিজয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। নবায়ন না হওয়ায় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে আইনটির। তবে এ আইনের মেয়াদ বাড়াতে আবার ভোট অনুষ্ঠান করতে পারে ইসরাইলের পার্লামেন্ট। কিন্তু সে ভোট কখন হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।