অনলাইন ডেস্ক : আর্থিক দুর্নীতির দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে। আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি কোনো অপরাধের দায় মাথায় নিয়ে জেলে গেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের সহযোগী নেতা ফিলিপ পেটেইন ১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে কোনো ফরাসি নেতাকে কারাগারে যেতে হয়নি।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় প্যারিসের ফৌজদারি আদালত, অপরাধের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।

সারকোজির বিরুদ্ধের অভিযোগ ছিল, ২০০৭ সালের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধভাবে লাখ লাখ ইউরো নিয়ে নির্বাচনি তহবিল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন তিনি।

এদিকে মামলাটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সারকোজি। একই সঙ্গে তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। তবে আপাতত ৭০ বছর বয়সী সারকোজিকে প্যরিসের লা সান্তে কারাগারের আইসোলেশন শাখার প্রায় ৯ বর্গমিটার (৯৫ বর্গফুট) একটি কক্ষে থাকতে হবে।

আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার সময় রায়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে… তা আইনের শাসনের ক্ষেত্রে এবং বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুতর। যদি তারা আমাকে জেলে ঘুমানো দেখতে চায়, তাহলে আমি জেলে ঘুমাব, কিন্তু মাথা উঁচু করে।’

প্রসঙ্গত, ৭০ বছর বয়সী সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে তিনি সোসালিস্ট প্রাথী ফ্রসোয়াঁ ওঁলাদের কাছে হেরে যান। এর পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক বেশ কিছু অপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন।

সূত্র: বিবিসি