অনলাইন ডেস্ক : অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশ (ওপিপি) বলেছে, তারা অটোয়া এবং পুরো প্রদেশজুড়ে স¤প্রতি অনুষ্ঠিত ‘ফ্রিডম কনভয়’ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কিছু পুলিশ অফিসারের আর্থিক অনুদান দেয়ার অভিযোগের একটি অভ্যন্তরীন তদন্ত শুরু করেছে।

ওপিপির মুখপাত্র বিল ডিকসন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাহিনীর কিছু সদস্য অটোয়াতে ‘বেআইনী প্রতিবাদ কর্মসূচীতে’ অনুদান দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তিনি অভিযুক্ত পুলিশের সংখ্যা অর্থাৎ মোট কত জনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অনুদান দেয়ার অভিযোগ আছে সে বিষয়ে কিছু বলেন নি।

তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি ওপিপি কমান্ডের নজরে আনা হয়েছে এবং ওপিপি প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ডস ইউনিট এই বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। সপ্তাহান্তে অটোয়া শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ভ্যাকসিন বিরোধী বিক্ষোভকারিদের সরাতে একটি বড় ধরনের পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছিল। সরকারের করোনা নীতির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভটি টানা ৪র্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছিল। গত রোববার বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ ১৯১ জনকে গ্রেফতার ও ১০৩ জনের বিরুদ্ধে ৩৮৯ টি মামলা দিয়েছে বলে অটোয়া পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে।

এদিকে বিক্ষোভকারিদের জন্য তহবিল গঠনে গঠিত … নামে একাউন্টে যারা অর্থ দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন ম্যান্ডেট ও করোনা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সমর্থনে এসব অর্থ দান করা হয়েছিল। তালিকায় কিছু পুলিশ সদস্যেরও নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। ভিকসন বলেছেন, এই মুহূর্তে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে অনুমান বা কোন ধরনের মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে তিনি আরো বলেছেন, ডিটিতে থাকা বা না থাকা সব অফিসারের বিষয়েই তদন্ত করার ক্ষমতা ওপিপির আছে। তার ওই মন্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে, ছুটিতে থাকা কিছু অফিসারও এই ঘটনার সাথে জড়িত। ডিকসনের দাবি, পুলিশের চাকুরির একটি প্রধান শর্তই হচ্ছে ‘নিরপেক্ষতা’। তাই তাদের নিরপেক্ষতা প্রদর্শন ও নির্দলীয় থাকা উচিত। অবৈধ কর্মকান্ডে আর্থিক সহায়তা প্রধান পুলিশের মূল্যবোধ এবং আদর্শের সরাসরি বিরোধীতা। কাজেই তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। সূত্র : সিবিসি