অনলাইন ডেস্ক : নিজের ভবিষ্যৎ নাকি নিজেই বুঝতে পারছেন প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো বলেছেন, তিনি তার ভবিষ্যতের জন্য মাত্র তিনটি বিকল্প দেখছেন: ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়, হাজতবাস অথবা মৃত্যু। শনিবার একটি ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মি. বলসোনারো একথা জানান। এরপরেই দ্বিতীয় বিকল্পের কথা উড়িয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট জানান ‘আমার গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি প্রশ্নের বাইরে, কারণ পৃথিবীর কোনো মানুষ আমাকে হুমকি দেবে না।’ তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্যটি করেছেন যখন দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ভোট সমীক্ষা বলছে, বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে পিছনে ফেলে বেশ খানিকটা এগিয়ে আছেন বলসোনারো। ২০১৮-এর নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের জয়ের জন্য ব্রাজিলের বিশাল সংখ্যক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই মুহূর্তে দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা চলছে । কারণ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার মসনদে বসতে চলেছেন। বলসোনারো দেশের ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত করেছেন। তার মতে, ইলেকট্রনিক ব্যালট সিস্টেমে স্বচ্ছতার অভাব আছে তাই তার পরিবর্তে মুদ্রিত ব্যালট গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও নিজের অভিযোগের সাপেক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। সেই সঙ্গে তিনি আগামী বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ না করার হুমকি দিয়েছেন।শনিবারের বৈঠকে তিনি আবারও ব্রাজিলের নির্বাচনী আদালতের সমালোচনা করেন। জানান ‘আমি কোনো উস্কানিমূলক কথা বলিনি তা সত্ত্বেও আমার পেছনে লাগা হচ্ছে , সবকিছুর একটা সীমা আছে। ‘ বুধবার, ব্রাজিলের নির্বাচনী আদালতের প্রধান জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতিতে কোনও সমস্যা নেই, শুধুমাত্র জনগণের সময় অপচয় করতেই মুদ্রিত ব্যালটের প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে। এই মাসের শুরুর দিকে, ব্রাজিলের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বলসোনারোর ভোটের পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা বাতিল করে দিয়েছিলো ।
বলে রাখা ভালো, একদিকে যখন গোটা ব্রাজিল করোনা ভাইরাসে কাবু , একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে , গোটা দেশ চূড়ান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার , বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি , দুর্ভিক্ষ , বেকারত্ব তখন দেশের জনগণের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর পরামর্শ’ আপনারা প্রত্যেকের সঙ্গে একটি করে রাইফেল রাখুন। ‘ ইতিমধ্যে তার শাসনকালে দেশে অস্ত্রের আদান প্রদান বেড়েছে।