বাংলা কাগজ ডেস্ক : আমেরিকার নিউজার্সির রাটগার্টস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের এক প্রকৌশলী দম্পতি। তাঁরা হলেন তাহসিনা সনম ও হাফিজ ইমতিয়াজ। রাটগার্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউব্রান্সউইক চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রতি বছর একজন শীর্ষ মেধাবীকে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে একাডেমিক ফলাফল ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নেতৃত্বগুণ, কমিউনিটি সম্পৃক্ততাসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। এ বছর গুরুত্বপূর্ণ এ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থী তাহসিনা সনম। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পিএইচডি করছেন তাহসিনার স্বামী হাফিজ ইমতিয়াজ। ভালো ফল করায় হাফিজ প্রি-ডক্টরাল লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট একাডেমি ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন।

তাহসিনা রাটগার্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পিএইচডি পর্যায়ে রয়েছেন। অধ্যাপক হানা গডরিচের অধীনে তিনি পিএইচডি করছেন। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ডিভাইস ফ্রি অনুষঙ্গ নিয়ে গবেষণা করছেন তাহসিনা। তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ ইতিমধ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

রাটগার্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখা ছাড়াও তাহসিনা নারী প্রকৌশলীদের সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দেওয়া তাহসিনা আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রামের মিরসরাই সন্তান তাহসিনার বাবা অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মোহাম্মদ শফিউল্লাহ এবং মা বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রোকশানা বেগম। প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সঙ্গে আলাপে তাহসিনা বলেন, আমেরিকায় পিএইচডি শেষ করে তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান। যোগ দিতে চান বুয়েটে আবার। শিক্ষকতাই তাঁর লক্ষ্য।

তাহসিনা সনমের স্বামী হাফিজ ইমতিয়াজও পিএইচডি করছেন একই বিভাগে। এরই মধ্যে ভালো ফল করায় হাফিজ ইমতিয়াজকে প্রি-ডক্টরাল লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট একাডেমি ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভালো একাডেমিক ফলাফল ও অন্যান্য সাংগঠনিক ও নেতৃত্ব যোগ্যতার মাপকাঠিতে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

রাটগার্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার আগে হাফিজ ইমতিয়াজও বুয়েটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক মুন্সি মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আয়েশা খাতুনের সন্তান হাফিজ ইমিতিয়াজ জানালেন, তিনিও পিএইচডি শেষে বাংলাদেশে শিক্ষকতা পেশায় ফিরতে চান। শিক্ষক হিসেবে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করতে চান বুয়েটে।