মনজুর মাহমুদ: ঢাকা-টরেন্টো রুটে বাংলাদেশ বিমান নিয়মিত ফ্লাইট শুরু করলে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য দ্রুত বাড়বে আশাবাদ ব্যক্ত করে কনসাল জেনারেল মো: লুৎফর রহমান বলেছেন, যাত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ বিমানের এ সেবা পণ্য পরিবহন বাড়াতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে দিয়ে কানাডায় বসবাসরত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার একটা বড় সুযোগ তৈরী হবে, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টরেন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
“বাংলাদেশ বিমান ঢাকা-টরেন্টো রুটে তাদের সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর ফলে কি কি সুবিধা হবে, দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আরো কি কি করা যায় — এসব নিয়ে কম্যুনিটির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করতে চাই।”

সোমবার তাঁর কার্যালয়ে ‘বাংলা কাগজ’ এর সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ বছরের শুরুতে দায়িত্ব গ্রহণ করা কনসাল জেনারেল মো: লুৎফর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (Bangladesh Economic Zones Authority সংক্ষেপে BEZA) ওয়ান স্টপ সেবা দিচ্ছে। সেখানে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে। জমি পাওয়া থেকে শুরু করে শুল্ক মুক্ত একাধিক গাড়ি নেয়ার ব্যবস্থা এসব কিছুর জন্য যাবতীয় কাজ এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস থেকে পাওয়া যাবে। কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে লুৎফর রহমান বলেন, টরেন্টো ছাড়াও এর আশেপাশের শহরগুলোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে সব ধরণের সেবা দিতে বাংলাদেশ সরকার টরেন্টোর অফিসকে অনেক শক্তিশালী করেছে। যে কোনো ধরণের সেবা পেতে নিয়ম মেনে আবেদন করলে সেবা দেয়াটাও সহজ হয়।

“অনলাইনে আবেদন করার পর কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস ক্ষেত্র বিশেষে সেটা আরো দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। মানুষকে সেবা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগে,” একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আরো উন্নত সেবা দিতে আমরা যে কোনো পরামর্শ গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি।”

“কিভাবে আরো উন্নত সেবা দেয়া যায় সে বিষয়ে খোলা মনে আমাদেরকে পরামর্শ দিন। এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ গ্রহণ করতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। রাজনীতির বাইরে কম্যুনিটির পক্ষ থেকে কেউ কোনো পরামর্শ নিয়ে আসলে আমরা স্বাগত জানাই।” তবে তিনি বলেন, কখনো কখনো বিভিন্ন সমাবেশে দেশ বিরোধী যেসব বক্তব্য রাখা হয় তা মোটেও আকাঙ্খিত নয়। দেশ থেকে কানাডায় অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে আনা বা বিদেশে বসে দেশ বিরোধী প্রচারণা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এখানে বসে কেউ কেউ দেশ বিরোধী প্রচারণা চালান। বিভিন্ন আলোচনায় এসেছে দেশ থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ কানাডাতে আনা হয় — এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে তো হাত মেলানো যায় না। তাদের জন্য তো কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস থেকে সব সেবা দেয়া সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন কনসাল জেনারেল।