অনলাইন ডেস্ক : অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, জনগণের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত থেকে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ব্যাংকে এক বছরের স্থিতির ওপর আবগারি শুল্কের সীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন ১ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। এর ফলে ছোট সঞ্চয়কারীরা স্বস্তি পাবেন।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, যা গ্যাসের দাম কিছুটা কমাতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি পাতা, ফুল, বাকল কিংবা মাটির তৈরি প্লেট ও তৈজসপত্রের ওপর ভ্যাট তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার উৎসাহিত হবে এবং গ্রামীণ শিল্প লাভবান হবে।
শিল্পখাতে কাঁচামালের দাম কমাতে টেক্সটাইল গ্রেড পেট চিপসের উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষা ও নারীর স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাকেটজাত তরল দুধ ও বলপয়েন্ট পেনের ওপর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে স্বস্তি আনতে ২২ ইঞ্চির বদলে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের ওপর থেকে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত উড়োজাহাজের লিজ রেন্টের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাজেটে যেসব খাত থেকে কর প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং খরচের চাপ কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।