Home খেলাধুলা বার্সেলোনাকে বিদায় করে ফাইনালে ইন্টার মিলান

বার্সেলোনাকে বিদায় করে ফাইনালে ইন্টার মিলান

স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের এটাই কি সেরা সেমিফাইনাল? এই প্রশ্নে বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমী নির্দ্বিধায় ‘হ্যাঁ’ বলার কথা।

এমন বহু বাঁকবদলের সেমিফাইনালে সর্বশেষ কে কবে দেখেছে! সান সিরোতে রোমাঞ্চে ঠাসা, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা রুদ্ধশ্বাস সেই লড়াই শেষে হাসি ইন্টার মিলানের, বেদনা বার্সেলোনার।

দুই দলের আরেকটি গোল–উৎসবের ম্যাচ আবারও নির্ধারিত সময়ে ৩–৩ সমতায় অমীমাংসিত থাকল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করলেন বদলি ডেভিড ফ্রাত্তেসি।

শেষ পর্যন্ত ৪–৩ গোলে এই ম্যাচ জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৭–৬ অগ্রগামিতায় ফাইনালে পৌঁছে গেল ইন্টার, বিদায় ঘণ্টা বাজল বার্সার।

এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত সপ্তাহে প্রথম লেগ ৩–৩ গোলে ড্র হওয়ার পরপরই নিশ্চিত হয়েছিল ১০ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে হলে বার্সেলোনাকে ইতিহাস বদলাতে হবে। কারণ, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় ইন্টার মিলান যে নিজেদের মাঠে কখনোই সেমিফাইনালে হারেনি!

সান সিরোয় ইন্টারের সাম্প্রতিক ফর্মও বার্সার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার কথা। এই মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৯৭২ দিন অপরাজিত (১৫ ম্যাচের ১২টিতে জয়, ৩টিতে ড্র) থেকে ইয়ামাল–রাফিনিয়াদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন মার্তিনেজ–সোমার–ডামফ্রিসরা।

সেই ধারা ধরে রেখে তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল ইন্টার। আগামী ৩১ মে মিউনিখে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ইতালিয়ান ক্লাবটি পিএসজি অথবা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে।

অথচ মঙ্গলবার প্রথমার্ধে লাওতারো মার্তিনেজ ও হাকান চালহানোয়লুর গোলে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসেছিল বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মধ্যে এরিক গার্সিয়া ও দানি ওলমো গোলে কাতালান ক্লাবটি ম্যাচে সমতা আনে।

৮৮ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য গল্প লিখতে চলেছে বার্সা।

কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিসের ক্রস থেকে গোল করে বার্সাকে স্তব্ধ করে দেন সেন্টারব্যাক ফ্রান্সেসকো আচেরবি। ৩–৩! শেষ মুহূর্তে ইন্টার সমতায় ফেরায় সান সিরোর টইটম্বুর গ্যালারিও যেন প্রাণ ফিরে পায়।

দুই লেগ মিলিয়ে ৬–৬ সমতায় শেষ হওয়ায় ফাইনালিস্ট নির্ধারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ইরানি স্ট্রাইকার মেহদী তারেমির পাস থেকে দারুণ এক গোলে ইন্টারকে এগিয়ে দেন ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হয়ে ওঠা ফ্রাত্তেসি।

শেষ পর্যন্ত ব্যবধানটা ধরে রেখে খুশির জোয়াড়ে ভাসে সিমোন ইনজাগির দল।
এই ফ্রাত্তেসির গোলেই কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে তাদেরই মাঠে হারিয়েছিল ইন্টার। ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের আরেকটি মহাগুরুত্বপূর্ণ গোলে বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে নেরাজ্জুরিরা।

 

Exit mobile version