Home কলাম বালুকা বেলা : যা রে যাবি যদি যা

বালুকা বেলা : যা রে যাবি যদি যা

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>হাসান জাহিদ &colon;<&sol;strong> কথাশিল্পী হাসান জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্যে&comma; আর কানাডায় পড়াশুনা করেছেন সাংবাদিকতা ও কালচার এন্ড হেরিটেজ বিষয়ে। তিনি ইকো-কানাডা স্বীকৃত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক হাসান জাহিদ &OpenCurlyQuote;বালুকা বেলা’ কলামে &OpenCurlyQuote;বাংলা কাগজ’ এর পাঠকের কাছে তুলে ধরবেন তাঁর প্রিয় সব বিষয়ের অনুসন্ধিৎসু ক্যানভাস।<&sol;p>&NewLine;<p>&OpenCurlyQuote;যা রে যাবি যদি যা&comma; পিঞ্জর খুলে দিয়েছি&comma; যা কিছু কথা ছিল বলে দিয়েছি।’ এই গানটির মতোই তিনি উড়াল দিলেন অনন্তলোকে। ১৯ এপ্রিল&comma; ২০১৪ শনিবার পৃথিবীকে বিদেয় জানালেন বশির আহমেদ।<br &sol;>&NewLine;à§§à§® নভেম্বর তার জন্মদিন। গেল à§§à§® নভেম্বর তার পৃথিবীতে আগমন দিবসটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আজকের &OpenCurlyQuote;বালুকা বেলা’য় তার স্মৃতিচারণ করব।<&sol;p>&NewLine;<p>আমার পরম সৌভাগ্য যে এত বড় মাপের মানুষের সান্নিধ্যে আমি আসতে পেরেছিলাম। দুর্ভাগ্য যে&comma; তার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা ও মূল্যবান উপদেশের যথাযথ মূল্যায়ন আমি করতে পারিনি। তিনি একাধারে ছিলেন গজল শিল্পী&comma; উর্দু ও বাংলা ছায়াছবির অসংখ্য জনপ্রিয় গানের ¯à§à¦°à¦·à§à¦Ÿà¦¾à¥¤ ম্যাডাম নূরজাহান&comma; গীতা দত্ত প্রমুখ কিংবদন্তিদের সাথে দ্বৈত গান করেন তিনি। ষাটের দশকে তালাত মাহমুদের পাশাপাশি গজল গেয়ে তিনি সবার নজর কাড়েন।<br &sol;>&NewLine;তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এসে তিনি এই দেশকে ভালোবেসে এই দেশেই থেকে যান। তিনি উর্দু ভাষাভাষী হয়েও খুব দ্রুত বাংলা আয়ত্ত করে গান গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন। সত্তর দশকে অসংখ্য বাংলা আধুনিক গান ও সিনেমার গান করে বাংলা গানের সা¤à§à¦°à¦¾à¦œà§à¦¯à§‡ নতুন মাত্রা যোগ করেন। তার কন্ঠ&comma; সুর ও গায়কীতে এদেশের মানুষের মনের কথা ও আবেগ প্রতিফলিত হতো।<br &sol;>&NewLine;এই দিকটা ভাববার বিষয় বৈকি। কী করে তিনি এদেশের মানুষের মন জয় করলেন এত স্বল্প সময়ে। তিনি অসংখ্য বাংলা আধুনিক গান ও সিনেমার গানের ¯à§à¦°à¦·à§à¦Ÿà¦¾&comma; যে গানগুলো ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে।<&sol;p>&NewLine;<p>আজও জনপ্রিয় সেইসব অমর গান- যার অন্যতম একটি গান &OpenCurlyQuote;যা রে যাবি যদি যা’&comma; যে গানটি আজও শ্রোতাদের শিহরিত করে।<br &sol;>&NewLine;একজন সংগীতশিল্পী&comma; একজন সাধক ও একজন দেশপ্রেমিক। তিনি বশির আহমেদ। বাংলাদেশকে আর বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে আজীবন গান গেয়েছেন যিনি&comma; তিনি কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বশির আহমেদ। আজ বড় বেশি মনে পড়ছে এই ছত্রটি-&OpenCurlyQuote;এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ&comma; মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।’<br &sol;>&NewLine;উনার প্রয়াণ সংবাদটা ইন্টারনেটে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে দেখে মুষঢ়ে পড়েছিলাম। অত্যুজ্জ্বল টরোন্টো শহরকে আমার কাছে অন্ধকার মনে হয়েছিল। মনের ভেতর কালো মেঘেরা আনাগোনা করছিল। আমার ছেলে ও স্ত্রীকে এই মহাপ্রয়াণের সংবাদটা দিলাম।<&sol;p>&NewLine;<p><img class&equals;"alignnone size-full wp-image-55792" src&equals;"https&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2023&sol;11&sol;Bk-4-2&period;jpg" alt&equals;"" width&equals;"516" height&equals;"470" &sol;><&sol;p>&NewLine;<p>আজকে আমার কলামে মূলত কিংবদন্তি কন্ঠশিল্পী বশির আহমেদ সম্পর্কেই লিখব। তার আগে এই মহান ও উঁচু মাপের মানুষটার সাথে আমার মতো নগণ্য একজনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্কের বিষয়ে আমার পাঠকদের কিছু জানাতে চাই। আমি তার কাছে সংগীতের তালিম নিয়েছিলাম। তিনি ছিলেন আমার ওস্তাদজী আর আমি ছিলাম তার নগণ্য এক সাগরেদ।<br &sol;>&NewLine;পড়াশোনা শেষ করে আমি তখন চাকরিতে ঢুকে যাই। ততদিনে আমি একজন প্রাবন্ধিক ও গল্পকার হিসেবেও আবির্ভূত হই। ঢাকার বিক্রমপুর হাউসে থাকতাম &lpar;বঙ্গভবনের দক্ষিণ পাশে&rpar;। বিক্রমপুর হাউস এখন নেই&semi; ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাসা থেকে বেবিট্যাক্সি নিয়ে চলে যেতাম মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লায় ওস্তাদজীর বাসায়। তখন পুরোনো ইমারত বিক্রমপুর হাউসে আমাদের বাসায় আমার একান্ত কক্ষে স্কেলচেঞ্জার হারমোনিয়াম ও তবলা ছিল। আর ছিল হাইফাই ডেকসেট ও স্পিকার। একজন তবলাবাদক অনিয়মিতভাবে আসতেন তবলা সঙ্গত করতে।<&sol;p>&NewLine;<p>এখানে একটু বলে নিই যে&comma; ওস্তাদজীর সান্নিধ্যে আসবার বহুকাল আগে থেকেই ওস্তাদজী ছিলেন আমার মনের কোণে তার গানের মাধ্যমে। শৈশব থেকেই তার গান শুনে আমি তাকে অন্তরে ধারণ করেছিলাম।<br &sol;>&NewLine;তখন নিয়মিত লিখতাম আর সাহিত্য আড্ডা দিতাম। আমি একসময় দি নিউ নেশন ও অন্যান্য পত্রিকায় চাকরি করতাম। পরে সরকারি চাকরিতে ঢুকে যাই। পরবর্তীতে গানের চেয়ে আমি লেখালেখির দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়েছিলাম। যে ভুলের কোনো মাশুল হয় না সেই ভুলটাই আমি জীবনে করেছি। গানের জগতে অনুপস্থিত ছিলাম বহুবছর। তবে সেটা আমার রক্তে ও মননে ছিল। টরন্টোতে অনেকেই আমার এই বিষয়টা আবিষ্কার করে আমাকে গান গাইতে অনুরোধ করত ঘরোয়া আসরে&comma; স্টেজে। আমি প্রথমবার হারমোনিয়াম নিয়ে যেতে পারিনি ক্যানেডায়। ২০১২ সালে বাংলাদেশে এসে হারমোনিয়াম নিয়ে গিয়েছিলাম।<&sol;p>&NewLine;<p>কিন্তু একটা বিশাল গ্যাপ হয়ে গিয়েছিল। যা আজও পূরণ করতে পারিনি আমি। পূরণ করার মতো নয়।<br &sol;>&NewLine;২০১৫ থেকে আমি নিয়মিত ঢাকা-টরন্টো আসা যাওয়া করি। এই পর্যায়ে দেখা হয়ে যায় গোপিবাগে থাকতে মহল্লার বড়ভাই সংগীতশিল্পী পারভেজ রব ভাইয়ের সাথে। ২০১৮ সালে তার তাগাদা ও উৎসাহে আমি ফিরে আসি সংগীতজগতে। প্রয়াত পারভেজ ভাই আমার ঢাকায় অবস্থানকালে নিয়মিত আসতেন আমার গানের সাথে তবলা সঙ্গত করতে।<br &sol;>&NewLine;স্বল্পসময়ের ব্যবধানে ওস্তাদজী বশির আহমেদের সহধর্মিনী আরেক কিংবদন্তি কন্ঠশিল্পী মিনা বশিরও পাড়ি দেন দূর অজানালোকে। à§­ অগাস্ট ২০১৪ এ তিনি প্রয়াত হন।<&sol;p>&NewLine;<p>সংগীত আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র জননন্দিত শিল্পী বশির আহমেদ যাত্রা শুরু করেন ষাট দশকে। বশির আহমেদ ষাট দশক থেকে আশির দশকের গোড়া পর্যন্ত দাপটের সাথে গান গেয়েছেন। তারপর হঠাৎ নীরব হয়ে যান। ফের ফিরে আসেন দুয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানে। কিছুদিন কাজ করেন তিনি। &OpenCurlyQuote;কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ ছবিতে গানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার &lpar;শ্রেষ্ঠ গায়ক&rpar; লাভ করেন। তারপর তো বয়সের ভারে অনেকটা নত হয়ে যান। জীবদ্দশাতেই তিনি প্রতিষ্ঠা করে যান সারগাম সাউন্ড স্টেশন&comma; যা এখন তার মেয়ে সুকন্ঠী গায়িকা হুমায়রা বশির ও ছেলে রাজা বশিরের নিরলস প্রচেষ্টায় একটা উচ্চতর মার্গে উপনীত হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>পাকিস্তান আমল থেকেই বশির আহমেদ এদেশের আহমেদ রুশদি &lpar;বরেণ্য পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী&rpar; হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। বশির আহমেদ ষাটের দশকে ভারত থেকে এইদেশে আগমন করেন এবং ষাট ও সত্তর দশকে ব্যাপক জনপ্রিয় কিছু আধুনিক ও সিনেমার গানের জন্ম দেন। এসব গানের মধ্যে &OpenCurlyQuote;অথৈ জলে ডুবে যদি মানিক পাওয়া যায়&comma;’ &OpenCurlyQuote;কাঁকন কার বাজে রুমঝুম&comma;’ &OpenCurlyQuote;আমার এ মন আমি যারে দিতে চাই&comma;’ &OpenCurlyQuote;তোমার কাজল কেশ ছড়াল বলে&comma;’ &OpenCurlyQuote;আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো&comma;’ &OpenCurlyQuote;অনেক সাধের ময়না আমার&comma;’ &OpenCurlyQuote;চোখ ফেরানো যায় গো&comma; তবু মন ফেরানো যায় না&comma;’ &OpenCurlyQuote;যারে যাবি যদি যা’ সহ আরও অসংখ্য গান গেয়ে বাঙালির মন জয় করে নেন। আশির দশকে তার গাওয়া বেশ ক’টি জনপ্রিয় গানের মধ্যে &OpenCurlyQuote;সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা&comma;’ সুপার হিট হয়।<&sol;p>&NewLine;<p>বশির আহমেদ এইদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের আগে লাহোর মাত করে আসেন। &OpenCurlyQuote;তুমহারে লিয়ে ইস দিলমে যিতনি মোহাব্বত হ্যায়’ গানটি তিনি গেয়েছিলেন শবনম-রহমান অভিনীত &OpenCurlyQuote;দর্শন’ ছবিতে। &OpenCurlyQuote;কারোয়ান’ ছবিতে গেয়েছিলেন-&OpenCurlyQuote;যব তুম একেলে হোগে হাম ইয়াদ আয়েঙ্গে।’ এছাড়া আরও বেশকিছু উর্দু ছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি। তৎকালিন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে যে গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল&comma; সেটি &OpenCurlyQuote;তালাশ’ ছবিতে গাওয়া &OpenCurlyQuote;কিছু আপনি শোনান&comma; কিছু আমার শুনে যান।’ এই ছবিটি উর্দুতেও নির্মিত হয়েছিল আর গানটি ছিল &OpenCurlyQuote;কুছ আপনি কহিয়ে&comma; কুছ মেরে শুনিয়ে।’<br &sol;>&NewLine;বশির আহমেদের দরাজ গলা&comma; সুরের জাদুকরী কারুকাজ ও মেলোডি&comma; তাকে সব শিল্পী থেকে আলাদাভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>স্বর ও তালবদ্ধ মনোরঞ্জক রচনাই সঙ্গীত। গান&comma; বাজনা ও নাচ এর তিনটি শাখা। গান হলো একটি শিল্পীসত্তার সঙ্গে লয়&comma; তাল ও ছন্দবদ্ধ বাণীর সুসংবদ্ধ বিন্যাস। আর এই বিন্যাসে পারদর্শিতা অর্জনে একজন শিক্ষার্থীকে নিমগ্ন থাকতে হবে কঠোর সাধনায়। সংগীত&comma; তথা যে কোনো বিদ্যার্জন যে সহজ বিষয় নয়-সে কথাটাই বশির আহমেদ বলতেন সবসময়।<br &sol;>&NewLine;বিটিভিতে &OpenCurlyQuote;আমার যত গান’ লাইভ অনুষ্ঠানটি আমি দেখি। এটি সম্ভবত ১৯৮৫ সালে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল মরহুম ড&period; আবু হেনা মোস্তফা কামালের উপস্থাপনায়। অনুষ্ঠানটির কথা আমার বিশেষভাবে মনে আছে। কারণ এই অনুষ্ঠানের অডিও &lpar;ক্যাসেট&rpar; আমি পরে সংগ্রহ করেছিলাম। অনুষ্ঠানে বশির আহমেদ ব্যঙ্গকন্ঠে বলেছিলেন যে&comma; সংগীত আজকাল খুব সহজ বিষয় হয়ে গেছে। ওস্তাদ আর সাগরেদের সম্পর্কটাও তেমনি সহজ হয়ে গেছে। ওস্তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আর তেমনিভাবে সাগরেদের প্রতি ওস্তাদের দায়িত্ববোধ কমে গেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এই গুণী শিল্পী ১৯৫৬ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে বাংলাদেশেরই আরেক কৃতী সন্তান শ্রীমতী গীতা দত্তের সঙ্গে বোম্বের &lpar;মুম্বাই&rpar; একটি ছবিতে কন্ঠ দেন। সেসময় হিজ মাস্টার্স ভয়েস তার রেকর্ড বের করে। তারপর ঢাকায় এসে তালাত মাহমুদের পাশাপাশি গজল পরিবেশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন বশির আহমেদ। &OpenCurlyQuote;তালাশ’ ও &OpenCurlyQuote;ময়নামতি’ ছবির সাফল্যের পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।<&sol;p>&NewLine;<p>বাংলাদেশ&comma; বাংলাদেশের মানুষ&comma; এর ভাষা ও সংস্কৃতি তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকল। লাহোর&comma; তথা পাকিস্তানে বিপুল সাফল্য&comma; নেপালের ইশারা&comma; জন্মভূমি ভারত-সবকিছু ফেলে তিনি স্থায়ীভাবে বসত করলেন ঢাকায়। উর্দু সাহিত্যে এমএ ডিগ্রিধারী বশির আহমেদ বাংলা ভাষায় অজ¯à§à¦° গান গাইলেন এবং বাংলা শিখলেন। এমনকি বাংলায় অনেক গানও নিজে রচনা করেছিলেন।<br &sol;>&NewLine;শিল্পী বশির আহমেদের জন্ম কোলকাতায় ১৯৩৯ সালে। তার সংগীত শিক্ষা শুরু হয় ওস্তাদ বেলায়েত হোসেন খাঁ’র কাছে। পরে তিনি সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেন কিংবদন্তি গায়ক ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলির কাছে।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি প্রথম দিকে আমাকে আপনি সম্বোধন করতেন&comma; তারপর তুমি বলতে শুরু করেছিলেন। সেই দিনটির কথা স্পষ্ট মনে আছে। যদিও তারিখটা ভুলে গেছি&comma; তবে দিনটা &lpar;সম্ভবত&rpar; ১৯৮৭ সালের কোনো এক শুক্রবার ছিল। তার স্ত্রী মিনা বশির&comma; পুত্র রাজা সাব্বির আহমেদ বশির ও মেয়ে হুমায়ারা বশির উপস্থিত ছিলেন। আর ছিলেন সাইফুল ভাই-আমার কলিগ &lpar;কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কন্স্ট্রাকশন লি&period;&rpar;&comma; আর উনার স্ত্রী। ভাবিও &lpar;সাইফুল ভাইয়ের স্ত্রী&rpar; গান গাইতেন আর বশির আহমেদের কাছে কিছুদিন গান শিখেছিলেন। সাইফুল ভাই বশির আহমেদের সাথে আমার যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিলেন। ওস্তাদজী বশির আহমেদ আমাকে রাগ বিলাওয়াল বা বিলাবল দিয়ে শিক্ষা দান শুরু করেন। তারপর তো অনেকদিন তার কাছে যাতায়াত করলাম।<&sol;p>&NewLine;<p>রাজ্জাক-কবরী অভিনীত কাজী জহির পরিচালিত &OpenCurlyQuote;ময়নামতি’ ছবিতে বশির আহমেদের কন্ঠের গান &OpenCurlyQuote;অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়’-সত্তর দশকে সারা বাংলাদেশে-শহরে-বন্দরে&comma; গ্রামেগঞ্জে&comma; প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিল। অন্যদিকে তার নেপালী স্ত্রী মীনা বশিরও &lpar;পরে পুরোদস্তুর বাঙালি বনে গিয়েছিলেন&rpar; কম গুণীশিল্পী ছিলেন না। মোহাম্মদ আলি সিদ্দিকীর সাথে দৈ¦à¦¤ কন্ঠে গাওয়া তার গান &OpenCurlyQuote;কে তুমি এলে মোর এই জীবনে&comma; ফাগুন এসেছে তাই বনে বনে&comma;’ সত্তর দশকে প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাছাড়া&comma; স্বামী বশির আহমেদের সাথে গাওয়া মীনা বশিরের অনেক গান হিট হয়েছিল। সত্তর দশকে &OpenCurlyQuote;মধুমিলন’ ছায়াছবিতে &OpenCurlyQuote;আঁধারে আলো হয়ে&comma; ফাগুনের অলি হয়ে&comma;’ কিংবা অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক সময়ে &OpenCurlyQuote;ওগো প্রিয়তমা ওরা জানতে চেয়েছে&comma;’ &OpenCurlyQuote;সবাই আমায় প্রেমিক বলে’ অথবা &OpenCurlyQuote;পাহাড়-নদী ঝরনা ধারা&comma;’ প্রভৃতি গান দারুণ হিট হয়েছিল।<&sol;p>&NewLine;<p>বশির আহমেদ-মীনা বশির দম্পতির বড় সন্তান হুমায়রা বশির ও ছোটো সন্তান রাজা সাব্বিরও গানের জগতেই আছেন। দুই ভাই বোনই এখন ঢাকার সংগীতজগতের বড় তারকা। অনেক পুরস্কার-স্বীকৃতিতে ভূষিত ও শ্রোতাদের ভালোবাসায় সিক্ত।<br &sol;>&NewLine;অসংখ্য জনপ্রিয় গানের ¯à§à¦°à¦·à§à¦Ÿà¦¾ বশির আহমেদ ভাস্বর ছিলেন আপন মহিমায়। বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানের জগতে বিচরণ করে গেছেন তিনি বীর দর্পে। তিনি বহুকাল বেঁচে থাকবেন কোটি শ্রোতার হৃদয়ে।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version