অনলাইন ডেস্ক : শ্রেণিভেদে মাংসাশী ও তৃণভোজী এই প্রাণীর বিচরণ ছিলো এখন থেকে প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে। গবেষকদের মতে গ্রহাণুর আঘাত, উল্কাপাত, বিস্ফোরণ, বিষাক্ত গ্যাস ও খাদ্যাভাবে একেবারে বিলুপ্ত হয় এই প্রজাতিটি। বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আবিস্কৃত এই প্রাণিটির বিরল ফসিলের পর্যবেক্ষণ ও বিশদ গবেষণাও সেদিকে ইঙ্গিত করে।

এযাবতকালে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের পায়ের ফসিল পাওয়া যায় ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। দৈর্ঘ্য ছিলো ১.৭ মিটার। পরের বছর ভারতের রাজস্থানে পাওয়া যায় লম্বা গলার তৃণভোজী ডাইনোসর-থারোসরাস ইন্ডিকাস। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এসব ফসিল কি কেনাবেচা হয়? এসবের মালিক হওয়া কি সম্ভব? এবার এমনই এক বিরল সুযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে ফ্রান্সের প্যারিসে।

নিলামে একটি ফসিলের প্রাথমিক ডাক ধরা হয়েছে ১২ লাখ ইউরো বা ১৪ কোটি ৪১ হাজার টাকা। ক্যাম্পটোসরাস প্রজাতির এই ডাইনোসরের ফসিলটি লম্বায় ১৬ ফুট চার ইঞ্চি ও উচ্চতায় ছয় ফুট ৯ ইঞ্চি। ক্যাম্পটোসরাস হলো পশ্চিম উত্তর আমেরিকা এবং সম্ভবত ইউরোপের শেষ জুরাসিক যুগের চঞ্চুযুক্ত অর্নিথিসিয়ান ডাইনোসরের বংশ।

খুব যত্নের সাথে এই ফসিলটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। মাথার অংশের হাড়গুলো ৯০ শতাংশ ঠিকঠাক আছে। আর পুরো শরীরের কাঠামো ৮০ শতাংশ অক্ষত আছে। এই ফসিলটি খুবই বিরল। বলা যায় এই প্রজাতির একমাত্র ও সর্বশেষ ফসিল এটি।

এটি ১৯৯০ সালে আবিষ্কৃত হলেও ২০০০ সালে একে জোড়া দিয়ে পূর্ণ ডাইনোসরের রূপ দেন জীবাশ্মবীদ ব্যারি জেমস। পরে তার নামেই এর নামকরণ করা হয়। সূত্র: বিবিসি