অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন ১৪ জুলাই (সোমবার) প্রথমবারের মতো এক লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছে, যা এই খাতের জন্য একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার বিটকয়েনের মূল্য রেকর্ড ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭১ ডলার ছুঁয়ে যায়, যদিও পরে তা কিছুটা কমে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৫৩ ডলারে এসে স্থিত হয়। খবর সিএনএনের।
এই উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্রে ডিজিটাল সম্পদ খাতের জন্য কাঙ্ক্ষিত নীতিমালার সম্ভাবনা। সোমবারই মার্কিন কংগ্রেসে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট একাধিক বিল নিয়ে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি নিজেকে ‘ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, এসব উদ্যোগকে সমর্থন করে নীতি সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন, যা খাতটির পক্ষে কাজ করছে।
আইজি মার্কেট অ্যানালিস্ট টনি সাইকামোর বলেন, ‘বর্তমানে বিটকয়েন একাধিক অনুকূল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে—প্রাতিষ্ঠানিক চাহিদা বৃদ্ধি, ভবিষ্যতে আরও মূল্যবৃদ্ধির প্রত্যাশা, এবং ট্রাম্পের সমর্থন—এই তিনটি বিষয়ই একত্রে বড় প্রভাব ফেলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৬-৭ দিন ধরে অনেক শক্তিশালী ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এখন এমনকি ১,২৫,০০০ ডলারের লেভেল স্পর্শ করাও অসম্ভব কিছু নয়।’
২০২২ সালের ‘ক্রিপ্টো শীতকালীন’ সময়ে সর্বনিম্ন মূল্য থেকে এখনকার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্য অনেক দূরের পথ অতিক্রম করেছে বিটকয়েন। এই ঊর্ধ্বগতির ঢেউয়ে অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোরও মূল্য বেড়েছে।
ওকেএক্স সিঙ্গাপুরের সিইও গ্রেসি লিন বলেন,‘বিটকয়েনকে এখন দীর্ঘমেয়াদী রিজার্ভ অ্যাসেট হিসেবে দেখা হচ্ছে-শুধু খুচরা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নয়, কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিতেও। এছাড়া, এশিয়া-ভিত্তিক ফ্যামিলি অফিস ও সম্পদ ব্যবস্থাপনাকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে, যা বিটকয়েনের গ্লোবাল অর্থব্যবস্থায় গুরুত্ব বাড়ার প্রমাণ।’
এ মাসের শুরুতেই ওয়াশিংটন ঘোষণা করে যে ১৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহটি হবে ‘ক্রিপ্টো সপ্তাহ’।
