Home কানাডা খবর বিদেশি শ্রমিকদের পরিবারকে ওয়ার্ক পারমিট দেবে কানাডা

বিদেশি শ্রমিকদের পরিবারকে ওয়ার্ক পারমিট দেবে কানাডা

কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এন্ড সিটিজেনশীপ মন্ত্রী শন ফ্রেজার

অনলাইন ডেস্ক : ফেডারেল সরকার অস্থায়ী বিদেশী কর্মীদের জন্য তাদের পরিবারকে কানাডায় নিয়ে আসা সহজ করে দিতে যাচ্ছে। গত ২রা ডিসেম্বর, শুক্রবার এডমন্টনে একটি অনুষ্ঠানে কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এন্ড সিটিজেনশীপ মন্ত্রী শন ফ্রেজার ঘোষণা করেন, জানুয়ারি থেকে শুরু করে অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদনকারীরাও তাদের পরিবারকে তাদের সাথে আনতে পারবেন। এ বিষয়টি আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুমোদিত ছিল না।

‘কানাডা ২ লাখেরও বেশি কর্মীকে অনুমতি দেবে যাদের পরিবারের সদস্য কানাডায় আছে অথবা তারা কানাডায় তাদের প্রিয়জনদের সাথে থাকা অব্যাহত রাখতে চায় এবং নিজেদের সহযোগিতা করার জন্য এখানে থাকাকালীন কাজ করার অনুমতি দেবে,’ বলেন মন্ত্রী শন ফ্রেজার। প্রোগ্রামটি দুই বছর ধরে চলবে এবং কানাডার ওয়ার্ক পারমিটে থাকা ব্যক্তিদের স্বামী/স্ত্রী এবং প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরাও তাদের নিজস্ব পারমিট পাওয়ার অনুমোদন দেবে।
অস্থায়ী বিদেশী কর্মী কর্মসূচী প্রাথমিকভাবে ‘উচ্চ দক্ষতা এবং নিম্ন মজুরি’ এই দুই ধরণের বিভাগে বিভক্ত। ফ্রেজার বিদেশী কর্মীদের তাদের পরিবারকে তিন ধাপে আনার ক্ষমতা প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছেন।

এর আগে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের কেউ কেউ তাদের স্ত্রীকে আনতে সক্ষম হয়েছে, তবে নতুন ঘোষিত পরিবর্তনের কারণে এবার উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বেশিরভাগ শ্রমিকই জানুয়ারির প্রথম দিক থেকেই তাদের পরিবারকে তাদের সাথে আনতে সক্ষম হবে।

নি¤œ-মজুরি পাওয়া শ্রমিকদের পরবর্তীতে এ ধারায় যুক্ত করা হবে, যার মধ্যে আতিথেয়তা, পর্যটন এবং কিছু স্বাস্থ্য-পরিচর্যা পদে কর্মী অন্তর্ভুক্তির বিষয় রয়েছে। মন্ত্রী ফ্রেজারের প্রস্তাবের শেষ ধাপটি কৃষি শ্রমিকদের টার্গেট করে, যারা নতুন এ কর্মসূচীতে শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় অংশের জায়গা পূরণ করবে। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় প্রদেশগুলোর সাথে পরামর্শের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যারা কর্মীর আবাসন পরিদর্শন এবং অন্যান্য মান নির্ধারণ করে এ প্রোগ্রামে ভূমিকা পালন করবে।

সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান কানাডার হিসেবে দেখা গেছে যে, এই বছরের অর্ধেক সময়ে সারা দেশের কর্মসংস্থানে প্রায় দশ লাখ শূন্য পদ ছিল। স্বাস্থ্যসেবা, আতিথেয়তা এবং পর্যটনে শ্রমিক ঘাটতি পূরণ করা বিশেষত কঠিন।

সংস্থাটি বলেছে যে, জুন মাসে গ্রীষ্মকালীন পর্যটন শিল্প চালু হওয়ার সাথে সাথে খাদ্য পরিষেবা এবং বাসস্থানে প্রায় দেড় লাখ চাকরির পদ খালি ছিল। মন্ত্রী বলেন যে, কানাডা শ্রম ঘাটতির মত একটি বড় বিষয় মোকাবিলা করছে এবং শ্রমিকের অভাব দেশটির মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

‘আমাদের জিডিপি বর্তমানে প্রাক-মহামারী স্তরের তুলনায় অনেক বেশি এবং এই গ্রীষ্মে কানাডায় বেকারত্বের হার সর্বনি¤œ স্তরে ছিল,’ বলেন মন্ত্রী। ফ্রেজার বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে নির্দিষ্ট ঘন্টা কাজ করতে পারার সীমাবদ্ধতা তুলে নিয়েছে এবং মূল সেক্টরে অভিবাসীদের নির্বাচন করার জন্য অভিবাসন প্রোগ্রামগুলোকেও পরিবর্তন করেছে, তবে আরও কিছু করা দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ফ্রেজার স্বীকার করেন যে, আবাসন খাতে সমস্যা রয়েছে এবং নিয়োগ কর্তারা শ্রমিকদের আনার জন্য মজুরি বাড়াতে পারে। তবে তিনি বলেন, প্রোগ্রামটি স¤প্রসারিত না করার অর্থ হাজার হাজার চাকরি অপূর্ণ রেখে দেওয়া, এটি এমন ব্যবসাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে যারা অনেক কানাডিয়ানকে নিয়োগ দিয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এ পরিবর্তন বিদেশী কর্মীদেরকে ন্যায্যতা দেবে; জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের পরিবার থেকে আলাদা হতে হবে না। ‘যে লোকেরা এখানে কানাডার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে তাদের সন্তান এবং স্ত্রী থেকে আলাদা থাকার কঠিন সিদ্ধান্ত আর নিতে হবে না।’
সূত্র : ন্যাশনাল পোস্ট

Exit mobile version