অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে স্ত্রীর সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ। দুজনের জন্যই আগে থেকে এয়ারলাইনের কাছে হুইলচেয়ারের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিমান অবতরণের পর হুইলচেয়ারের ঘাটতি থাকায় হেঁটেই অভিবাসন দপ্তরের কাউন্টারে যেতে হয়। হেঁটে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ।

মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শুক্রবার এক প্রতিনেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই বৃদ্ধ নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন তিনি।

সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১১৬ বিমানে মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে নামেন তিনি। বিমানের টিকিট কাটার সময় নিজের ও স্ত্রীর জন্য দুটি হুইলচেয়ারের আবেদনও করেছিলেন তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুম্বাইয়ে পৌঁছনোর কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু বিমান অবতরণে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হয়।
দুপুর ২টা ১০ মিনিটে অবতরণ করে বিমানটি।

বিমান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলেছে, ওই বিমানের মোট ৩২ জন যাত্রী হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন। বিমান অবতরণের সময় ঘাটতি পড়ে হুইলচেয়ারের। ১৫টি হুইলচেয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিমানকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে বাকি হুইলচেয়ারের আয়োজনও করে ফেলতেন কর্মীরা।

কিন্তু হুইলচেয়ার কম থাকায় স্ত্রীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই বৃদ্ধ। বিমানবন্দরের ভেতর প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে যান তিনি। পথেই অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন তিনি।

পরে বিমানবন্দরের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এয়ারলাইনের মুখপাত্র এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করি। কিন্তু অনেক সময় যাত্রীরা হুইলচেয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে চান না। পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ভয়ে হুইলচেয়ার ছাড়াই চলে যান। এ ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক।’