সুহেল ইবনে ইসহাক, টরন্টো, কানাডা: বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কানাডার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক নম্বরে। অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন-এর হাই কমিশনার জনাব ড. খলিলুর রহমান কানাডার “সাপ্তাহিক বাংলা কাগজ”র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু স্বাধীনতার সময় থেকেই নয়, স্বাধীনতার পূর্ব থেকে যখন ১৯৭০ সনে ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনের ফলাফলের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যে গড়িমসি করে, এর পরিপ্রেক্ষিতে তদানীন্তন কানাডার প্রধানমন্ত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাবা জেমস ট্রুডো পাকিস্তান সরকারকে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। অতএব, কানাডা বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধেও সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু সরকার নয় কানাডার জনগণও মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহায়তা করেছে। স্বাধীনতার পরপরই কানাডা প্রথম কয়েকটি দেশের একটি, যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ কানাডা আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবং তার পর থেকে সর্বক্ষেত্রে বিশেষ করে সামাজিক ক্ষেত্রে যেমন উইমেন ইকোনোমিক এমপাওয়ারমেন্ট, স্কিল ডেভেলপ এন্ড পার ইয়ুথ, তাছাড়া সামাজিক সংস্থাগুলোকে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সাহায্য করতে থাকে এবং এই সাহায্যের পরিমান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।এখন কানাডা বাংলাদেশের একটি অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা একসাথে কাজ করে যাচ্ছি, জলবায়ু পরিবর্তন সহ “পীচ কিপিং অপারেশন”, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ও আমরা একসাথে কাজ করেছি। আমি মনে করি, বিশ্বের যে কয়টি উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো, কানাডা তার মধ্যে এক নম্বর। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তগত পর্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তিনি বলেন, “হাইকমিশনার হিসেবে আমার দ্বায়িত্ব হবে এই সম্পর্ককে আরো জোরদার ও উচ্চতম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।”