Home কানাডা খবর বুলিয়িং-এর শিকার হয়ে টরন্টোর স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা!

বুলিয়িং-এর শিকার হয়ে টরন্টোর স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা!

অনলাইন ডেস্ক: কানাডার মিডিয়া সাধারণত আত্মহত্যার কোনো সংবাদ প্রচার করে না। কিন্তু বারো বছর বয়সী স্কুল ছাত্র অর্কর মৃত্যু সংবাদটি মিডিয়ায় এসেছে এবং আত্মহত্যার খবর হিসেবেই এসেছে। অর্কর আত্মহত্যার খবরটি পড়তে পড়তে মনে হয়েছে- এটি বারো বছরের একটি বাচ্চার আতমহত্যার খবরই নয়, এক মায়ের আকুতির বিবরণই নয়, স্কুলে পড়ুয়া আমাদের ছেলে মেয়েদের প্রতি আমাদের আরো মনোযোগী হওয়ারও তাগিদ আছে এই খবরটিতে। নতুনদেশ ডটকম

দুর্বা মুখার্জী নামে ভারতীয় বাংলাভাষী তরুনী মা বারো বছরের ছেলেটিকে নিয়ে কানাডায় এসেছিলেন উন্নত এবং নিরাপদ জীবনের সন্ধানে। কিন্তু এক বছরের মাথায়ই তার জীবনে নেমে এসে গভীর অমানিশা। গত ২১ জুন বাড়ীর কাছেই একটি বিল্ডিং এর পাশে অর্ককে মৃত অবস্থায় প্ওায়া যায়। ময়না তদন্ত করোনারি অফিস থেকে জানানো হয়, অর্ক ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সন্তানের ম্রতূর প্রায় চার মাস পর মা দুর্বা জানতে পারে- তার ছেলের অসময়ে মৃত্যুর কারন।
বারো বছরের একটি ছেলে আত্মহত্যা করবে কেন? দুর্বার অভিযোগ স্কুলে তার ছেলে ‘বুলিয়িং’ এর শিকার হয়েছিল্ ো। সে কারনেই সে আত্মহত্যা করেছে। তিনি ‘পুরো প্রভিন্সজুড়ে বুলিয়িং এর ব্যাপারে তদন্ত চেয়েছেন’।

স্কুলগুলোতে বুলিয়িং হয়- এটা অজানা কোনো তথ্য নয়। কিন্তু সেই বুলিয়িং এর মাত্রা কতোটা? কোনো একটি ঘটনা দিয়ে হয়তো সেই বুলিয়িং এর মাত্রা পরিমান করা কঠিন। কিন্তু সিবিসির সিরিজটা যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই কানাডার স্কুলের পরিস্থিতি দেখে আঁতকে ওঠে থাকবেন।
দুর্বার একটা ভিডিও সাক্ষাতকার দেখলাম। সেখানে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, তাতে যে কোনো অভিভাবকের উদ্বিগ্ন হবার কারন আছে। অর্ককে সহপাঠীরা পিটিয়েছে, সেটা নিয়ে পুলিশী তদন্ত হয়েছে, তদন্ত শেষে পুলিশ বিষয়টি ‘ক্লোজ’ করে দিয়েছে।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ‘অর্ক নামের ছেলেটির জীবনের প্রদীপও ক্লোজ হয়ে গেছে।

কেমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে অর্ককে সময় কাটাতে হয়েছে- তা আমরা জানিনা। সম্ভবত অনুমানও করতে পারবো না। তবু বাবা- মা দের বলি, আপনার সন্তান স্কুলে কি করছে, কাদের সাথে মিশছে, কেমন অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ী ফিরছে- জানার চেষ্টা করুন। সন্তানের বন্ধু হ্ওয়ার কোনো বিকল্প আমাদের কিন্তু নেই।

Exit mobile version