হাসান আমিন : বৃহত্তর টরন্টো এলাকায় সিজলিং রিয়েল এস্টেট মার্কেটপ্লেসের মধ্যে ১০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের বাসস্থান শুধুমাত্র ৭ লাখ ডলারে। পাঁচ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট। ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদের হারে ৩০ বছরের বন্ধক? এগুলো ছিল একটি রিয়েল এস্টেট চুক্তির আকর্ষণীয় শর্ত। যার বিষয়ে স্থানীয় রিয়েলটর (রিয়েল এস্টেট কোম্পানির হয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তি) হোরেস ডকরি বলেছেন যে, গ্রীষ্মের শেষ সময় থেকে টরন্টোর কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকায় প্রচারিত হচ্ছে।

এসব অফার প্যারাডাইস ডেভেলপমেন্টস ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক নির্মিত উন্নয়নে প্রাক-নির্মাণ বাড়ির জন্য ছিল- একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডেভেলপার বর্তমানে বৃহত্তর টরন্টো এলাকার পিকারিং, হুইটবি, ব্রাম্পটন, অরোরা এবং ভনের কমিউনিটিগুলোর জন্য বাড়ি তৈরি করছে। ডকরি বলেছেন, বিক্রেতা- (প্যারাডাইস ডেভেলপমেন্ট হোমস লিমিটেড, পিডিএইচএল) নির্মাতা প্রায় অভিন্ন নাম ছিল এবং এম্পায়ার ফাইন্যান্স নামে একটি ব্যক্তিগত ঋণদাতা বন্ধকী অর্থায়ন সরবরাহ করবে।

ডকারির কাছে- যিনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ, চটকদার বাক্যগুলো একটি অবিশ্বাস্য চুক্তি ছিল বলে মনে হয়নি, তবে কয়েকটি প্রধান শর্তের মধ্যে কিছু বিষয় যা তাকে রিয়েল এস্টেটে আগ্রহী টরন্টোর বø্যাক স¤প্রদায়ের সদস্যদের জন্য একটি ফেসবুক গ্রæপে সতর্কবার্তা পোস্ট করতে প্ররোচিত করেছিল।

ডকরি সিবিসি নিউজকে বলেছেন, কিছু বিষয় তার কাছে অস্পষ্ট লেগেছে, তার মনে হয়েছে ‘এখানে কোন সমস্যা আছে।”

তার পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে, একদল লোক প্যারাডাইস ডেভেলপমেন্টস ইনকর্পোরেটেড বাড়ি বিক্রির প্রচারোণা চালাচ্ছে, কিন্তু ক্রেতাদের একই শিরোনাম দিয়ে (প্যারাডাইস ডেভেলপমেন্ট হোমস লিমিটেড) কোম্পানিতে আমানত প্রদান করতে রাজি করাচ্ছে । তার পোস্টে, ডকরি বলেছিলেন, যে কেউ এই সংস্থাকে অর্থ দেবে সে হবে “গৃহহীন” এবং “অনেক অর্থ হারাবে।” “আমাদের স¤প্রদায়ই প্রধান লক্ষ্য,” পোস্টটিতে বলা হয়েছে। “এটি সন্দেহজনক, এমনটিই সাধারণত হয়।”

সিবিসি নিউজ একটি মাসব্যাপী তদন্ত পরিচালনা করেছে, যা প্রকাশ করেছে যে একই শিরোনাম ব্যবহার করেছে এমন দুটি সহ প্যারাডাইস ডেভেলপমেন্টস ইনক. তার উন্নয়নে বাড়ির জন্য আমানত সংগ্রহ করা থেকে অনেক ব্যক্তি এবং কোম্পানিকে আটকানোর চেষ্টা করছে।

এই সংস্থাগুলো কে চালাচ্ছে এবং তারা আইন মেনে ব্যবসা করছে কিনা তা নিয়ে তদন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে? এই সমস্ত কিছুর মধ্যে, প্রশ্ন থেকে যায় ওইসব ভোক্তাদের জন্য যাদের সমাপ্তির তারিখ মাস বা এক বছর দূরে এবং যারা সম্মিলিতভাবে কয়েক হাজার ডলার রেখে দিয়েছে।

সিবিসি নিউজ ১০ জনেরও বেশি লোকের সাথে কথা আলাপ করেছে, যারা বলেছে যে তারা হয় পিডিএইচএল বা এম্পায়ার ফাইন্যান্সের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের আমানত দিয়েছে বা যারা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রির বিষয়ে জেনেছেন কিন্তু বিনিয়োগ করেননি। এদের বেশিরভাগই কালো স¤প্রদায়ের সদস্য। কেউ কেউ চুক্তির বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, অন্যরা বিশ্বাস করেন যে তারা বৈধভাবে একটি বাড়ি কিনেছেন।

সিবিসির তথ্য নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না যে এই অফারগুলো নির্ভরযোগ্য কিনা, যেহেতু সামনেই ভোক্তাদের সমাপ্তির তারিখ আসছে। ডকরি- যিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্ধকী ব্রোকার- বলেছেন যে,একটি ব্যক্তিগত ঋণদাতা এত কম বন্ধকী হার অফার করবে এমনটা হওয়ার কোন উপায়ই নেই। বাটলার মর্টগেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ২৭ বছরের শিল্প অভিজ্ঞসম্পন্ন রন বাটলার ডকরির কথায় একমত।

“ব্যক্তিগত মর্টগেজ ২ দশমিক ৭ শতাংশে দেয়া যেতে পারে এমন ধারণাটি হাস্যকর, বলেন বাটলার। বাটলার বলেছেন, গত বছর বা তার বেশি সময় ধরে একটি ব্যক্তিগত ঋণদাতা দ্বারা দেয়া একটি সাধারণ সুদের হার ৬ দশমিক ৫ থেকে আট শতাংশের মধ্যে হবে।
বাটলার উল্লেখ করেছেন, একটি ৩০ বছরের বন্ধকী অফার দেয়ার জন্য একজন ঋণদাতাকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের বন্ধকীর সিকিউরিটাইজ করতে হবে, যা শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর মতো বড় প্রতিষ্ঠানেরই করার ক্ষমতা রয়েছে। সূত্র : সিবিসি