বিনোদন ডেস্ক : অমিতাভপুত্র অভিষেককে নিয়ে নানান কৌতুক চলে বলিউডে। কখনো কখনো সেসব নির্মমও। এমনও বলা হয়, ঘরে বেকার ছেলে থাকার বেদনা ভদ্রলোক অমিতাভ হাড়ে হাড়ে টের পান! করোনা জয় করে অভিষেক স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে শুরু করলেন, ঠিক তখনই তাঁকে নিয়ে আবার ট্রল। বলা হলো সিনেমা হল খুললে তাঁর লাভ নেই।
বড় তারকার পুত্র—ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছিল এমন তকমা নিয়ে। বছরের পর বছর কাজ করলেন বলিউডে। প্রায় দুই যুগ। এত বছর পরেও বচ্চনপুত্র হিসেবে আজও অনেকের কাছে পরিচিত তিনি। আবার কখনো কখনো ঐশ্বরিয়ার স্বামী হিসেবে। এসব কারণে প্রায়ই ট্রলিংয়ের শিকার হন অভিষেক বচ্চন।
তবে ‘বাপকা বেটা’ বলে কথা! পারিবারিক ঐতিহ্য আছে তাঁর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলিংয়ের যোগ্য জবাব দিতেও সময় নেন না অভিষেক। যেমনটা দিলেন গতকাল।
ভারতে সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হলো, ১৫ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলবে। নিঃসন্দেহে ভারতের বিনোদন জগৎ এবং বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের জন্য বড় খবর, খুশির খবর এটি। অভিষেকের জন্যও নিশ্চয়। এই খবরেই নিজের আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি তিনি। এনডিটিভির অনলাইনে প্রকাশিত একটি খবরের স্ক্রিনশট নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন টুইটারে। আর এটা নিয়ে হলো রসিকতা আর ট্রল।
তাঁর টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে একজন লেখেন , ‘সিনেমা হল খুললেও আপনার উচ্ছ্বাস অযথা। কারণ আপনি তারপরেও ঠিক আগের মতোই জবলেস (বেকার) থাকবেন। তবে এসব গা সওয়া হয়ে গেছে অভিষেকের কাছে। নিয়মিতই এমন সব ট্রলের জবাব দেন তিনি। মোটেও দমে যাননি, বিচলিত হননি তিনি। কড়া জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘হায়! কী দুর্ভাগ্য যে আমাদের কাজের সাফল্য নির্ভর করে আপনাদের মতো দর্শকদের হাতে। আমাদের কাজ আপনাদের ভালো না লাগলে আমরা পরের কাজে সুযোগই পাই না। সে জন্য আমাদের সবটুকু দিয়েই আমরা আপনাদের মন জোগানোর চেষ্টা করি।’
প্রসঙ্গত, আগেও নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এ ধরনের পরিস্থিতি সামলেছেন এ অভিনেতা। এমনকি করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন অমিতাভের সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেই সময়েও ট্রল করতে ছাড়েননি নেট দুনিয়ার নাগরিকরেরা।
একজন টুইট করেন, ‘এখন তো আপনার বাবাও হাসপাতালে ভর্তি, এবার কার ভরসায় বসে বসে খাবেন?’ জবাবে অভিষেক লিখেছেন, ‘আপাতত তো বসে নয়, শুয়েই খাচ্ছি, তা–ও আবার বাবার সঙ্গে একছাদের তলায়।’ গত মাসেই কৌতুক করে একজন পোস্ট করেছিল, অভিষেকের ফলোয়ারের সংখ্যা অভিনেত্রী প্রাচী দেশাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড নায়িকার চেয়েও বেশি! উত্তরে অভিষেক জানান, একজন অভিনেতার সাফল্যের মাপকাঠি কখনোই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যার দ্বারা নির্বাচিত হতে পারে না। প্রাচী একজন দক্ষ শিল্পী এবং সুযোগ্য অভিনেত্রী। সর্বোপরি সে আমার খুব ভালো বন্ধু।
অভিষেককে শেষ দেখা গিয়েছিল আমাজন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ ‘ব্রিদ : ইনটু দ্য শ্যাডোস’–এ। গত ১২ জুলাই অভিষেকের কোভিট পজিটিভের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের একজন ভক্ত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অভিষেকের “ব্রিদ টু” শেষ করে ফেসবুকে ঢুকে দেখি অমিতাভ বচ্চন কোভিড-১৯ পজিটিভ। আমি শুরুতেই ধরে নিয়েছিলাম, অভিনয়ের দিক থেকে আর মাধবনের উচ্চতা কোনোভাবেই “জুনিয়র এবি” ছুঁতে পারবে না। অমিতজি বরং আপনি জলদি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। আপনার অভিনয়ের অনেক অনেক তেলেসমাতি দেখা বাকি।’