বিনোদন ডেস্ক : কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই দেশই একে অপরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এমনকি নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি, সমাঝোতাও বাতিল করে নিচ্ছে।

এমন অবস্থায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছেড়ে যাওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেই ছাপ গিয়ে পড়েছে দেশটির শোবিজাঙ্গনেও। ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কটের ডাক উঠেছে।

যারই রেশ ধরে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের ‘আবির গুলাল’ সিনেমা। আট বছর বাদে বলিউডে ফিরতে চেয়েও ফেরা হচ্ছে না পাকিস্তানি সুপারস্টারের।

শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি শিল্পীদের নিয়ে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের ফিল্ম ফেডারেশেন অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পণ্ডিত।

এবার ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এপ্লয়িজের এক সভাপতি অশোক দুবেও আওয়াজ তুলেছেন ভারতীয় শোবিজাঙ্গনে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার জন্যে।

সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘এএনআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুবের মন্তব্য, ‘আমাদের কাছে দেশ আগে। বারবার আমাদের দেশের উপর আক্রমণ হানা হচ্ছে। সম্প্রতি পহেলগামেও জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেই বিষয়ে আমরা আবারও একটি বিবৃতি জারি করে নির্দেশ দিয়েছি, ভবিষ্যতে যদি আমাদের শোবিজের কোনো সদস্যকে পাকিস্তানি শিল্পী বা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করতে দেখি, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেব।’

অশোক জানিয়েছেন, ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এপ্লয়িজের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়ে পাকিস্তানি শিল্পীদের চিরতরে ভারতে কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানানো হয়েছে।

তাদের দাবি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যেন এ নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। আর ভবিষ্যতে যদি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের কেউ ওদেশের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার দুঃসাহস করে, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হোক। যাতে অন্য কেউ এমন কাজ করার আগে হাজারবার চিন্তাভাবনা করে। পহেলগাম হামলায় ভারতবাসীর মনেও নতুন করে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। ফাওয়াদ খানসহ সব পাকিস্তানের শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়ে নেটপাড়ার হুঁশিয়ারি, ‘বিশ্বাসঘাতকদের সঙ্গে কাজ করলে আগুন জ্বলবে।’

ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ায় পাকিস্তানি তারকাদের চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করতে এটাই বোধ হয় শেষ পেরেক। এর আগেও বহুববার এমন আওয়াজ উঠেছিল, তবে পহেলগামে হামলার ঘটনার পরে সেই আওয়াজই জোরেশোরে উঠলো।