অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম প্রশ্নোত্তর পর্বেই বিরোধীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে ঋষি সুনাককে। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন এসেছে এক সপ্তাহ আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে আবার সেই পদে বসানো নিয়ে।

সুয়েলা ব্রেভারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি স্পর্শকাতর সরকারি কাজে নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন। এটি মন্ত্রীদের আচরণবিধির লঙ্ঘন।

ব্রেভারম্যান অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন। নতুন করে আবার তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করায় বারবার প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে রাজনৈতিক বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সুয়েলা ব্রেভারম্যানের সমর্থন পেতে গোপনে চুক্তি করে তাকে ফেরানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ঋষি সুনাক জবাবদিহিমূলক সরকারের যে বার্তা দিয়ে আসছেন, ব্রেভারম্যানের নিয়োগ তার পরিপন্থী বলে দাবি করছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।

জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার বিষয়ে ব্রেভারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছেন ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেবার পার্টির আভেদ কুপার।

পার্লামেন্টে প্রায় ১৫ মিনিটের প্রথম প্রশ্নোত্তর পর্বে ঋষি সুনাকের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে ব্রেভারম্যান প্রসঙ্গেই। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে লেবার দলের নেতা কেয়ার স্টারমার প্রশ্ন করেন, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কারণে গত সপ্তাহে ব্রেভারম্যানের পদত্যাগ করা ঠিক ছিল কি না। জবাবদিহি ও পেশাদারির বিষয় তুলে স্টারমার বলেন, এক সপ্তাহ আগে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করা একজনের নিয়োগে কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিজের নেতৃত্বের বিষয়ে ব্রেভারম্যানের সঙ্গে কথিত সমঝোতার বিষয়টি তুলে বলা হয়, ‘সুনাক দলকে আগে, দেশকে পরে রাখছেন। ’

ঋষি সুনাক বারবারই ব্রেভারম্যান প্রশ্নে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। এর পরই প্রশ্ন তোলা হয় তার ব্যবসায়ী স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির কর ফাঁকি বিতর্ক নিয়ে। লিজ ট্রাসের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের লড়াইয়ের সময় বিষয়টি বারবার সামনে আসে। সমালোচনা করে বিরোধী নেতা স্টারমার বলেন, ‘সুনাক বলেন তিনি শ্রমজীবী মানুষের পাশে আছেন। তবে তিনি করেন ভিন্ন কিছু। ’ এ সময় তিন মাসে রক্ষণশীল দলের তিন প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীরা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন সাধারণ নির্বাচনের দাবি তোলেন।

ইউক্রেনকে সমর্থনে বাইডেনের সঙ্গে মতৈক্য

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ঋষি সুনাক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। একসঙ্গে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তারা। ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া ও যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়েও ঐকমত্য পোষণ করেন দুই ঐতিহ্যবাহী মিত্র। চীনের পক্ষ থেকে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাতেও তারা একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান।

সূত্র : বিবিসি, এএফপি