Home আন্তর্জাতিক মস্কোর দুর্দশায় চীনের পোয়াবারো

মস্কোর দুর্দশায় চীনের পোয়াবারো

অনলাইন ডেস্ক : বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ঝোপ বুঝে কোপ মারা- সেই অবস্থাই হয়েছে এখন চীনের। ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থনৈতিক দূর্দশায় পোয়াবারো চীনের। রাশিয়ার দুর্দিনে চীনের কপাল খুলেছে-এটা বলা অতিরঞ্জিত হবে বলে মনে হয় না।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনের কর্মকর্তারা এটিকে তাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে অর্থনৈতিক সুযোগ হিসেবেই দেখছে। বেইজিং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থেকে উদ্ভূত কোনো আর্থিক খরচের বোঝা বহন করতে রাজি নয় এবং দেশটি আর্থিক ত্রাণ দিতে বা রুশ রুবলের সঙ্গে চীনের মুদ্রার অদলবদলেও তেমন প্রসারিত করবে না।

চীনের সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা এক অনলাইন সেমিনারে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চীন শত্রু বানাতে চায় না। গত ১৭ মে মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো জানান, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর রাশিয়াতে উল্লেখযোগ্যভাবে চীনা প্রযুক্তি রপ্তানি কমেছে। তিনি এটিকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার বিষয়ে বেইজিংয়ের সতর্কতার লক্ষণ বলে অভিহিত করেছেন।

রাশিয়া অন্য দেশে তার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। তবে এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে চীন। দেশটি রাশিয়ার দেওয়া বিশাল ছাড়ে দেশটি থেকে লাভে পণ্য কিনছে।

চীনা কাস্টমসের দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৫১ মার্কিন বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রাশিয়া থেকে চীনের আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের প্রায় ৭০ শতাংশ হচ্ছে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা।

গত ১৯ মে ব্লুম্বার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তার কৌশলগত পেট্রোলিয়াম মজুদ বাড়াতে অপরিশোধিত তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি পর্যায়ে এই আলোচনা হয়েছে। ইইউ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে কাজ করছে এমন অবস্থায় বেইজিং মস্কোর সঙ্গে জ্বালানি সম্পর্ক জোরদার করছে বলে মনে হচ্ছে।

রিপোর্ট জানিয়েছে, গত মাসের তুলনায় এপ্রিলে চীনে রাশিয়ান ধাতব কয়লার চালান প্রায় ৪৯ শতাংশে বেড়েছে।

Exit mobile version