Home কলাম মাইন্ড দ্যা গ্যাপ!

মাইন্ড দ্যা গ্যাপ!

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>ঋতু মীর &colon;<&sol;strong> &OpenCurlyDoubleQuote;Think positively&comma; you will never lose because positivity always wins”<br &sol;>&NewLine;১।<br &sol;>&NewLine;সত্যবতীর ছোট্ট উঠানটা আজ জমজমাট আড্ডায় মুখর। নাম না জানা ফুলের এক মিষ্টি বুনো গন্ধ বাতাসে। বিশাল ম্যাপেল গাছগুলোর সদ্য গজানো কচি সবুজ পাতায় সূর্যের দৃষ্টিভেদী সোনালী আলো উঠান ঘিরে এক অপরূপ ব্যাঞ্জনা তৈরি করেছে। প্রকৃতির অকৃপণ উজাড় করা সৌন্দর্যে মুগ্ধ উপস্থিত সকলেই। ঘন হয়ে বসা আড্ডাটা একঝলক দেখে নেয় সত্যবতী। একে একে প্রত্যেকের মুখে নিবিড় পর্যবেক্ষণের দৃষ্টি ফেলে সে। ম্যাপেল পাতার ফাঁক গলিয়ে চিরলবিরল আলোছায়া সুখের আঁকিবুঁকি কাটছে প্রতিটা মুখে। মানুষের মন &OpenCurlyQuote;পড়তে’ পারার অলৌকিক এক ক্ষমতা সত্যবতীর অস্থিতে মজ্জায়। ছোট বা বড়&comma; নারী বা পুরুষ- আমন্ত্রিত প্রত্যেকের জন্য সুন্দর অর্থবহ কিছু সময় উপহার দেয়ার ইচ্ছায় সে সদা উদ্বুদ্ধ। অনেকদিন পর মনের সাথে মন&comma; কথার পিঠে কথা মিলানোর সুযোগ পেয়ে উপস্থিত সকলের মনেই যে উদ্বেলিত আনন্দের এক ফল্গুধারা বইছে- নিমেষেই তা বুঝে নেয় সত্যবতী। স্বস্তি&comma; নির্ভরতা&comma; ভালো লাগায় মোড়ানো এই মাহেন্দ্রক্ষণ পুরোটাই সফলতায় ভরে তুলতে তত্পর হয় সত্যবতী। ত্রস্ত হাতে অতিথি আপ্যায়নে সামনের টেবিলটা ভরে তুলে সে। টেনে টেনে নিয়ে প্রায় সবাইকে ঘাস আগাছায় ভরে থাকা আপাতঃ অগোছালো একচিলতে বাগানটা দেখায়। উচ্ছ্বাসে টগবগে হয়ে &OpenCurlyQuote;লাইলাক’ আর &OpenCurlyQuote;লিলি’ ফোঁটার খবর জানায়। কিশোরীর উচ্ছলতায় স্যান্ডচেরির বারগ্যাণ্ডী রঙ পাতার ফাকে ছোট্ট সাদা পাথর কুঁচি ফুলের দিকে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে সত্যবতী- দ্যাখো&excl; কি অবিস্মরণীয় এই সৌন্দর্য&excl; নীরব অহঙ্কারে নিজেকে কেমন অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে তাই না&excl; সত্যবতীর কথায় কেউ কেউ নতুন ভাবে স্যান্ডচেরী গাছটার দিকে তাকায়। কেউ বা আবার তার অকারণ দার্শনিকতায় আপ্লূত মুখ দেখে ঠোঁট টিপে হাসে। &OpenCurlyQuote;সত্য’ ঠিক এমনি&excl; প্রকৃতি থেকে শুরু করে মানুষসহ চারপাশের প্রতিটা জিনিষেই অপরূপ সৌন্দর্যের কিছু আবিষ্কারের ইচ্ছায়ও কিন্তু দারুন পসিটিভ&excl; কিছুটা স্বগতোক্তিতেই মৃদু হেসে বলে জোনাকি। এত সুন্দর চারপাশ&excl; পাখীর বাসার মত ছোট্ট সুন্দর তোমার এই বাসাটা গাছ গাছালীর নিবিড় সবুজ ছায়ায় কি দারুণ মনকাড়া নয়নাভিরাম&excl; বন্ধুদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রশংসায়&comma; স্তুতির প্রলাপে মনের ঝর্নাটা ক‚লকুল বয়ে যায় সত্যবতীর। বুকের গভীর জলধিতে হাজার ব্যাঙ আনন্দে লাফালাফি করে। কিছু স্তুতি&comma; কিছু ছোট্ট প্রশংসার ক্ষমতা যে কতোটা শক্তিধর&excl; হোক সে অতিরঞ্জিত&comma; হোক সে খানিকটা মিথ্যা&comma; তারপরও প্রশংসার মত একটা কিছু কোন বিক্ষুদ্ধ মনের হতাশার মেঘ মেঘ আবহয়াওয়াকে বদলে দিয়ে নতুন উদ্দীপনায় একটা রোদেলা দিনের সুচনা করতে পারে। চঞ্চল পায়ে অতিথি আপায়্যনে ব্যস্ত হয় সত্যবতী। প্রজাপতির পাখায় ভর করে আড্ডার এই পাশ&comma; ওই পাশ উড়ে উড়ে চলে। বন্ধুর আনা সাদা এবং হাল্কা বেগুনী রঙ লাইলাক ফুলের স্তুপে &OpenCurlyQuote;ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো’ বলে প্রগলভ হাসিতে গড়িয়ে পড়ে সত্যবতী।<&sol;p>&NewLine;<p><img class&equals;" wp-image-36565 alignleft" src&equals;"https&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2022&sol;06&sol;Bk-3-1&period;jpg" alt&equals;"" width&equals;"202" height&equals;"216" &sol;><&sol;p>&NewLine;<p>২।<br &sol;>&NewLine;প্রকৃতি&comma; পরিবেশ&comma; আবহাওয়া&comma; বিপর্যয়&comma; সংসার&comma; কাজ&comma; চাকরি&comma; পছন্দের খাবার&comma; স্বাস্থ্যচর্চা &comma; দ্রব্য&comma; বাড়ির মুল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে শুরু করে ক্রমে দেশ&comma; রেসিজম&comma; বাংলা কম্যুনিটি&comma; সংস্কৃতি চর্চার মান এবং রাজনীতির উত্তাল আলোচনায় জমজমাট আড্ডাটা একসময় তুঙ্গে ওঠে। রাজনীতির আলোচনায় সত্যবতী বরাবর নিঃস্পৃহ উসাসীন। সেই বিষয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় অজ্ঞতার কারণেই চুপ করে থাকে সে। হঠাত কম্যুনিটিভিত্তিক স্থানীয় পত্রিকা এবং স্থানীয় লেখকদের লেখালেখির প্রসঙ্গ কানে আসাতে নড়েচড়ে বসে সত্যবতী। প্রসঙ্গটা ঠিক কোথা থেকে শুরু হয়ে কোন খাতে বইছে তা বুঝে নিতে অখণ্ড মনোযোগী হয়। পত্রিকার আলোচনার বিষয়টা ক্রমশ জনারন্য থেকে ব্যাক্তিক&comma; পরচর্চা থেকে নিন্দায় উত্তপ্ত হয়। &OpenCurlyDoubleQuote;কি যে ছাইপাশ ছাপা হয় এইসব পত্রিকায়&comma; সুখপাঠ্য হওয়া তো দূরে থাক পাঠযোগ্যই নয় কিছু”&excl; এই মন্ত্যব্যে একশত ভাগ সমর্থন জানিয়ে অন্যজন কথার সাথে কথা যুক্ত করে-&OpenCurlyDoubleQuote;এগুলোকে ঠিক পত্রিকা না বলে বিজ্ঞাপনের ফ্লায়ার বললেই যথার্থ হয় কিনা বল&quest; &OpenCurlyDoubleQuote;অখাদ্য মানহীন লেখা- এত গণ্ডা গণ্ডা লেখক&comma; লেখা&comma; এত সব কবিতা&excl; কবি&excl; তারা যা লিখবে তাই কেন প্রকাশ করতে হবে&quest; সম্পাদকের কি বিচার বুদ্ধি নেই&quest; পত্রিকাকে একটা মিনিমাম ষ্ট্যাণ্ডার্ড অবশ্যই ধারণ করতে হবে।” প্রচণ্ড বিরক্তির ক্ষোভভরা কথাগুলো সত্যবতীর মগজের তন্ত্রীতে টং করে বাজে। মনের সেনসিটিভ এন্টেনা বক্তার &OpenCurlyQuote;নেগেটিভ’ সুরের প্রতিধ্বনিটা চট করেই ধরে ফেলে। বরাবর একাগ্র পাঠক সত্যবতী। পাঠেই তার অনাবিল আনন্দ। তবে অনিয়মিত হলেও ইদানিং মাঝে মধ্যে লিখতে বসে সে। লেখালেখির সাথে যুক্ততা এবং প্রকাশের আনন্দ তাকে এক নির্ভেজাল সুখ উপহার দেয়। কলমের সাথে সখ্যতায় নিজের একান্ত কিছু সময়ে নিজেকে বিশ্লেষণ&comma; নিজের সাথে বন্ধুত্ব&comma; পারিপার্শ্বিকতা&comma; মানুষে মানুষে সম্পর্ক&comma; ভালোবাসা&comma; জটিলতা এই সব নিয়ে ভাবনার মগ্ন সময় বয়ে যায়। বক্তাদের মুখে সন্ধানী চোখ ফেলে সত্যবতী। &OpenCurlyDoubleQuote;পড়ার মত সত্যি কিছুই কি নেই আসলেই&quest; মান সম্পন্ন পছন্দের লেখা তো আজকাল হরদম ছাপা হচ্ছে। শুরুর দিকেতো দেশের পত্রিকা থেকে &OpenCurlyQuote;কপি’ &OpenCurlyQuote;পেস্ট’ করেই এখানকার পত্রিকা বের হত। এখনতো স্থানীয় পত্রিকায় এখানে বসবাসরত প্রবাসীরা অনেকেই নিয়মিত লিখছে- এই ব্যাপারটা কি উত্সাহব্যাঞ্জক বা উল্লেখ করার মত নয়&quest; সম্পূর্ণ পত্রিকা আদ্যপান্ত পড়ে দেখার সময় সম্ভবত কারও হাতেই থাকে না। পাঠকের নিচ্ছয়ই নিজের ইচ্ছা&comma; অনিচ্ছা&comma; রুচির সাথে মিলিয়ে পাঠযোগ্য জিনিষ খুঁজে নেয়ার স্বাধীনতা আছে। এখানে &OpenCurlyQuote;বাধ্যতামুলক’ বলেতো কিছু নেই। তাহলে প্রকাশিত লেখা&comma; পত্রিকার কোয়ালিটি নিয়ে &OpenCurlyQuote;জাত গেল’ মনোভাবে এত বিষ ঢালা কেন&quest; লম্বা নিঃশ্বাস টেনে আবার যুক্তি খণ্ডনে উঠে পড়ে লাগে সত্যবতী। আর সব কিছু যখন &OpenCurlyQuote;অনলাইনে’ হাতের কাছে পাওয়াই যাচ্ছে তাহলে এখানকার কম্যুনিটি পত্রিকা হাতেই বা নেয়া কেন&quest; নাকি বিনা পয়সায় বিষ গিলতেও আপত্তি নেই&quest; সত্যবতীর গলায় প্রতিবাদের ঝাঁজালো সুর- এই যে প্রবাসের চ্যালেঞ্জিং জীবন যাত্রার নানা দিক সামলিয়ে কোন রকম &OpenCurlyQuote;ইনসেন্টিভ’ ছাড়াই কেউ কেউ প্রত্রিকায় লিখে চলেছে। কেন বল&quest; হতে পারে খুব বড় লেখক বা কবি হওয়ার প্রত্যাশায়&quest; কেউ যদি সেই লক্ষ্যে মটিভেটেড হয়ে ভিতরের অদম্য তাগিদে নিজের ভাষা&comma; সংস্কৃতি চর্চার কাজটা চালিয়ে যায় তাতেই বা দোষের কি আছে&quest; বুঝলাম তা তোমার প্রত্যাশা বা রুচির মানকে ছুঁতে পারছে না। কিন্তু &OpenCurlyQuote;কেন লিখবে&quest;’ &OpenCurlyQuote;কেন প্রকাশ হবে&quest;’ &OpenCurlyQuote;কেন পাঠককে বিরক্ত করা হবে&quest;’ এই প্রশ্নগুলো কিন্তু আমার কাছে ভীষণ অবিবেচনা প্রসুত&comma; বালখিল্য এবং অযৌক্তিক দাবি বলে মনে হচ্ছে। সমালোচনাতো &OpenCurlyQuote;গঠনমূলক’ হতে হবে তাই না&quest; কোন বিষয়ের &OpenCurlyQuote;ভালো’ দিক উল্লেখ করার যোগ্যতা&comma; ক্ষমতা এবং মানসিকতা থাকলেই কেবল &OpenCurlyQuote;মন্দ’ বলার অধিকার তৈরি হয়। পড়েই দেখলেনা অথচ &OpenCurlyQuote;self esteem’ ডাউন করা কঠিন কথা শুনিয়ে দিলে। নিজে কলম ধরে পত্রিকার &OpenCurlyDoubleQuote;কোয়ালিটি” বিষয়ে সুচিন্তিত কিছু লিখলে যে তাবত অখাদ্য পত্রিকা এবং ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা কিছু লেখক&comma; কবির উপকার হয় সেটা কেন ভেবে দেখছ না&quest; কি না&excl; তোমার লিখতে ভালো লাগে না&excl; কি না&excl; তোমার হাতে সময় নেই&excl; কিনা&excl; তুমি এই সব অখাদ্য পত্রিকায় নিজের লেখা দাওনা&excl; কিন্তু অযথা &OpenCurlyQuote;ছিদ্র’ অন্বেষণে যে তোমার &OpenCurlyQuote;কোয়ালিটি’ সময় নষ্ট হচ্ছে সেটা কি ভেবে দেখেছো&quest; সমালোচনা গঠনমুলক না হলে কিন্তু সেটা ব্যাক্তির কল্যাণে কোন ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখে না। &OpenCurlyDoubleQuote;If you don’t like something change it&semi; if you can’t change it change the way you think about it” একটানা গড়গড় করে বলে লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে সত্যবতী। জোনাকির দিকে তাকায়। সর্বাঙ্গে সমর্থনের ভঙ্গি এবং নীরব অভিব্যাক্তিতে বাঙময় জোনাকির চোখ- পসিটিভ চিন্তা তোমাকে অসীম শক্তি যোগাক সবসময়। তোমার কলম অব্যাহত গতিতে বয়ে চলুক&excl; এখানেই থেমে যেওনা যেন সত্য&excl; &lpar;চলবে&&num;8230&semi;&rpar;<br &sol;>&NewLine;Ritu Mir&comma; Teacher&comma; Toronto District School Board&comma; Toronto&comma; ritu&period;mir9&commat;gmail&period;com<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version