Home আন্তর্জাতিক মাদুরোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য’ ঘোষণা করলো ট্রাম্প প্রশাসন

মাদুরোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য’ ঘোষণা করলো ট্রাম্প প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক : ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তার সরকারের মিত্রদের একটি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা যুক্তি দেখিয়েছেন, এই তকমা পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘সবচেয়ে গুরুতর সন্ত্রাসবাদ দমনের হাতিয়ারগুলোর মধ্যে একটি’। এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনকে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের নেটওয়ার্কের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সরকার তথা প্রেসিডেন্ট মাদুরো জড়িত বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মাদুরো সর্বদা মাদক পাচারে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

সিএনএন জানিয়েছে, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনাবাহিনী সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এক ডজনেরও বেশি যুদ্ধজাহাজ এবং ১৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। মাদক পাচারবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন নৌকায় হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন মানুষকে হত্যা করেছে মার্কিন বাহিনী।

এই হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলেছে – সতর্ক করা হয়েছে, এটি গুরুতর ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হতে পারে।

সিএনএন আরও জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিকল্প সম্পর্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন। এর মধ্যে সামরিক বা সরকারি স্থাপনাগুলোতে হামলা এবং বিশেষ অভিযানে অভিযান। তবে কিছু নাও করা হতে পারে – এমন বিকল্প এখনো বিদ্যমান।

এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে আমেরিকান জনসাধারণের বিরোধিতা রয়েছে। রোববার প্রকাশিত সিবিএস নিউজ/ইউগভের এক জরিপ অনুসারে, ৭০% আমেরিকান ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন, যেখানে ৩০% পদক্ষেপের পক্ষে।

৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেনি।

আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা অভিবাসী এবং মাদকের অবৈধ প্রবাহ কমাতে কাজ করছে – তবে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন এই প্রচেষ্টার একটি ‘সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া’।

একজন মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ট্রাম্প আশা করছেন, এইসব চাপ সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে মাদুরোকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য যথেষ্ট।

ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে কিছুটা খোলামেলা মনোভাব প্রকাশ করে গত সপ্তাহে বলেছেন, মাদুরো ‘আলোচনা করতে চান’ এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি ‘একটি নির্দিষ্ট সময়ে’ তার সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।

ট্রাম্প-মাদুরোর সম্ভাব্য কথোপকথনের অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য সিএনএন-এর অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি হোয়াইট হাউস।