Home জাতীয় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়া &OpenCurlyQuote;মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ঘোষণাপত্রে ইসরাইলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি এতে উঠে আসে সারা বিশ্বে মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন ও ওআইসিসহ মুসলিম নেতাদের নির্লিপ্ততার কথা।<&sol;p>&NewLine;<p>ঘোষণাপত্রে সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করা হয়। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে &OpenCurlyQuote;এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি পুনরায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। ইসরায়েল ও এর সমর্থকদের পণ্য বয়কটেরও আহ্বান জানানো হয়।<&sol;p>&NewLine;<p>ঘোষণাপত্রে বলা হয়&comma; &OpenCurlyQuote;আজ আমরা&comma; বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের ইতিহাস জানি&comma; প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করি—সমবেত হয়েছি গাজার শহীদদের পাশে দাঁড়াতে। আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়&comma; এটি ইতিহাসের সামনে দেওয়া আমাদের জবাব&comma; একটি অঙ্গীকার&comma; একটি শপথ।’<&sol;p>&NewLine;<p>এই পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে আজ আমরা চারটি স্তরে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করব।<&sol;p>&NewLine;<p>আমাদের প্রথম দাবিগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ঘোষণা। যেহেতু—জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল জাতির অধিকার রক্ষার&comma; দখলদারিত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে এবং আমরা দেখেছি গাজায় প্রতিদিন যে রক্তপাত&comma; যে ধ্বংস চলছে&comma; তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়—বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল। এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়&comma; বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদারকে অস্ত্র&comma; অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে। এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইজরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>সেহেতু&comma; আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বলছি—<br &sol;>&NewLine;à§§&period; জায়নবাদী ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে।<br &sol;>&NewLine;২&period; যুদ্ধবিরতি নয়—গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।<br &sol;>&NewLine;à§©&period; ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে।<br &sol;>&NewLine;৪&period; পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।<br &sol;>&NewLine;à§«&period; ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ&comma; নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। কারণ&comma; এই মুহূর্তে বিশ্বব্যবস্থা যে ন্যায়ের মুখোশ পরে আছে&comma; গাজার ধ্বংসস্তূপে সেই মুখোশ নির্লজ্জভাবে খুলে পড়ে গেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>আমাদের দ্বিতীয় দাবিগুলো মুসলিম উম্মাহর নেতৃবৃন্দের প্রতি। যেহেতু&comma; আমরা বিশ্বাস করি&comma; ফিলিস্তিন কেবল একটি ভূখণ্ড নয়—এটি মুসলিম উম্মাহর আত্মপরিচয়ের অংশ এবং গাজা এখন কেবল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর নয়—এটি আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। উম্মাহর প্রতিটি সদস্য&comma; প্রতিটি রাষ্ট্র&comma; এবং প্রতিটি নেতৃত্বের ওপর অর্পিত আছে সেই আমানত—যা আল্লাহ প্রদত্ত ভ্রাতৃত্ব ও দায়িত্বের সূত্রে আবদ্ধ। ইসরায়েল একটি অবৈধ&comma; দখলদার&comma; গণহত্যাকারী রাষ্ট্র—যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা ও একটি পুরো জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করতে উদ্যত হয়েছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদ আজ এই অঞ্চলে জায়নবাদী প্রকল্পের প্রতিবিম্বে পরিণত হয়েছে—মুসলমানদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত দমন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতে সম্প্রতি ওয়াকফ সম্পত্তি আইন সংশোধনের মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্বত্বাধিকার হরণ করা হয়েছে—যা উম্মাহর জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা।<&sol;p>&NewLine;<p>সেহেতু&comma; আমরা মুসলিম বিশ্বের সরকার ও ওআইসির মতো বহুজাতিক সংগঠনগুলোর নিকট দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই— à§§&period; ইসরায়েলের সাথে অর্থনৈতিক&comma; সামরিক ও কূটনৈতিক সকল সম্পর্ক অবিলম্বে ছিন্ন করতে হবে। ২&period; জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।<&sol;p>&NewLine;<p>à§©&period; গাজার মজলুম জনগণের পাশে সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে—চিকিৎসা&comma; খাদ্য&comma; আবাসন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ। ৪&period; আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইজরায়েলকে এক ঘরে করতে সক্রিয় কূটনৈতিক অভিযান শুরু করতে হবে। à§«&period; জায়নবাদের দোসর ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসনের অধীনে মুসলিমদের অধিকার হরণ&comma; বিশেষ করে ওয়াকফ আইন সংশোধনের মতো রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দৃঢ় প্রতিবাদ ও কার্যকর কূটনৈতিক অবস্থান নিতে হবে। কারণ&comma; গাজার রক্তে রঞ্জিত হওয়ার আগেই&comma; গাজার পাশে দাঁড়ানোই উম্মাহর জন্য সম্মানের একমাত্র পথ এবং—যে নেতৃত্ব আজ নীরব&comma; কাল ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য হবে।<&sol;p>&NewLine;<p>আমাদের তৃতীয় দাবিগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রতি। যেহেতু&comma; বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র&comma; যার স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তিতেই নিহিত রয়েছে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চেতনা এবং আমরা বিশ্বাস করি&comma; ফিলিস্তিনের প্রশ্নে বাংলাদেশ কেবল মানবতার নয়—ঈমানের পক্ষেও এক ঐতিহাসিক অবস্থানে আছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সরকারের দায়িত্ব&comma; জনগণের ঈমানি ও নৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা। বাংলাদেশের জনগণ গাজার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে। তাই রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।<&sol;p>&NewLine;<p>সেহেতু&comma; আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই—à§§&period; বাংলাদেশি পাসপোর্টে &OpenCurlyQuote;এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শর্ত পুনর্বহাল করা&comma; ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান আরো সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে। ২&period; সরকারের ইসরায়েলি যত প্রতিষ্ঠানের সাথে যত চুক্তি হয়েছে&comma; তা বাতিল করতে হবে। à§©&period; রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪&period; সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং আমদানি নীতিতে জায়নবাদী কম্পানির পণ্য বর্জনের নির্দেশনা দিতে হবে। à§«&period; জায়নবাদের দোসর ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের অধীনে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে&semi; যেহেতু&comma; হিন্দুত্ববাদ আজ শুধু একটি স্থানীয় মতবাদ নয়—বরং আন্তর্জাতিক জায়নিস্ট ব্লকের অন্যতম দোসর। ৬&period; পাঠ্যবই ও শিক্ষা নীতিতে আল-আকসা&comma; ফিলিস্তিন&comma; এবং মুসলিমদের সংগ্রামী ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—<br &sol;>&NewLine;যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুসলিম আত্মপরিচয়ের সাথে গড়ে ওঠে। কারণ&comma; রাষ্ট্র কেবল সীমানা নয়&comma; রাষ্ট্র এক আমানত। আর এই আমানত রক্ষা করতে না পারলে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না।<&sol;p>&NewLine;<p>আমাদের সর্বশেষ দাবিগুলো নিজেদের প্রতি যা মূলত একটি অঙ্গীকারনামা। যেহেতু&comma; আমরা বিশ্বাস করি&comma; আল-কুদস কেবল একটি শহর নয়—এটি ঈমানের অংশ। আমরা জানি&comma; বাইতুল মাকদিসের মুক্তি অন্য কারো হাতে নয়&comma; আমাদেরই কোনো প্রজন্মের হাতে তা লেখা হবে। আমরা বুঝি&comma; জায়নবাদ কেবল বাইরের দখলদার নয়&comma; এটি ভেতরের আত্মবিস্মৃতির সুযোগে দাঁড়ায়। আজ যদি আমরা প্রস্তুত না হই&comma; কাল আমাদের সন্তানেরা হয়তো এমন এক বাংলাদেশ পাবে&comma; যেখানে হিন্দুত্ববাদ ও জায়নবাদ একত্রে নতুন গাজা তৈরি করবে। গাজা আমাদের জন্য এক আয়না&comma; যেখানে আমরা দেখতে পাই&comma; কিভাবে বিশ্বাসী হওয়া মানে কেবল বেঁচে থাকা নয়&comma; সংগ্রামে দৃঢ় থাকা।<&sol;p>&NewLine;<p>সেহেতু&comma; আমরা এই মাটির মানুষ&comma; এই মুসলিমবঙ্গের নাগরিক&comma; এই কওমের সন্তান&comma; একটি অঙ্গীকার করছি— à§§&period; আমরা বয়কট করব&comma; প্রত্যেক সেই পণ্য&comma; কম্পানি ও শক্তিকে যারা ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে টিকিয়ে রাখে। ২&period; আমরা আমাদের সমাজকে প্রস্তুত করব—এমন নুরউদ্দীন&comma; এমন সালাহউদ্দিন তৈরি করার জন্য যারা বাইতুল মাকদিসের মিম্বার পুনরুদ্ধার করবে&comma; ইনশাআল্লাহ। à§©&period; আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলব—যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে। ৪&period; আমরা বিভাজিত হব না&comma; কারণ আমরা জানি&comma; বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব&comma; যাতে এই বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের পরবর্তী গাজায় পরিণত না হয়। আমরা শুরু করব নিজেদের ঘর থেকে—ভাষা&comma; ইতিহাস&comma; শিক্ষা&comma; অর্থনীতি&comma; সমাজ—সবখানে এই অঙ্গীকারের ছাপ রেখে। আমরা মনে রাখব&comma; গাজার শহীদরা কেবল আমাদের দোয়া চান না—তাঁরা আমাদের প্রস্তুতি চান।<&sol;p>&NewLine;<p>সমাপ্তি— শান্তি বর্ষিত হোক গাজার সম্মানিত অধিবাসীদের ওপর—তাঁদের উপর&comma; যাঁরা সবর করেছেন&comma; যাঁরা ঈমানের প্রমাণ দিয়েছেন। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও প্রতিরোধের আগুন জ্বেলেছেন&comma; বিশ্বের নীরবতা ও উদাসীনতার যন্ত্রণা হাসিমুখে বুকের মাঝে ধারণ করেছেন। শান্তি বর্ষিত হোক হিন্দ রজব&comma; রীম&comma; ফাদি আবু সালেহ এবং মুহাম্মাদ আল-দুরাদের ওপর&comma; যাঁদের রক্তে আকাশ রঙিন হয়েছে&comma; যাঁদের চোখে ছিল প্রতিরোধের দীপ্তি। শান্তি বর্ষিত হোক বাইতুল মাকদিসের গর্বিত অধিবাসীদের ওপর&comma; যাঁদের হৃদয়ে এখনো ধ্বনিত হয় &OpenCurlyQuote;আল-কুদস লানা’। গাজার জনগণকে অভিনন্দন— আপনারা ঈমান&comma; সবর আর কুরবানীর মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন—ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি।<&sol;p>&NewLine;<p>আমরা&comma; বাংলাদেশের মানুষ—শাহ জালাল আর শরীয়াতুল্লাহর ভূমি থেকে দাঁড়িয়ে&comma; আপনাদের সালাম জানাই। আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই&comma; আর আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় এই দোয়া— হে আল্লাহ&comma; গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানাও&comma; যার ওপর গিয়ে ভেঙে পড়বে সব জায়োনিস্টদের ষড়যন্ত্র।<&sol;p>&NewLine;<p>&nbsp&semi;<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version