Home প্রবাস মালয়েশিয়ায় খালেদের সেকেন্ড হোম, তিন দেশে পাচার আট কোটি টাকা

মালয়েশিয়ায় খালেদের সেকেন্ড হোম, তিন দেশে পাচার আট কোটি টাকা

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানিয়েছিল বহুল আলোচিত ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমদু ভূঁইয়া। মালয়েশিয়াসহ থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে তিনি পাচার করেছেন সাড়ে আট কোটি টাকা। গত ১০ বছরে এই তিন দেশে খালেদের ৭০ বার যাতায়াতের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। অনুসন্ধানে ঢাকায় তার তিনটি ফ্ল্যাটের সন্ধানও পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর রবিবার &lpar;à§­ জুন&rpar; খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।<&sol;p>&NewLine;<p>উল্লেখ্য&comma; গত বছরের à§§à§® সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয় যুবলীগ দক্ষিণের নেতা খালেদ মাহমুদ ভঁইয়াকে। সর্বশেষ মামলাসহ আটকের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য&comma; অস্ত্র&comma; মানি লন্ডারিং&comma; বৈদেশিক মুদ্রা আইনে গুলশান ও মতিঝিল থানায় মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হলো।<&sol;p>&NewLine;<p>সিআইডি’র সূত্র জানায়&comma; সিআইডি প্রধানের নির্দেশনায় গত à§§à§« মার্চ থেকে খালেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানে খালেদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে কমলাপুরের রেলভবন&comma; রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ &lpar;রাজউক&rpar;&comma; জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ&comma; পানি উন্নয়ন বোর্ড&comma; যুব ভবন&comma; কৃষি ভবন&comma; ঢাকা ওয়াসার ফকিরাপুল জোন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব প্রকল্পের কাজের টেন্ডার একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এসব সংস্থার কাজ নিজের প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া ডেভেলপারস লিমিটেড&comma; অর্ক বিল্ডার্স ও অর্পণ প্রপ্রার্টিজের মাধ্যমে করাতেন। অন্য প্রকল্পের কাজের জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে দুই থেকে ১০ শতাংশ হারে নগদ কমিশন &lpar;চাঁদা&rpar; আদায় করতেন খালেদ।<&sol;p>&NewLine;<p>সিআইডির অনুসন্ধানে বলা হয়েছে&comma; খালেদ রাজধানীর মতিঝিল&comma; সবুজবাগ&comma; খিলগাঁও&comma; কমলাপুর&comma; মালিবাগ&comma; শান্তিনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মাছের বাজার&comma; কোরবানির পশুর হাট&comma; সিএনজি স্টেশন&comma; গণপরিবহন ইত্যাদি খাত থেকে ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ আদায় ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অপরাধলব্ধ আয় করেন। এই অর্থ দিয়ে তিনি ১৯৫ নম্বর শাজাহানপুরে &lpar;ফ্ল্যাট নম্বর এ-৪&rpar; আরবি বিল্ডার্সের একটি সাড়ে বারো শ’ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট&comma; গুলশান-২ নম্বরে &lpar;সড়ক ৫৯&comma; বাসা ৪&comma; ফ্ল্যাট নম্বর এ-à§©&rpar; সাড়ে তিন হাজার স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট ও মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাগ হাউজিংয়ে &lpar;ব্লক বি&comma; রোড ২&comma; বাসা নম্বর à§§à§«&rpar; একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। এছাড়া&comma; তার নামে একটি প্রাডো &lpar;২০১৬ মডেল&comma; ঢাকা মেট্রো ঘ-à§§à§©-৯৬৯৭&rpar; ও একটি নোয়াহ &lpar;২০১৪ মডেল&comma; ঢাকা মেট্রো চ-à§§à§«-৮০৫১&rpar; গাড়ি রয়েছে। খালেদ তার অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ জনৈক আইয়ুব রহমানের মাধ্যমে মালয়েশিয়া&comma; সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাচার করেছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন&comma; গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং মামলার বরাতে তার কাছ থেকে মালয়েশিয়ার মাই ব্যাংক ও আরএইচবি ব্যাংকের একটি করে এটিএম কার্ড&comma; সিঙ্গাপুরের ইউওবি ব্যাংকের একটি এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়। ওই কার্ডগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান করে সিআইডি জানতে পারে&comma; মালয়েশিয়ার মাই ব্যাংক ও আরএইচবি ব্যাংকের কুয়লালামপুর শাখায় চারটি হিসাবে খালেদের নামে গত বছর পর্যন্ত সর্বমোট স্থিতির পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ à§«à§­ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। তার পাসপোর্টের &lpar;নম্বর বিএম০২৮৯২৮১&rpar; à§©à§§ নম্বর পৃষ্ঠায় মালয়েশিয়ার একটি ভিসা &lpar;নং পিই০৫১১১৬৪&rpar; রয়েছে। ভিসাটিতে এমওয়াইএস এমওয়াই টু হোম লেখা রয়েছে&comma; যা সেকেন্ড হোম হিসেবে পরিচিত।<&sol;p>&NewLine;<p>সিআইডির কর্মকর্তারা জানান&comma; সিঙ্গাপুরে খালেদের অর্পণ ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেড &lpar;রেজি নম্বর-২০১৭৩০২৭&sol;৭ডব্লিউ&rpar; নামে একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক&comma; সিঙ্গাপুর শাখায় একটি চলতি হিসাব খুলেছিলেন। ওই অ্যাকাউন্টে গত বছর পর্যন্ত পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের স্থিতি ছিল। সিঙ্গাপুরে তার শেয়ার হোল্ডার জনৈক আবু ইউনুস ওরফে আবু হায়দার ও আইয়ুবুর রহমানের সহায়তায় হুন্ডির মাধ্যমে এসব টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেন। এছাড়া&comma; খালেদ ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নিজের নামে ব্যাংকক ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে সেখানে ১০ লাখ থাই বাথ জমা রাখেন।<&sol;p>&NewLine;<p>সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন&comma; তিন দেশে খালেদের মোট আট কোটি ৫০ লাখ টাকা সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অর্থ তিনি আইয়ুব রহমান&comma; আবু ইউনুস ওরফে আবু হায়দার&comma; দীন মজুমদারসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পাচার করেছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলার সূত্র ধরে আমরা অনুসন্ধান করে খালেদের অর্থপাচারের নতুন কিছু তথ্য হাতে পাই। এসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর আমরা নতুন করে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছি। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে।’<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version