অনলাইন ডেস্ক : কানাডার মুদ্রাস্ফীতির হার গত জুন মাসে ২.৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যাংক অব কানাডার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। মুদ্রাস্ফীতির এই হারকে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ‘একটি মাইলফলক মুহূর্ত’ হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন।

মুদ্রাস্ফীতির হার কমে আসলেও এখনো কানাডিয়ানরা স্থানীয় গ্রোসারি স্টোরগুলোতে খাদ্যদ্রব্যের উচ্চ মূল্যের কারণে কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, কানাডায় খাদ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, যা জুন মাসে বছরের তুলনায় ৯.১ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু তারা আশা করছেন যে সময়ের সাথে সাথে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির তুলনায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। খাদ্যদ্রব্যের এই ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধিতে নাগরিকদের মাঝে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। কানাডা প্রবাসীরাও এর বাইরে নয়। প্রতিনিয়ত খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, সর্বোপরি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

সুদের হার বৃদ্ধি, আকাশচুম্বি মুদ্রাস্ফীতি, নাগরিকদের শূন্য ব্যাংক একাউন্ট? সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থায় কানাডার বর্তমান অর্থনীতি। আয় বাড়েনি, তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে।

সুদের হার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রবাসীদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দেশের শীর্ষ চেইন গ্রোসারি স্টোরগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের তলব করেছে কানাডার সংসদীয় কমিটি। এর আগে মাঝারি পর্যায়ের গ্রোসারি স্টোরের শীর্ষ নির্বাহীদের ডাকা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, দেশটির সংসদীয় কমিটি বড় গ্রোসারি মালিকদের কাছেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।

অন্য দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করে বলেছে, জি-সেভেন জোটের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ভালো হলেও কানাডা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দেশটির সরকার দাম নিয়ন্ত্রণের নানা রকম চেষ্টাও করছে, ইতোমধ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে বাড়াতে সা¤প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এলেও সে অনুপাতে আয় না বাড়ার কারণে নাগরিকদের ওপর একটি বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।

এ দিকে কানাডা সরকারের শিথিল অভিবাসী নীতির ফলে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী দেশটিতে ঢুকছে, ফলে বাসা ভাড়াও দ্বিগুণ বেড়েছে। সূত্র : সিটিভি নিউজ