অনলাইন ডেস্ক : ২০১৬ ও ২০১৯ এসএ গেমসে মেয়েদের ভারোত্তোলনে স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস গড়েন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। শুটার কাজী শাহানা পারভীনের পর বাংলাদেশের নারী অ্যাথলেটদের মধ্যে এসএ গেমসের টানা দুই আসরে স্বর্ণজয়ের কৃতিত্ব মাবিয়ার। আশা ছিল ওয়াইল্ড কার্ডে এবার অলিম্পিক খেলার। যেজন্য নিয়মিত ট্রেনিংও করে যাচ্ছিলেন দেশসেরা এই নারী ভারোত্তোলক। গত জানুয়ারি থেকে ১৭ই মার্চ পর্যন্ত ট্রেনিংয়ের মধ্যেই ছিলেন তিনি। এরপর সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সময় কাটছে ঘরে। সেখানে ইয়োগা করে ফিটনেস ধরে রাখতে পারতেন, কিন্তু দেশের যা অবস্থা, তাতে ওসব করার মানসিকতা নেই তার। তাছাড়া অনুশীলন করার জন্য তার বাসায় পর্যাপ্ত জায়গাও নেই।

গৃহবন্দী অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটাঘাঁটি, মুভি দেখা, রান্নাবান্না করা ও পরিবারের সঙ্গে গল্প-গুজবে সময় কাটছে এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী এই ক্রীড়াবিদের।
গত সোমবার টাকা তুলতে ব্যাংকে গিয়েছিলেন মাবিয়া। সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তিনি বাসার বাইরে যান। বাসাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন তিনি। সবাইকে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন মাবিয়া। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে দেশে করোনা ছড়িয়েছে উল্লেখ করে মাবিয়া বলেন, ‘তারা দেশে ফিরে যা করেছেন, তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। দশ বছর ধরে বিদেশে যদি থাকতে পারেন, আর দেশে ফিরে মাত্র ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারেন না? এটা তো রীতিমতো বোকামি! এতে তারা দেশের ও মানুষের চরম ক্ষতি করেছেন। ’

অঘোষিত লকডাউনে খাদ্যসঙ্কটে পড়া নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করার নামে যারা ছবি তুলে ফটোসেশন ও ভিডিও করেন, তাদের এমন আত্মপ্রচারকে ধিক্কার জানিয়ে মাবিয়া বলেন, ‘এতে অসহায়দের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। সাহায্য করা উচিত গোপনে। সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের অসহায়দের জন্য এগিয়ে আসা উচিত। আমিও গরীব-অসহায়দের পাশে আছি। কেননা আমিও একসময় গরীব ছিলাম, ফলে তাদের কষ্টটা বুঝি!’

করোনা-সন্দেহে হাসপাতালে গেলে ডাক্তারদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার ও করোনার হাসপাতাল নির্মাণে বাধা দেয়া তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের মানসিক সমস্যা। ভালো কাজে বাধা দেয়া দুঃখজনক।’