অনলাইন ডেস্ক : করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর পরিমাণ কম হওয়ায় ভ্যাকসিন দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অনাগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে ভ্যাকসিন আনতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আজ বৃহস্পতিবার অনুদান হিসেবে ফিলিস্তিনকে চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়ার এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে টিকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরিভিত্তিতে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কাছে টিকা চেয়েছি।’

ইতোমধ্যে এক হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান হোয়াইট হাউসে একটি পিটিশন করেছে, বাংলাদেশের সমস্যার বিষয়ে। আমেরিকানদের বক্তব্য হলো, বাংলাদেশে এই রোগের প্রভাব কম এবং সেজন্য তারা আমাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আমাদেরকে টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটি এখনো বলেনি। তারা আস্ট্রোজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।’

বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে সবসময়ই সাহায্য সহযোগিতা করে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জন্য এই সহযোগিতা ভিন্নরকম। সরকারি-বেসরকারিভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীন না হবে ততদিন বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।’

আগামী ১৩ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ৬ লাখ টিকা পাঠাবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ভ্যাকসিন চুক্তি নিয়ে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ।’

টিকা নিয়ে অস্পষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে টিকা আছে, তারা সবাই বলে দেবে। কিন্তু কখন দেবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলে না। প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন, ‘‘টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হয় এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত।’’ এ বিষয়ে আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র ০.৩ শতাংশ গরিব দেশগুলোর কাছে। এজন্য হাহাকার এবং কেউ পাচ্ছে না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট আছে-অস্ট্রেলিয়ার মোট লোক সংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩.৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। তাদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে, কিন্তু হাতে আসছে না।’