অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্যতম প্রধান মিত্র মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশটির বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছে। তারা বলছে, সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো ইমরান খানের এখনই পদত্যাগ করা উচিত।

সংসদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটির আগে এই দাবি আরও তীব্র হয়ে উঠছে। আগামী সোমবার অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বুধবার জাতির উদ্দেশে ইমরান খানের ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। এরপর দেশটিতে ইমরান খানের পদত্যাগের বিষয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান খান শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।

পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তাদের ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা অথবা সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন। ইমরান খান যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে কলঙ্কিত সেই তালিকায় যুক্ত হবে তার নামও।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের প্রায় প্রত্যেক ক্ষমতাসীন সরকারের দায়িত্বপালন কখনই সুখকর হয়নি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের কারণে তখন থেকে পাকিস্তানের অন্তত চারটি বেসামরিক সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। ১৯৫০ এর অস্থিতিশীল দশকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানের সংবিধান স্থগিত করেন এবং ১৯৫৮ সালে দেশটিতে মার্শাল ল জারি করেন।

মার্শাল ল জারির ১৩ বছর পর জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৭৩ সালে বিশেষ ব্যবস্থায় সংবিধান পাশের পর তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।