অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের ‘অরলিন্স জাস্টিস সেন্টার’ নামের একটি কারাগারের টয়লেটের পেছনের দেয়াল ভেঙে খুনের মামলার আসামিসহ ১০ জন বন্দি পালিয়েছেন। যাদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিয়মিত গণনার সময় কারাগারের কর্মকর্তারা ১০ বন্দিকে খুঁজে পাননি। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পলাতক বন্দিদের হন্য হয়ে খুঁজছে। অরলিন্স প্যারিশ শেরিফ সুসান হাটসন জানান, কারাগারের ভেতরের ব্যক্তিদের কাছ থেকে বন্দীরা পালাতে সহায়তা পেয়েছে বলে।
সিএনএন সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম ডব্লিউভিইউই জানায়, পলাতক ১০ বন্দিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, অ্যান্টয়িন ম্যাসি, কেন্ডেল মাইলস, ডেরিক গ্রোভস, জার্মেইন ডনাল্ড, লেন্টন ভ্যানবুরেন, লিও টেইট, কোরি বয়েড, গ্যারি প্রাইস, রবার্ট মুডি ও ডিকেনান ডেনিস।
অনলাইন রেকর্ড অনুযায়ী, পলাতক বন্দিদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাদের কয়েকজন হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা মামলার আসামিও রয়েছেন পলাতকদের মধ্যে।
হাটসন আরও বলেন, কর্মকর্তারা প্রথমে জানিয়েছিলেন যে ১১ জন কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে, কিন্তু পরে তারা বলেছিল যে এটি একটি ভুল গণনা এবং ১০ জন পালিয়ে গেছে। বন্দীকে অন্য একটি কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, কিন্তু সিস্টেমে এটি আপডেট করা হয়নি, ।
অরলিন্স প্যারিশ শেরিফের অফিস অনুসারে, পালিয়ে যাওয়া একজন, মাইলস, তাকে হোটেল পার্কিং গ্যারেজে একটি গাড়ির নীচে লুকিয়ে থাকতে দেখে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সৈন্যরা তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মাইলস পালিয়ে যায়, কিন্তু লুইসিয়ানা রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়।
অরলিন্স প্যারিশ রেকর্ড অনুযায়ী, পরিকল্পনা ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যার (সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার) জন্য মাইলসকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নতুন অভিযোগে তার নামে পুনরায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক বন্দিদের বিষয়ে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শেরিফ অফিস। একই সঙ্গে কোনো বন্দিকে দেখলে কিংবা তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে ক্রাইম স্টপার্স বা ৯১১ নম্বরে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।