পার্থ সারথী দেব, মিশিগান : করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার সীমান্ত পারাপার বন্ধের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১ ডিসেম্বর কানাডীয় ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকবে।

গত ১৮ মার্চ থেকে দুই দেশের সীমান্ত পারাপার বন্ধ রয়েছে। প্রতি মাসে এর সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে আটবার এ সময়সীমা বাড়ল। তবে এবার কত দিনের জন্য পারাপার বন্ধ থাকবে, তার উল্লেখ করা হয়নি। সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবা, স্বাস্থ্যসেবা, বিমান পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা, ট্রাকচালক, চিকিৎসা সামগ্রীসহ জরুরি মালামাল পরিবহন অব্যাহত থাকবে।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, কৃষিপণ্য, ওষুধসহ জরুরি পণ্য পরিবহন অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শুধু মানুষের পারাপার বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের তুলনায় করোনা মহামারি সম্পর্কে স্পষ্ট ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি এখনো গুরুতর। এটা পরিবর্তনে কিছুটা সময় লাগবে।

করোনা মহামারির আগে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চার লাখ মানুষ পারাপার করছিলেন। দীর্ঘদিন সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় দুই দেশের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী শহর বা এলাকা থেকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যারা চাকরি বা ব্যবসা করেন, তাঁরা বেশ বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়া অর্থনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। কানাডা থেকে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ বেড়াতে মিশিগান আসেন। এটি বন্ধ থাকায় মিশিগানের পর্যটন খাতে এরই মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।