অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে দখলদার ইসরায়েলকে ব্যাপক চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্প কয়েকদিন পর মধ্যপ্রাচ্য সফরে আসবেন। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজায় হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হোক।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেতৎ শুক্রবার (৯ মে) গোপন একটি সূতের বরাতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছে যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী হামাসের সঙ্গে তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি না করে তাহলে ‘ইসরায়েলকে একা ছেড়ে’ দেওয়া হবে।
এরআগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময় এক মার্কিন কর্মকর্তা ইসরায়েলের সমালোচনা করেছেন।
হারেৎজ জানিয়েছে, ওই মার্কিন কর্মকর্তাটি হলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। তিনি জিম্মিদের পরিবারকে বলেন, “যদি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ার জন্য জিম্মিদের মূল্য দিতে হয়, তাহলে এখন ইসরায়েলের জন্য এই মূল্য আরও বেশি হবে। এটি শুধুমাত্র জিম্মিদের ক্ষেত্রে নয়।”
উইটকোফ আরও জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে ইসরায়েল। কারণ এখন যুক্তরাষ্ট্র সৌদির সঙ্গে যে পারমাণবিক চুক্তি করতে চাচ্ছে, সেটিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের শর্ত আর দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
উইটকোফ বলেন, “যদি ইসরায়েল তার সজ্ঞানে না ফেরে তাহলে সুযোগ হাতছাড়া করার মূল্য আরও বেশি হবে।”
হারেৎজ জানিয়েছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সমালোচনা করে স্টিভ উইটকোফ যে বক্তব্য দিয়েছেন সিটি তিনিই সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করার জন্য বলেছেন।
তবে উইটকোফের দপ্তর হারেৎজের এ প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য ইসরায়েলকে কোনো চাপ তিনি দিচ্ছেন না।
সূত্র: হারেৎজ