অনলাইন ডেস্ক : আকস্মিক বিস্ফোরণের শব্দ। রাতের ঘন আধার সরিয়ে দিয়ে আলোকিত হয়ে উঠল রাশিয়ার আকাশ। বহু দূর থেকে দেখা গেল আলোর শিখা আকাশ স্পর্শ করছে। সন্দেহভাজন ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার দুটি তেলের ডিপোতে আগুন ধরে গেলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। ওই দুটি ডিপো থেকে দখল করে নেয়া ডনবাস অঞ্চলে যুদ্ধরত রাশিয়ার সেনাদের জ্বালানি সরবরাহ দেয়া হতো। অর্থাৎ, ডনবাস এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওই দুটি ছিল রাশিয়ার তেলের ডিপো। এর মধ্যে একটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে ব্রায়ানস্ক শহরে। নাম ট্রান্সনেফট-দ্রুজবা ওয়েল ডিপো।

সেখানে রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুন ধরে যায়। এর কয়েক সেকেন্ড পরে পার্শ্ববর্তী একটি সামরিক স্থাপনায় আরেকটি তেলের মজুদাগারে আগুন ধরে যায়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এর মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যাওয়ার সময় উড়ে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে অগ্নিবলয় সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের ডনবাস দখল করে নেয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক বা লজিস্টিক স্থান হলো ব্রায়ানস্ক। অন্যদিকে ইউরোপের কাছে রাশিয়ার তেল সরবরাহের প্রধান রুটগুলোর মধ্যে অন্যতম ড্রুজবা পাইপলাইন।

এর আগে বৃটিশ গোয়েন্দারা বলেন, এখনও ডনবাস এলাকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়নি রাশিয়া। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই ঘটনা ঘটে। বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, দুর্বল লজিস্টিক এবং কমব্যাট সাপোর্টের কারণে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। যেমনটা তারা কিয়েভ দখলে ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছিল। ওদিকে অ্যাজভস্টাল স্টিল কারখানায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা যোদ্ধারা ঘাঁপটি মেরে আছেন। সেখান থেকে তারা ডনবাসে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনে প্রতিরোধ সৃষ্টি করছেন। ওদিকে পুতিনের বাহিনীর সদস্যও কমে আসছে। তারা কার্যকর লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই যুদ্ধ তৃতীয় মাসে প্রবেশ করেছে। এ সময়ে রাশিয়ার ২২ হাজার সেনাকে হত্যার দাবি করেছে কিয়েভ। তারা হাজার হাজার কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জামও ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করেছে।