Home সাহিত্য রেজা অনিরুদ্ধ’র কবিতা

রেজা অনিরুদ্ধ’র কবিতা

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p>তিনি শৌর্য প্রত্যাশী। তিনি বীরভোগ্যা বসুন্ধরা প্রার্থনা করেন। তিনি বাসনা করেন স্বদেশের সামূহিক মুক্তি। কবি সহজাত স্পর্ধায় ধিক্কার ছড়িয়ে দেন নতজানু চেতনা ও বুদ্ধির প্রতি। প্রতিবন্ধী প্রতিভাকে তিনি অবনত দাসত্বের ম্রিয়মাণ অন্ধকার ঘোষণা করেন। রেজা অনিরুদ্ধের কবিতা&comma; অতএব&comma; ব্যক্তিগত বিষাদ&comma; বিলাপ ও বিদ্রোহকে স্বদেশের পরিকাঠামোয় উদ্ভাসিত করে বিশ্ববীক্ষার সর্বজনীন ধারায় মিলিত হয়। তাঁর কবিতা জলকেও দ্রোহী করে&comma; দ্রোহীকে প্রণয়ের জলে সিক্ত করে। আর আমরাও&comma; তাঁর নিবিষ্ট পাঠকেরা অভিসিক্ত হই প্রেম ও বিদ্রোহের যৌথস্রোতে। কবি রেজা অনিরুদ্ধ ক্রোধকে পরিণত করেন সম্মিলিত সাহসের পুঞ্জিভূত সমারোহ রূপে। পৃথিবীর সব নদী তাঁর প্রেম বহন করে&comma; সব রাজপথ অঙ্গীকারের শপথ নেয়&comma; সব প্রাসাদ ও কুটির তাঁর অপত্যের আশ্রয় হয়। আর &OpenCurlyQuote;দ্রোহ ও জলের প্রণয়’ হয়ে ওঠে এক মহত্তম মানবিক দলিল।<br &sol;>&NewLine;<strong>&&num;8211&semi; সালেহ মাহমুদ রিয়াদ<&sol;strong><&sol;p>&NewLine;<p>রেজা অনিরুদ্ধ ১৯৬১ সালে পিতার কর্মস্থল চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস মাগুরা জেলার কমলাপুর গ্রামে। দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর। ছাত্রাবস্থায় বাম ধারার ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে কোনো সংগঠনের সাথে সরাসরি যুক্ত না থেকেও সাম্যবাদে বিশ্বাস করেন। পোশাক শিল্পের কর্মজীবনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির পর নিজস্ব ফ্রেইট-ফরোয়ার্ডিং কোম্পানি পরিচালনা করেছেন। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে পারিবারিকভাবে বেড়ে ওঠা রেজা অনিরুদ্ধ ছোটবেলা থেকেই কবিতা&comma; গান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক বিষয়ে অনুরক্ত। স্কুলবেলা থেকেই মাঝে মাঝে কিছু কবিতা লিখেছেন। আবৃত্তির প্রতি অনুরাগে বর্তমানে তিনি আবৃত্তির নানা দিক নিয়ে নিবন্ধ লেখেন। আবৃত্তির সমালোচনামূলক লেখা অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। এই বিষয়ে তিনি লিখে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে। &OpenCurlyQuote;দ্রোহ ও জলের প্রণয়’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। বর্তমানে তিনি কানাডার টরন্টো শহরে বসবাস করছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>ভালোবাসা&comma; যুদ্ধের আরেক নাম<&sol;p>&NewLine;<p>যুদ্ধ&excl; সে কো ভালোবাসারই আরেক নাম।<br &sol;>&NewLine;জন্মক্ষণে চিঙ্কার কান্নায় যুদ্ধের কথাই বলেছি&comma;<br &sol;>&NewLine;&OpenCurlyQuote;মা’ ডাক ভালোবাসার প্রথম উচ্চারণ।<br &sol;>&NewLine;সেই থেকে শিখেছি ভালোবাসা&comma;<br &sol;>&NewLine;উন্মত্ত পদ্মার উচ্ছ্বাসে&comma; নায়াগ্রা জলপ্রপাতের<br &sol;>&NewLine;তীব্রতায় কামাতুর ঠোট ছুঁয়েছে যে সর্বাঙ্গ&excl;<br &sol;>&NewLine;একে-একে খুলেছে&comma; ছিড়েছে বসন শরীরবকের মোড়।<br &sol;>&NewLine;চতুর্মাত্রিক খাঁজে খাঁজে খুঁজেছি নির্জাস&comma;<br &sol;>&NewLine;জিহ্বার ক্ষুরধার স্পর্ধিত স্পর্শে কেঁপে ওঠে হিমালয়&excl;<br &sol;>&NewLine;চূড়ায় সৃষ্টি হয় বিশ্বকর্মার মহাশিল্প।<br &sol;>&NewLine;অক্লান্ত অবিরাম ভালোবাসা-বাসি&comma; চিরন্তন&excl;<br &sol;>&NewLine;অদ্ভুত আঁধারেও ভেসে ওঠে তােমার চোখ&comma;<br &sol;>&NewLine;যেভাবে আমরা গোধূলিবেলায় নীলগিরি চুড়ায়<br &sol;>&NewLine;দৃষ্টিতে বিদ্ধ করেছিলাম হৃৎপিণ্ড একে অপরের<br &sol;>&NewLine;চর্চিত কর্ষিত লভ্য শস্য ভূমি যেমন টানে প্রাণে<br &sol;>&NewLine;ত্রিতল ত্রিভূজ অতল গহ্বরে নৈসর্গিক কেলি&comma;<br &sol;>&NewLine;অবগাহন&comma; ডুবসাঁতার ত্রিভঙ্গ ত্রিতালে&comma; আহা&excl;<br &sol;>&NewLine;ভালোবাসি প্রজন্মান্তরের শস্যক্ষেত্র কর্ষণে&comma;<br &sol;>&NewLine;বিনির্মাণে সভ্যতার অমোঘ শিল্পিত কারুকাজ<br &sol;>&NewLine;দীঘিজলে সৃষ্ট অদ্ভুৎপাত&comma; ভালোবাসার চূড়ান্ত<br &sol;>&NewLine;লেহনে বিদ্যুৎ চমকায়।<br &sol;>&NewLine;মানবতার উন্মুখ বিকাশে কর্ষণ করি শস্যক্ষেত<br &sol;>&NewLine;উর্বরতার নিরিখে রাখি নিড়ানি কোদাল&comma;<br &sol;>&NewLine;প্রতি ভোরে শাণিত করি চকচকান।<br &sol;>&NewLine;প্রজন্মান্তরের দায়ে খননে রত থাকি আমার<br &sol;>&NewLine;তোমার আত্মজের দীঘল দীঘি&comma; জলভরা উচ্ছল<br &sol;>&NewLine;ঢেউ&comma; ভরাট চাঁদের জ্যোৎস্নার উৎপাত&excl;<br &sol;>&NewLine;চুম্বনের অযুত বছরের নিপুণখেলায় অবিরত<br &sol;>&NewLine;অদ্ভুত আঁধারের অদৃশ্য শিল্প&comma;<br &sol;>&NewLine;উদয়শংকরের সকল নৃত্যকলা রেখেছি যতনে<br &sol;>&NewLine;জিহ্বায়&comma; যেভাবে যেমন নেচে যায় শরীরের<br &sol;>&NewLine;প্রতিটি বিন্দুতে ক্ষিপ্র-চঞ্চলতায়&comma; আহা&excl;<br &sol;>&NewLine;ভালোবাসা&excl;<br &sol;>&NewLine;স্বর্গ বলে কিছু নেই&excl; ভালোবাসলেই স্বর্গ<br &sol;>&NewLine;হাতের মুঠোয়&excl;<br &sol;>&NewLine;পৃথিবীর সকল ভূমিতে শস্য রোপণে<br &sol;>&NewLine;শুষ্ক ঠোটে ঢেউ জাগাতে<br &sol;>&NewLine;আত্মজার নৃত্যতালে কম্পন ফেরাতে<br &sol;>&NewLine;আনো বান&comma; হানো আঘাত&excl;<br &sol;>&NewLine;বন্ধুবর&excl; হাতকে শক্ত করো&excl;<br &sol;>&NewLine;এ হাত যুদ্ধের হাত। যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও আগে।<&sol;p>&NewLine;<p>পাখি হবো<&sol;p>&NewLine;<p>পাখি হবো।<br &sol;>&NewLine;না&excl; সকালে ঘুম ভাঙাবার জন্য নয়&excl;<br &sol;>&NewLine;আমার পেছনে বাঁধা থাকবে ড্রোন-ক্যামেরার ক্যারিয়ার।<br &sol;>&NewLine;থাকবে অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠ।<br &sol;>&NewLine;ঠাসা থাকবে সেগুলো হরেক রকম<br &sol;>&NewLine;জৈব ও অজৈব দ্রব্যে।<br &sol;>&NewLine;দু’চোখের মাঝখানে কুঁচের মত লাল-কালো ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা।<br &sol;>&NewLine;উড়ে উড়ে&comma; ঘুরে ঘুরে&comma; টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া&comma; পশুর থেকে কংশ সোমেশ্বরী&comma;<br &sol;>&NewLine;জাফলং হয়ে নীলগিরি। আনাচে-কানাচে নিখুঁত দৃষ্টি।<br &sol;>&NewLine;অসংখ্য সুর-ডাকে সমৃদ্ধ আমি। শব্দ&comma; সুর-তালের তারতম্য&comma; প্রোগ্রাম&comma; ভয়েস<br &sol;>&NewLine;সেন্সরে যুক্ত প্রকোষ্ঠগুলো।<br &sol;>&NewLine;ইচ্ছে করলেই একটি ডাকে উন্মুক্ত হয়ে যাবে নির্দিষ্ট প্রকোষ্ঠ।<br &sol;>&NewLine;তীক্ষèবেগে ছুটে গিয়ে একটি সুঁই বিদ্ধ হবে লাইভ কোন অনুষ্ঠানে মিথ্যে ভাষণরত অকর্মণ্য নির্লজ্জ মন্ত্রীর জিহ্বা।<br &sol;>&NewLine;অসহ্য যন্ত্রণায় ভিন্ন ধরনের গোঙানির শব্দে<br &sol;>&NewLine;লাইভ অনুষ্ঠান অকস্মাৎ বন্ধ হয়ে যাবে।<br &sol;>&NewLine;পৃথিবীর কোনো স্বর-বিশেষজ্ঞই আর কথাবলার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারবে না।<br &sol;>&NewLine;এমনকি বৈদ্য-কবিরাজ&excl;<br &sol;>&NewLine;ভাত-শালিকের মত একটি ডাকে খুলে যাবে যে কপাট&excl;<br &sol;>&NewLine;তা থেকে ছুটে যাবে ভিন্ন আকরিকের মার্বেলাকৃতির শতাধিক গোলক&comma;<br &sol;>&NewLine;আঘাত হানবে ত্রাণচোর চেয়ারম্যান ও সাঙ্গপাঙ্গদের মুখমণ্ডলে।<br &sol;>&NewLine;ফুলে উঠবে ওদের কপাল&comma; চোয়াল&comma; চিবুক।<br &sol;>&NewLine;ক্ষত ফোলার ভিন্নতায় জনগণ নির্ভুল বুঝতে পারবে কে কতবড় চৌর্যপরায়ণ।<br &sol;>&NewLine;সর্বশ্রেষ্ঠ শল্য-চিকিৎসকও অপারগতা প্রকাশ করবে সেখানে ছুরি চালানোর।<br &sol;>&NewLine;আসন্ন নির্বাচনে ওরা নিক্ষিপ্ত হবে নিকটতর কোন ভাগাড়ে।<br &sol;>&NewLine;রাজকবি&comma; পদলোভী কবি&comma; মেরুদণ্ডহীন মোসাহেব কবি&comma;<br &sol;>&NewLine;থানায় বসে থাকা ভাগ-বাটোয়ারা&comma; হলুদ&comma; নীল&comma; মাল্টি-কালার সাংবাদিক।<br &sol;>&NewLine;রাজভবনের দিকে লোভাতুর চোখ নিবিষ্ট রেখে<br &sol;>&NewLine;ধূসররঙ কালি ভ’রে যে লেখক-সাংবাদিক কলম হাতে বসে আছে&excl;<br &sol;>&NewLine;বড়ই নির্বীজ&comma; নিস্তেজ-<br &sol;>&NewLine;শুধু ডাক এলে সরব হয় বেহায়া হাসিতে রাতের কোন রঙিন গøà¦¾à¦¸à§‡à¥¤<br &sol;>&NewLine;এদের জন্য একটি কাঠ-ঠোকরা ডাক&comma;<br &sol;>&NewLine;বাঁশের মাঝ বরাবর যেভাবে ঠকঠক কটকট আওয়াজ&comma; বিদ্ধ হয় বাঁশের শরীর&excl;<br &sol;>&NewLine;সেভাবেই বিদ্ধ হবে এদের ডানা&comma; কজি&comma; হাতের আঙুল।<br &sol;>&NewLine;পৈশাচিক মস্তিষ্কের সবটুকু নিষ্ক্রিয় হয়ে চিরপঙ্গু হয়ে যাবে<br &sol;>&NewLine;একটি ডাকের সাথে-সাথে।<br &sol;>&NewLine;হলদেপাখি ডাকের সাথে যে কপাটিকা খুলে যাবে-<br &sol;>&NewLine;তা থেকে ছড়িয়ে পড়বে শস্যবীজ&comma; শ্যামল-সুন্দর প্রান্তর।<br &sol;>&NewLine;ফুলে ফলে শস্যে ঘাসে সবুজময়।<br &sol;>&NewLine;&OpenCurlyQuote;বউ কথা কও’ ডাকের সাথেই ফুটে উঠবে গড়াইপাড়ের অগণিত ঘাসফুল।<br &sol;>&NewLine;বেগুনি-শাদা ঘাসফুল হাতে দাঁড়িয়ে আমি&&num;8230&semi;<br &sol;>&NewLine;&OpenCurlyQuote;ম্যানহাটনের ডায়মন্ড কিং’ থেকে কেনা ষড়ভূজ নাকফুল খুলে<br &sol;>&NewLine;তুমিও সামনে এগিয়ে&&num;8230&semi;<br &sol;>&NewLine;মন্ত্রণাড়িতের মত বেগুনি ঘাসফুল।<br &sol;>&NewLine;হয়ে ওঠে তোমার নাকফুল। আহা&excl;<br &sol;>&NewLine;অজান্তেই কণ্ঠস্বরে অজানা সুর&excl;<br &sol;>&NewLine;নবপ্রজন্ম গেয়ে যায় নবসুরে সাম্যের সেই গান&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>শৌর্য<&sol;p>&NewLine;<p>ক্ষয়ে যাচ্ছে সব একে একে<br &sol;>&NewLine;তারুণ্যের উত্তাল সময়ে সাম্যের মিছিলে<br &sol;>&NewLine;সতীর্থরা সরে গেছে প্রায় সবাই।<br &sol;>&NewLine;ওরা সব এখন আর মোটেই তেজঃপূর্ণ নয়&excl;<br &sol;>&NewLine;তোতাপাখির মত মুখস্থ বুলিসর্বস্ব ভাষণে-নাচনে সিদ্ধ হয়েছে বড়।<br &sol;>&NewLine;বিষদাঁত খুলে রেখে &OpenCurlyDoubleQuote;জো হুকুম জাহাপনা” দলে সামিল তারা।<br &sol;>&NewLine;প্রচণ্ড প্রতাপে যুগাধিক কালব্যাপী উড্ডীন&comma;<br &sol;>&NewLine;ধাবমান কমরেডস অকাল স্থলনে ও শৈথিল্যে মিয়মাণ&comma; নিষ্ক্রিয়।<br &sol;>&NewLine;তারুণ্য জেগে উঠবে নিশ্চিত উত্তাল গর্জনে এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় আবার।<br &sol;>&NewLine;সকল অমানিশার শেকড় উপড়ে ফেলে অকর্ষিত ভূমি হয়ে উঠবে উর্বরা।<br &sol;>&NewLine;আবার উঠবে জেগে&comma; নব কিরণধারায় রক্তিম সূর্য&excl;<br &sol;>&NewLine;পুষ্পিত কিশলয়&comma; সবুজবীথি হয়ে উঠবে সবুজতর।<br &sol;>&NewLine;কৃষাণীর ঘোমটার আড়ালে নিঃশব্দ হাসি&comma;<br &sol;>&NewLine;মাথায় লালফিতে বেঁধে তরুণ-তরুণী-আপামর গেয়ে যাবে শান্তির গান মিছিলে মিছিলে&comma; উত্তর-দক্ষিণ&comma; পূর্ব-পশ্চিম সর্বময়। জাগো তারুণ্য&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>আপাত-সঙ্গরোধ&colon; আগামীর স্বচ্ছ সকাল<&sol;p>&NewLine;<p>আগামীকাল হয়তো গড়াইয়ের পলিমাটিতে<br &sol;>&NewLine;দাগ কেটে কেটে নগ্নপায়ে<br &sol;>&NewLine;প্রিয়জনের সাথে হাতে হাত<br &sol;>&NewLine;হেঁটে যাওয়া এবং আরও কিছু<br &sol;>&NewLine;উচ্ছ্বাসে উদ্যমে প্রেমময়&&num;8230&semi;<br &sol;>&NewLine;কিন্তু আজ&excl; নীরব নিশ্চল প্রহর এক।<br &sol;>&NewLine;পদপাত নিরাপদ নিজভূমে আটকে রেখে<br &sol;>&NewLine;ক্ষণিক জাড্যতায় আচ্ছন্ন।<br &sol;>&NewLine;হৃদয়গৃহ অসীম সাহসে পূর্ণ রাখো বন্ধু<br &sol;>&NewLine;মনে রেখো&&num;8230&semi;<&sol;p>&NewLine;<p>তুমি&comma; আমি<&sol;p>&NewLine;<p>আমি আকাশ&comma; তুমি জ্যোৎস্না<br &sol;>&NewLine;আমি অন্ধকার&comma; তুমি জোনাকি<br &sol;>&NewLine;আমার স্থিতিতে তুমি উত্তাল ঢেউ।<br &sol;>&NewLine;আমার অপ্রতিভ প্রকরণ&comma;<br &sol;>&NewLine;তুমি ঝিকিমিকি বিকিরণ।<br &sol;>&NewLine;আমি চৈত্রের চৌচির ক্ষেত&comma;<br &sol;>&NewLine;তুমি অবিরাম বৃষ্টির ধারা।<br &sol;>&NewLine;তুমি শস্য তুমি বনানী<br &sol;>&NewLine;তুমি সৃষ্টি তুমি পৃথিবী&comma;<br &sol;>&NewLine;একই সূর্যের আলোয়<br &sol;>&NewLine;তুমি আর আমি<br &sol;>&NewLine;অনন্ত&comma; সমান্তরাল।<&sol;p>&NewLine;<p>অনুরণন<&sol;p>&NewLine;<p>যখন প্রথম তাকিয়েছিলে এ চোখে<br &sol;>&NewLine;অজস্র তারার মেলায় ছেয়ে গিয়েছিলো সমস্ত আকাশ।<br &sol;>&NewLine;পূর্বাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশ&comma; প্রশান্ত মহাসাগর থেকে<br &sol;>&NewLine;ভূমধ্য&comma; লোহিতসাগর- সে তো তোমারই দখলে যেন&excl;<br &sol;>&NewLine;ডালিমের রক্ত-রঙ ঠোট মেলে এগিয়েছিলে যখন<br &sol;>&NewLine;পৃথিবীর সকল ফুল একযোগে বৃন্তচ্যুত হয়ে দ্রæà¦¤à¦¤à¦¾à§Ÿ পিছু নিয়েছিলো তোমার&comma;<br &sol;>&NewLine;আছড়ে পড়ছিলো আঁচলে&comma; পায়ের পাতায়&comma; খুলে দিয়েছিলো খোপা।<br &sol;>&NewLine;&OpenCurlyQuote;মৃগনাভি’র মাতাল গন্ধে এলোমেলো দ্রততায় রক্ত-রঙ রসপানে নিহত-প্রায়।<br &sol;>&NewLine;চোখ মেললুম যখন-<br &sol;>&NewLine;লাল নীল গোলাপি পাপড়ির স্তুপে ডুবে আছো তুমি।<br &sol;>&NewLine;উন্মত্ত বাতাসে পরাগেরা আনাড়িপনায়।<br &sol;>&NewLine;হলুদ পরাগ ধুলো ঢেকে দিয়েছে অন্টারিও লেকপাড়ের শাদা বরফের মাঠ&comma;<br &sol;>&NewLine;গুলশান&comma; হাতিরঝিল&comma; নিকেতনের ছাদ&comma; কালিঘাট&comma; বেহালা&comma; সদর স্ট্রীটের চারতলা জানালা অবধি।<br &sol;>&NewLine;এক ঝটকায় জোড়-পাহাড়ের চূড়ায় তর্জনী ছোঁয়াতেই-<br &sol;>&NewLine;সুরের মূর্ঘনায় থেমে গিয়েছিলো সকল নক্ষত্রগতি।<br &sol;>&NewLine;বিস্মিত তখন তানসেন&comma; রবিশংকর।<br &sol;>&NewLine;দিঘীজলে সাতসাগরের ঢেউ<br &sol;>&NewLine;দিঘীজলে সাতসাগরের ঢেউ।<&sol;p>&NewLine;<p>মহাকাল<&sol;p>&NewLine;<p>কুরুক্ষেত্রের নগ্ন-কৌশলী আর অবাস্তব মন্ত্রধন্য যুদ্ধ আমি দেখেছি।<br &sol;>&NewLine;দেখেছি তাদের পাশাখেলা।<br &sol;>&NewLine;দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণে মহাবীর কর্ণকে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।<br &sol;>&NewLine;দেখেছি কৃষ্ণকেও মৃদুহাসিতে।<br &sol;>&NewLine;পানিপথের যুদ্ধে ছিলাম কাছেই&excl;<br &sol;>&NewLine;তাজমহলের ভেতর-বাহির বৃত্তান্ত নখদর্পণে আমার।<br &sol;>&NewLine;পলাশী প্রান্তরের যুদ্ধ আর যুদ্ধ-খেলা&comma;<br &sol;>&NewLine;ক‚টচাল আর নির্লজ্জ অভিলাষ&comma; পতিত&comma; বিলাসী নবাব।<br &sol;>&NewLine;দেখি নেতা-হাতা পাতিনেতা&comma; মিথ্যার<br &sol;>&NewLine;আদিখ্যেতা- সমৃদ্ধ নির্লজ্জ বেহায়া<br &sol;>&NewLine;নেতার স্লোগান।<br &sol;>&NewLine;কবি দেখি&comma; সাংস্কৃতিক নেতা দেখি&comma; দেখি<br &sol;>&NewLine;তাদের পদলেহন&comma; শাসকের পদপ্রান্তে<br &sol;>&NewLine;&OpenCurlyQuote;পদক’- এর মানসে।<br &sol;>&NewLine;খুন দেখি&comma; বেপরোয়া চালকের পাশে বীভৎস মৃতদেহ।<br &sol;>&NewLine;ধর্ষণের উল্লাস&comma; আর আকাশবিদারী কান্না।<br &sol;>&NewLine;আর দেখি তোমাকে&excl; গ্রীকদেবীর মত<br &sol;>&NewLine;বসে আছো&comma; বিশালাকার পাথরের উপর।<br &sol;>&NewLine;শুভ্রশাড়ির আলোময় আভা ছড়িয়ে আকাশময়।<br &sol;>&NewLine;দৃষ্টির সীমান্ত অবধি দিগন্ত নীলিমায়&comma; সমস্ত আকাশ শাসিছো তুমি। সামনে দাঁড়িয়ে পরিয়ে দেই নীল টিপ&excl; আকাশ তাই নীলময়&excl;<br &sol;>&NewLine;আমি দেখি&comma; শুধু দেখি আমি মহাকাল&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>দাহ<&sol;p>&NewLine;<p>খরতাপে পুড়ে যায় দুপুর&comma;<br &sol;>&NewLine;পোড়ে সকাল-সন্ধ্যা&comma; নিশিরাত।<br &sol;>&NewLine;ফড়িয়ার ফটকাবাজির ঘূর্ণিপাকে<br &sol;>&NewLine;চাষী পোড়ায় সাধের শস্যক্ষেত&comma;<br &sol;>&NewLine;নির্বিকার সরকার।<br &sol;>&NewLine;নাভিশ্বাস&excl; ছুটে ছুটে চলে মানুষ&excl;<br &sol;>&NewLine;দীর্ঘ অপেক্ষমাণ তরুণের হাতে শুকায়<br &sol;>&NewLine;ভালোবাসায় লাল গোলাপ&comma;<br &sol;>&NewLine;সেদিনের টান-টান বন্ধনী আজ ঢিলে-ঢালা&comma; খসে খসে যায় তরুণীর।<br &sol;>&NewLine;অসহ্য সময় এখন। দোয়েলের গানেও<br &sol;>&NewLine;হাহাকার সুর বাজে বেদনার।<br &sol;>&NewLine;বিকলাঙ্গ সিনেমাওয়ালার গালভরা গল্প<br &sol;>&NewLine;মুখে&comma; সত্যজিৎ-ঋত্বিকের ফাটাফাটি।<br &sol;>&NewLine;কোনকালের এক বেটে-ছবি&comma; যা এখন<br &sol;>&NewLine;উইপোকায় করেছে নিঃশেষ।<br &sol;>&NewLine;কিছুই হয় না আর।<br &sol;>&NewLine;গল্পবাজির ঠেলায় বাঁকা অথবা<br &sol;>&NewLine;স্থায়ীভাবে সোজা হয় ঘাড়।<br &sol;>&NewLine;মুখে মুখে হাতি-ঘোড়া নিধন।<br &sol;>&NewLine;থাকে শুধু হাতে<br &sol;>&NewLine;ঋত্বিকের একটি বিষয়- প্রতি সন্ধ্যায়&comma;<br &sol;>&NewLine;ডেরায় বসে রঙিনজলের একপায়া গ্লাস&excl; ঠোকাঠুকি টুংটাং। চিয়ার্স&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা<&sol;p>&NewLine;<p>করোনার করুণ সুর বাজে বেসুরো সুরে এলোপাতাড়ি যত্রতত্র&comma; যেমন-তেমন।<br &sol;>&NewLine;হে মহাসূর্য-<br &sol;>&NewLine;তুমি কি আজও একইভাবে আসবে প্রভাতে আলোময়&quest;<br &sol;>&NewLine;কুসুমের প্রোজ্জ্বল-রঙ রশ্মির ছটা আছড়ে পড়বে কি রমনার বটমূলে&comma;<br &sol;>&NewLine;মহানন্দার জলে&quest;<br &sol;>&NewLine;যেভাবে এসেছে আমার পূর্ব-পুরুষের উঠোনে অবাধ&comma; সোনালী সকাল হয়ে&excl;<br &sol;>&NewLine;কিন্তু না&excl;<br &sol;>&NewLine;তুমি আজ এভাবে আসতে পারবে না&excl;<br &sol;>&NewLine;দেখোনি কি শ্বাসরোধ&quest;<br &sol;>&NewLine;উত্তর থেকে দক্ষিণ&comma; প্রাচ্য-প্রতীচ্য সর্বত্র হয়ে আছে বিষময়&excl;<br &sol;>&NewLine;আর কত মৃত্যুর মিছিল দেখবে তুমি&quest;<br &sol;>&NewLine;টেমস হাডসন বুড়িগঙ্গা&comma; হাজার নদীর জল শুকিয়ে যায় হাহাকার নিঃশ্বাসে।<br &sol;>&NewLine;বিদীর্ণ করো অদৃশ্য ওই ভয়ানক থাবা&comma;<br &sol;>&NewLine;রশ্মি-বিকিরণের তীক্ষèতায় বিদ্ধ করো&excl;<br &sol;>&NewLine;অর্ঘ্য সাজিয়ে মঙ্গলঘট<br &sol;>&NewLine;নিশীথ সংক্রান্তি শেষে আহ্বান&comma; প্রভাত আলোময়&comma; হে সূর্য&excl; এসো&excl;<br &sol;>&NewLine;এসো ছিন্নভিন্ন করো করোনা ধরণীময়<br &sol;>&NewLine;সূচিত হোক নবপ্রভাতের আলোয় প্রতিটি কণা পৃথিবীর&comma; সকল হৃদয়।<br &sol;>&NewLine;নব-আলোকের কিরণধারায় হেসে উঠুক প্রতিটি প্রাণ।<br &sol;>&NewLine;&OpenCurlyDoubleQuote;অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা”<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version