Home লিড নিউজ র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে সরকার

র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে সরকার

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>শেখ সাবিহা আলম &colon;<&sol;strong> র‌্যাপিড টেস্টিং অ্যান্টিবডি কিটের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই কিট ব্যবহার করা হবে না। ব্যবহার হবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না&comma; তা নির্ণয়ের জন্য।<&sol;p>&NewLine;<p>ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো&period; সালাউদ্দিন বলেন&comma; দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিড টেস্টিং কিট আবিষ্কার করেছে। তা ছাড়া ২৫-৩০টি প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিড টেস্টিং কিট আমদানির অনুমতি চেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কী কী শর্ত পূরণ করতে পারলে কিট অনুমোদন দেওয়া যাবে&comma; তা ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়ে। সে কারণেই বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠক করে একটা নীতিমালা চূড়ান্ত করেছ।<&sol;p>&NewLine;<p>ওষুধ&comma; ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ&comma; ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্যায়নের নিমিত্তে গঠিত কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো&period; সালাউদ্দিন। ১৪ সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা বিএসএমএমইউ&comma; আইসিডিডিআরবি&comma; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়&comma; বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়&comma; ঢাকা মেডিকেল কলেজ&comma; ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।<&sol;p>&NewLine;<p>২১ ও ২৩ জুন এই কমিটি দুই দফা বৈঠক করে নীতিমালা চূড়ান্ত করে।<&sol;p>&NewLine;<p>নীতিমালায় বলা হয়েছে&comma; সেরো সার্ভেইল্যান্স এবং কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ও গবেষণার কাজে এই কিট ব্যবহার হবে। অপব্যবহার রোধে শুধু কিটটি ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করা যাবে। কিটের মোড়কে লিখতে হবে&comma; &OpenCurlyQuote;দিস ইজ নট এ ডায়াগনস্টিক কিট&comma; দিস কিট উইল বি ইউজড অনলি ফর ডিটেক্টিং অ্যান্টিবডি&comma; নট ইন অ্যাকিউট স্টেজ’ &lpar;এটি নির্ণায়ক কিট নয়&comma; শুধু অ্যান্টিবডি শনাক্ত করার কাজে ব্যবহার করা যাবে&comma; রোগ শনাক্ত করার কাজে নয়&rpar;। কিটগুলো পয়েন্ট অব কেয়ারে &lpar;কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে&rpar; ব্যবহার করা যাবে না। কিটের আইজিজি&sol;আইজিএমের সেনসিটিভিটি ৯০ ভাগ ও স্পেসিফিসিটি ৯৫ ভাগ হতে হবে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন&comma; আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ১০০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে&comma; র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টিং কিটে কমপক্ষে ৯০ জনের পজিটিভ আসার শর্ত দেওয়া রয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>কমিটির প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন মো&period; কামাল। তিনি বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বিশ্বের কোথাও র‌্যাপিড টেস্টিং কিটের ফল ভালো আসেনি। সে কারণে বাংলাদেশেও ১৪ দিনের আগে এটি ব্যবহারের পক্ষে নই আমরা।’ সেরো সার্ভেইল্যান্স বলতে বোঝানো হয়েছে&comma; একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগটির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না&comma; তা পরীক্ষা করে দেখা।<&sol;p>&NewLine;<p>শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল হক বলেছেন&comma; কেন কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপির জন্য এই কিট প্রয়োজন। শনিবার তিনি বলেন&comma; কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর রক্তে রোগপ্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডিটা একসময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এরপর কমতে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি যখন সর্বোচ্চ&comma; সেই সময়টা বেছে নিতে হয়। এমন অনেকে প্লাজমা দিতে আসছেন&comma; যাঁদের রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কম। কারও কারও অ্যান্টিবডি তৈরি না হওয়ারও নজির আছে। র‌্যাপিড টেস্টিং কিট এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।<&sol;p>&NewLine;<p>প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত এই চিকিৎসক আরও দুটি সমস্যার সমাধান এই কিট থেকে হতে পারে বলে মনে করেন। তিনি বলেন&comma; নমুনা সংগ্রহের সময় একটি আরেকটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে অনেকে নেগেটিভ হলেও ফল এসেছে পজিটিভ। তাঁরা যখন প্লাজমা দিতে আসছেন&comma; তখন বোঝা যাচ্ছে তাঁরা আসলে আক্রান্তই হননি। তা ছাড়া আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ভাইরাসের সংখ্যা ২০০-র নিচে হলে পরীক্ষায় শনাক্ত হয় না। সে ক্ষেত্রেও র‌্যাপিড টেস্টিং কিট কাজে লাগতে পারে।<&sol;p>&NewLine;<p>জানা গেছে&comma; স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কিটের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য জোর সুপারিশ করা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version