অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ইনজুরি সমস্যায় ভোগা বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা পড়েছেন বিপাকে। তাদের সঙ্গে চার সপ্তাহ কোনো কাজ করতে পারবেন না বিসিবি চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। ১৩ই এপ্রিল চার সপ্তাহ শেষ হবে। এরপর তারা কাজ শুরু করতে পারবেন তো, নাকি আবার বাড়বে ছুটি? দেশে সবধরনের ক্রিকেট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। মাঠে কবে ফিরবে খেলা এখনো অজানা। তাই ছুটি বাড়লে চোটাক্রান্ত ক্রিকেটারদের জন্য বিপদ দেখছেন বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেখুন, সব ক্রিকেটারই বাসায়।

ওদের মাঠে খেলতে যাওয়া বা জিমে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে বাসায় বসে তারা যে কাজ করছে তা ফিটনেস বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এতে শুধু ফিটনেস ধরে রাখা যাবে। কতজন ক্রিকেটার সঠিকভাবে তা করতে পারছে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আর সবার বাসায় জিম করার ভালো ভালো যন্ত্র নেই। তাই এখন আমরা ওদের যে কাজগুলো দিয়েছি এতে শুধু ফিটনেস ধরে রাখতে পারবে তারা। চিন্তার বিষয় হলো যত দিন যাবে ফিটনের ঘাটতি বাড়তে থাকবে। তখন তাদের এই ফিটনেস ফিরে পেতে অনেক সময় লেগে যাবে। এক কথায় ছুটি যতো লম্বা সমস্যা ততো বেশি।’

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অনেক ক্রিকেটার ছোট-বড় ইনজুরিতে পড়েছেন। তবে বেশিরভাগ ফিট হয়ে ফিরেছেন মাঠে। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটেনি। এদের অনেকেই আবার ঘন ঘন ইনজুরিতে পড়েন, কিছুদিন মাঠে ফিরলেও নানা সমস্যায় ভুগেন। কিন্তু বর্তমানে ইনজুরি আক্রান্ত বা আগে ইনজুরি ছিল এমন ক্রিকেটারদের নিয়ে চার সপ্তাহ কাজ করার সুযোগ নেই বিসিবি চিকিৎসকদের। দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘যারা ইনজুরিতে ছিল বা এখনো আছে তাদের সঙ্গে চার সপ্তাহ কোনো কাজ করতে পারছি না আমরা। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। ১৩ই এপ্রিল ৪ সপ্তাহ হবে। চিন্তার কারণটা হলো এরপর থেকে। ছুটি বাড়লে তাদের ফিটনেসের ক্ষতি হয়ে যাবে। ফিটনেস ফিরে পেতে অনেক সময় লাগবে। মাঠে ফিরে দ্রুত নিজেদের রিকভার করা সম্ভব হবে না।’

চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীর বড় চিন্তা পেসারদের নিয়ে। কারণ পেসারদের নিজেদের ফিট রাখার জন্য সবেচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। রানিং খুবই প্রয়োজন তাদের। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের যা পরিস্থিতি, বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের চিন্তাটা বিশেষ করে পেসারদের নিয়ে। ওদের ফিটনেস ঠিক রাখতে দৌড়াদৌড়ি খুবই জরুরি। কিন্তু ঘরের মধ্যে কোনোভাবেই স্প্রিন্ট সম্ভব নয়। এতে করে ওদের দম কমে আসছে। কারণ পেসার দম নেয়া একটা বিষয় থাকে। এখন যে সমস্যাটা হবে, যতো দেরি হবে তাদের সঠিকভাবে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সমস্যা ততো বাড়বে। বার বার বলছি সমস্যাটা হবে সময়ের দিক থেকে। ছুটি লম্বা না হলে মাঠে ফিরে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে দ্রুত। কিন্তু ছুটি বাড়লে তাদেরও মাঠে ফিরে ফিট হতে বেশ সময় লেগে যাবে।’

এমন কঠিন মুহূর্তে যেহেতু খুব বেশি করণীয় নেই, বিসিবি চিকিত্সক ঘরে থেকেই যতটা সম্ভব ফিটনেস ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, ‘এখন তেমন কিছু করার নেই। তাই আমারা আগেও বলেছি এখনো বলছি ঘরে থেকে যতটা সম্ভব কাজ করার চেষ্টা করা। এতে ফিটনেস হয়তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। তবে ধরে রাখা যাবে।’