অনলাইন ডেস্ক : রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সে-ও প্রায় দুই বছর হলো। দীর্ঘ বছর রাজনীতিতে ছিলেন, ছিলেন ক্যাবিনেট মিনিষ্টার। সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্টিফেন হারপার যখন অবসরে যান কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হতে চেয়েছিলেন রোনা অ্যামব্রোস। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে গিয়ে নিজেকে সবকিছু থেকেই গুটিয়ে নেন তিনি। নতুনদেশ ডটকম
সেই রোনা অ্যামব্রোসকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে অটোয়ায়, সরকারি মহলে, রাজনীতিতে। ওয়াশিংটনে কানাডার রাষ্ট্রদূতের পদটি খালি আছে সামারের শেষ থেকে। লিবারেলের শীর্ষনোতারা সেই পদে রোনা অ্যামব্রোসের কথা ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর যে খুব আপত্তি আছে তা ও নয়। তা হলে সাবেক কনজারভেটিভ মন্ত্রী রোনা অ্যামব্রোসই কি ওয়াশিংটনে জাস্টিন ট্রুডোর দূত হবেন?
চলতি বছরে নাফটা নিয়ে কানাডা – মার্কিন টানাপড়েনের সময় টানা নেগোশিয়েটরের ভূমিকায় ছিলেন তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার সঙ্গে সহায়কের ভূমিকায় ছিলেন রোনা অ্যামব্রোস। রাজনীতি থেকে দুরে থাকা রোনাকে আলবার্টা থেকে আমন্ত্রন জানিয়ে লিবারেল সরকারের নেগোশিয়েশন টিমের সদস্য করা হয়েছিলো সাবেক কনজারভেটিভ রোনাকে। সেই সময় তার পারফরমেন্সকে মনে রেখেছেন লিবারেল হাই -আপস।
আবার কনজারভেটিভেও রোনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনের পর থেকেই কনজারভেটিভ নেতা এন্ড্রু শিয়ারের পদত্যাগের দাবি জোড়ালো হচ্ছে। রোনাকে দলের নেতা হিসেবে দেখতে চান- কনজারভেটিভ নীতি নির্ধারকদের মধ্যে এই সংখ্যাটাও বেশ বাড়ছে।
রোনা অ্যামব্রোস শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবেন- সেটা বলা কঠিন। তবে কানাডার যে কোনো রাজনৈতিক সংকটে নারীর উপর নির্ভরশীলতা যে বাড়ছে, নারীই হয়ে ওঠছেন রাজনীতির মাঠের ত্রাণকর্তা- সেটি প্রায় পরিষ্কার হয়ে ওঠেছে।