* শওগাত আলী সাগর * এনায়েত করিম বাবুল * ফয়েজ নুর ময়না * সোলায়মান তালুত রবিন * সাহিদুল আলম টুকু * পারভেজ চৌধুরী * মনিস রফিক * আরিফ হোসেন বনি

জীবন ও জীবিকার সন্ধানে বাংলাদেশের অনেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকেন। কেউ একা, কেউ পরিবার পরিজনসহ। কারোর বসবাস সাময়িক, কারোর বসবাস স্থায়ী। পৃথিবীর আর সব দেশে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের মতো কানাডায় বসবাসরত অনিবাসী বাংলাদেশের মানুষদের মাতৃভূমি, স্বদেশ নিয়ে রয়েছে চিন্তা-ভাবনা এবং আশা-হতাশা। বাংলাদেশের ইতিবাচক কাজে উদ্বেলিত হয় এবং নেতিবাচক কাজে উৎকন্ঠা দেখায়। পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে বসবাস করলেও প্রিয় জন্মভূমি সবাইকে আন্দোলিত করে, আলোড়িত করে। তারা নিয়মিত স্বজনদের সাথে যোগাযোগ ও খোঁজ-খবর রাখার পাশাপাশি কষ্ঠার্জিত অর্থ পাঠায় বৈধভাবে। দেশের আর্থিক অগ্রগতিতে তারা ‘আর্থিক যোদ্ধা’ বা রেমিট্যান্স ফাইটার। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের সরাসরি অবদান রয়েছে।
সা¤প্রতিক সময়ে গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলাদেশের কতিপয় দুষ্কৃতিকারী যাদের মধ্যে রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী, দুর্নীতিপরায়ন সরকারি আমলাসহ অন্যান্য পেশার দুবৃত্তরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, আথির্ক প্রতিষ্ঠাসহ রাষ্ট্রিয় কোষাগার থেকে অর্থ চুরি করে তা’ অন্যায়ভাবে পাচার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন। গড়ে তুলছেন দ্বিতীয় নিরাপদ অবাসস্থল বা সেকেন্ড হোম। এই দূর্নীতিপরায়ন মানুষেরা অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় কানাডার বিভিন্ন স্থানে সম্পদের পাহাড় গড়ে বিলাসী জীবন-যাপন করছেন তাদের পরিবার পরিজনসহ। যা’ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নকে ব্যহত করে।

বিদেশে মুদ্রাপাচারকারী ও লুটেরাদের অবাধ আস্ফালন কানাডায় বসবাসকারী সচেতন নাগরিকদের চিন্তিত করে। ব্যক্তি পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়ে প্রতিবাদে রূপ নেয়। সবাই মনে করে কানাডায় বসবাসরত বাঙ্গালী কমিউনিটির মধ্যে সামাজিক সচেতনতার প্রয়োজন সেই থেকে শুরু হয় সংঘবদ্ধ প্রতিবাদের। ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারী “লুটেরা রুখো, স্বদেশ বাঁচাও” শ্লোগানে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ সভার। এই প্রতিবাদ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দেশপ্রেমিক প্রবাসীসহ বাংলাদেশের সচেতন জনগন ও গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগায়, আগ্রহ উদ্দিপনা ও আশার সঞ্চার করে।

“লুটেরা রুখো, স্বদেশ বাঁচাও” বাংলাদেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশের একটি গতিশীল সামাজিক আন্দোলন। বাংলাদেশ থেকে মুদ্রা পাচার হয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী আন্দোলন, প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম। এ প্রতিবাদ চলছে। এ প্রতিবাদ চলবে। লুটেরা রুখো, স্বদেশ বাঁচাও- আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী বা স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের কোন সদস্য যুক্ত নেই। এই আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। যারা সত্যিকার অর্থে প্রগতীশীল, সুন্দর, আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক সমৃদ্ধশালী ও অস¤প্রদায়িক সুখী বাংলাদেশ দেখতে চায়।