অনলাইন ডেস্ক : গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেয়ার বাজারের ব্রোকারেজ হাউস ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো.শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার ( ৬ জুলাই) লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীর সীমান্তবর্তী একটি এলাকা থেকে তাদেও গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও একই অভিযোগে নোয়াখালী থেকে খোরশেদ আলম ও জুয়েল নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

ডিবির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক জানান, ‘শত শত গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ কওে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মালিক শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানা আত্মগোপন করে ছিলেন। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেও গ্রেফতার করা হয়। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ মূলত স্টক ব্রোকারেজ হাউজ। রাজধানীর পল্টন ও পুরাণ ঢাকার জনসন রোডে দুটি এক্সটেনশন অফিস ছাড়াও প্রগতি সরণি, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় তাদের শাখা অফিস আছে।

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ব্রোকারেজ হাউজটিতে ২১ হাজার বিনিয়োগকারীর ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হলেও তাদেও দেনা-পাওনার বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না। ৮২ কোটি টাকার বাহিরে ওই হাউজে বিনিয়োগকারীদের অজান্তে কত টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বা নগদ কত টাকা পাওনা রয়েছে, তা পরিষ্কার না। বন্ধ করার আগে ওই হাউজটি থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়। তবে এর বিনিময়ে ডিএসইকে দেওয়া চেক বাউন্স করে। ফলে হাউজটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ডিএসই। তাদের কাউকে না পেয়ে কেনা শেয়ারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই শেয়ারগুলো বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করে ডিএসই।

কিছু কিছু বিনিয়োগকারীকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ থেকে দেওয়া চেকও বাউন্স করেছে। হাউজ থেকে তাদেরকে চেক দেওয়া হয়েছে টাকা তোলার জন্য। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে তারা দেখে একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ হাউজটির নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বারিধারা ও কুমিল্লা শাখাও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকরা যাতে বিদেশে পালাতে না পারে, সেজন্য ডিএসই থেকে পল্টন থানায় মামলা করা হয়। একই সঙ্গে মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করে। এখন তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।